আকাশপ্রদীপ ..আলোর শিখায় সব আলোকিত করে, মানুষেরে করে যাব ধন্য করে, নব যুগে নব দিগন্তে উদয়ন্ত রবি, আমি হয়ে আসি আজিকার কবি…..
Followers
Friday, April 4, 2014
নবী (সঃ),
সব ভুবনের বাদশা
যাকে সম্মান জানায়
তুমি তাকে কত টুকু শ্রদ্ধা জানালে,
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত
তার মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়
নবী (সঃ), তাঁর তরে কতটুকু দুরুদ পাঠালে!
ইহ কালে বল
বল পরকালে
নবীর (সঃ) শিফাতপেতে হলে ,
দরূদ পাঠাও
বেশি বেশি সালাম পাঠাও
শিফাত পাবে তবে ইহকালে আর পরকালে ...
Thursday, April 3, 2014
ভালবাসা ছাড়া জীবন ভেবে দেখিনি
...প্রানপনে ছুটছি
তোমাকে ছোঁবই আমি,
যায় যাক প্রান
ভালবাসা এমনি,
আমার ভালবাসা প্রয়োজন,
ভালবাসা ছাড়া জীবন ভেবে দেখিনি...
মায়াবিনী - ২
মায়াবিনী - ২
... তোমার চোখে ভেসে গেছে
অতলান্ত সময়,
আমার কাছে মনে হয়,
তোমার চোখের দীপ্তি দিয়ে
এই পৃথিবী আলোকিত হয়,
আমার অবাক চোখে তাকিয়ে
কি দেখলে!
তুমি কে হাসলে?
হাসলো এ ভুবনময়,
তোমার চোখে ভেসে গেছে
অতলান্ত সময়...
... তোমার চোখে ভেসে গেছে
অতলান্ত সময়,
আমার কাছে মনে হয়,
তোমার চোখের দীপ্তি দিয়ে
এই পৃথিবী আলোকিত হয়,
আমার অবাক চোখে তাকিয়ে
কি দেখলে!
তুমি কে হাসলে?
হাসলো এ ভুবনময়,
তোমার চোখে ভেসে গেছে
অতলান্ত সময়...
কবি - ৮
কবি - ৮
একটা গল্প লেখার আগে
আমি একটা কবিতা লেখি,
গল্পের অলিতে গলিতে
এক একটা কবিতা দেখি,
কবিতার সংখ্যা বাড়ছে তাই
লেখক হবার আগে আমি কবি হই,
কবিতা দিয়ে শুরু, কবিতা দিয়ে শেষ
গল্পের মাঝে মাঝে
থেকে যায় কবিতার আপ্লুত রেশ,
ভোরের বেলায় সূর্যোদয় দেখি,
সূর্যের প্রথম আলোয় জ্বলসে জাওয়ার কবিতা লেখি,
তারপর সারাদিন গল্পের জের ধরে টানাটানি,
ক্লান্ত হলে পরে আকাশকে কাছে টানি,
সে আমায়
তাকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো পড়ে শোনায়,
সূর্যটা যখন হেলে গেলে পড়ে,
ফেরা হয় না ঘরে,
উড়ন্ত পাখিরা হায় , রক্তাক্ত আকাশে আত্মাহুতি দেয়
আকাশের রঙ গাঢ় হয় আরো
একটা গল্প লেখার আগে
আমি একটা কবিতা লেখি,
গল্পের অলিতে গলিতে
এক একটা কবিতা দেখি,
কবিতার সংখ্যা বাড়ছে তাই
লেখক হবার আগে আমি কবি হই,
কবিতা দিয়ে শুরু, কবিতা দিয়ে শেষ
গল্পের মাঝে মাঝে
থেকে যায় কবিতার আপ্লুত রেশ,
ভোরের বেলায় সূর্যোদয় দেখি,
সূর্যের প্রথম আলোয় জ্বলসে জাওয়ার কবিতা লেখি,
তারপর সারাদিন গল্পের জের ধরে টানাটানি,
ক্লান্ত হলে পরে আকাশকে কাছে টানি,
সে আমায়
তাকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো পড়ে শোনায়,
সূর্যটা যখন হেলে গেলে পড়ে,
ফেরা হয় না ঘরে,
উড়ন্ত পাখিরা হায় , রক্তাক্ত আকাশে আত্মাহুতি দেয়
আকাশের রঙ গাঢ় হয় আরো
অপূর্ব সূর্যাস্ত সহ্য করতে না পেরে আত্মাহুতি দিতে ইচ্ছে করে আমারো,
দিনের শেষে আমি এক আত্মাহুতির কবিতা লেখি,
অজানায় হারিয়ে গিয়ে উল্লসিত আমাকে দেখি,
রাত্রি জেগে তারপর অজানার সব গল্প লেখা,
কখনো কখনো অবাক হয়ে অজস্র তারার মিলন দেখা,
কোনো কোনো তারাদের দল ধীর পায়ে সন্তরণ করে ,
কেউ কেউ আধারের মাঝে সরে যায় দূরে,
আমার মাঝে হারিয়ে যাওয়া অজস্র তারা দেখি,
আমি হারিয়ে যাওয়া তারাদের নিয়ে কবিতা লেখি,
কবিতা দিয়ে শুরু করি দিন , কবিতা দিয়ে রাত্রি শেষ,
অহর্নিশ গল্পের মাঝে মাঝে থেকে যায় কবিতার আপ্লুত রেশ......
দিনের শেষে আমি এক আত্মাহুতির কবিতা লেখি,
অজানায় হারিয়ে গিয়ে উল্লসিত আমাকে দেখি,
রাত্রি জেগে তারপর অজানার সব গল্প লেখা,
কখনো কখনো অবাক হয়ে অজস্র তারার মিলন দেখা,
কোনো কোনো তারাদের দল ধীর পায়ে সন্তরণ করে ,
কেউ কেউ আধারের মাঝে সরে যায় দূরে,
আমার মাঝে হারিয়ে যাওয়া অজস্র তারা দেখি,
আমি হারিয়ে যাওয়া তারাদের নিয়ে কবিতা লেখি,
কবিতা দিয়ে শুরু করি দিন , কবিতা দিয়ে রাত্রি শেষ,
অহর্নিশ গল্পের মাঝে মাঝে থেকে যায় কবিতার আপ্লুত রেশ......
আকাশের কবিতা
আকাশের কবিতা
এই কবিতা তোমাকে
আর একবার আকাশের কাছে নিয়ে যাবে...
*******************************************
দিনের মাঝে
আমি আকাশের দিকে
তাকিয়ে বেশ কিছু সময় কাটাই,
আকাশের বুকে তাকালেই
নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়,
তবুও চুপচাপ
আকাশের দিকে তাকিয়ে
থাকাকে অর্থবহ মনে হয়,
মনে হয় আকাশের বুকে
হারিয়ে গিয়ে জীবনের গ্লানি
ভুলে যাওয়া যায়,
ভাবনাগুলোকে ছুটি দেওয়া যায়,
হৃদয়কে প্রশান্ত করা যায়,
তাই বোধ করি
আকাশের বুক বিশাল,
আমাদের গ্লানিতো কম নয়
আমাদের ক্লান্তিও ভীষণ,
আকাশের বুকে মুখ গুঁজে তাই
যতসব ব্যর্থতাতাকে মনে হয়,
'ও কিছু নয়, ওটা কিছু নয়
জীবনে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয় ',
পাওয়ার আগে তাই বেশ কিছু দেই,
কান্না দেই,
দীর্ঘশ্বাস দেই,
প্রচুর সময় সাথে থাকার আশ্বাস দে্
বিনিময়ে আকাশ,
আমাকে বেঁচে থাকার স্পৃহা দেয়,
আমার বেদনাগুলো মুছে দেয়,
আকাশ আমার, আমি আকাশের হই...
এই কবিতা তোমাকে
আর একবার আকাশের কাছে নিয়ে যাবে...
*******************************************
দিনের মাঝে
আমি আকাশের দিকে
তাকিয়ে বেশ কিছু সময় কাটাই,
আকাশের বুকে তাকালেই
নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়,
তবুও চুপচাপ
আকাশের দিকে তাকিয়ে
থাকাকে অর্থবহ মনে হয়,
মনে হয় আকাশের বুকে
হারিয়ে গিয়ে জীবনের গ্লানি
ভুলে যাওয়া যায়,
ভাবনাগুলোকে ছুটি দেওয়া যায়,
হৃদয়কে প্রশান্ত করা যায়,
তাই বোধ করি
আকাশের বুক বিশাল,
আমাদের গ্লানিতো কম নয়
আমাদের ক্লান্তিও ভীষণ,
আকাশের বুকে মুখ গুঁজে তাই
যতসব ব্যর্থতাতাকে মনে হয়,
'ও কিছু নয়, ওটা কিছু নয়
জীবনে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয় ',
পাওয়ার আগে তাই বেশ কিছু দেই,
কান্না দেই,
দীর্ঘশ্বাস দেই,
প্রচুর সময় সাথে থাকার আশ্বাস দে্
বিনিময়ে আকাশ,
আমাকে বেঁচে থাকার স্পৃহা দেয়,
আমার বেদনাগুলো মুছে দেয়,
আকাশ আমার, আমি আকাশের হই...
Tuesday, April 1, 2014
মা
মা
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
তোকে আমি ভালবাসি
চাইনা আমি রাশিরাশি,
এইটুকু চাই,
হয় যেন ঠাঁই
তোরই চরণ তলে,
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
তোরই জন্য জীবন পাওয়া,
তোরই জন্য বড় হওয়া,
পেলাম নাকো কোন সময়,
বয়ে গেল হেলায় দুলায়
নিব তোকে কখন কোলে তুলে?
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
ডাকবে আমাই কেরে,
আপন নামটি ধরে,
ছুটে এসে,
ধরবে কাছে,
যাব গলায় মিলে,
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে...
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
তোকে আমি ভালবাসি
চাইনা আমি রাশিরাশি,
এইটুকু চাই,
হয় যেন ঠাঁই
তোরই চরণ তলে,
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
তোরই জন্য জীবন পাওয়া,
তোরই জন্য বড় হওয়া,
পেলাম নাকো কোন সময়,
বয়ে গেল হেলায় দুলায়
নিব তোকে কখন কোলে তুলে?
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে,
ডাকবে আমাই কেরে,
আপন নামটি ধরে,
ছুটে এসে,
ধরবে কাছে,
যাব গলায় মিলে,
মা তোর কোলে,
আমার চোখ ভিঝে যায় জলে...
ট্রেন আর একটা জীবনের গল্প
ট্রেন আর একটা জীবনের গল্প
আমার বাড়ির কিছু দূর দিয়ে
ছুটে চলা ট্রেন যায়
অনেক লম্বা ট্রেন
শেষ হতে চায় না
আমি হৃদয় শুন্য করতে
প্রায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করি
জীবনের ব্যস্ততায়
জীবনের কুলশতায়
হৃদয়ে গ্লানি ভরে থাকে
হৃদয়ে মেঘ জমে থাকে
ক্লান্ত বিকেলে তাই
হাল্কা চাদর জড়িয়ে
হেঁটে যাই রেল লাইনের কাছে
ছুটে আসা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করি
রেল লাইনের উপরে হাঁটা বারণ
ট্রেন না থাকলেও বারণ,
তবুও আমি দেখি
আমি রেল লাইনে হাঁটছি
কান পেতে শুনছি
কত দূরে ট্রেন
কত সময় তার আসার বাকি
কিছু দূরে ট্রেনটা দেখা গেলে
একটু দূরে গিয়ে বসে থাকি
এইতো ট্রেন আসছে
ঝুলন্ত কিছু মানুষ রেলিঙ্গে দেখা যাচ্ছে
কাছে আসতেই দেখা গেল
কত মানুষ জানালায়, বগির ভিতরে,
ট্রেনের ছাদে কিছু মানুষ
বিবাগী হয়ে শুয়ে আছে,
কত অচেনা মুখ
একটা চেনা ট্রেন নিয়ে যাচ্ছে দূরে
দেখতে দেখতেই ফুরিয়ে গেল
ছুটে যাওয়া ট্রেন হৃদয় শুন্য করে যায়
আমি শুন্য হৃদয় নিয়ে
দুঃখ ব্যথা ভুলে গিয়ে
পুনঃরায় হৃদয়কে জীবনের সাথে জড়াই......
আশে পাশে শুধু হৃদয় শুন্য করা খেলা
আশে পাশে শুধু হৃদয় শুন্য করা খেলা
...আশে পাশে শুধু
হৃদয় শুন্য করা খেলা,
আমার দিন রাত্রি যায়
চলে যায় কত বেলা,
ভেসে যাওয়া মেঘ
উড়ে যাওয়া পাখি,
আকাশেরা উড়ে গেলে
ঠায় বসে থাকি,
দূরে যায় কিছু
কিছু কাছে আসে,
আধারে হারায় যারা
তারাদের পরবাসে,
শুন্যতা দিয়ে যায়,
স্মৃতি শুধু কথা কয়,
স্মৃতি তো শুধুই
শূন্যতার খেলা,
আমার দিন রাত্রি যায়
চলে যায় কত বেলা...
...আশে পাশে শুধু
হৃদয় শুন্য করা খেলা,
আমার দিন রাত্রি যায়
চলে যায় কত বেলা,
ভেসে যাওয়া মেঘ
উড়ে যাওয়া পাখি,
আকাশেরা উড়ে গেলে
ঠায় বসে থাকি,
দূরে যায় কিছু
কিছু কাছে আসে,
আধারে হারায় যারা
তারাদের পরবাসে,
শুন্যতা দিয়ে যায়,
স্মৃতি শুধু কথা কয়,
স্মৃতি তো শুধুই
শূন্যতার খেলা,
আমার দিন রাত্রি যায়
চলে যায় কত বেলা...
Monday, March 31, 2014
বেদনা আর নিঝুম রাতের কবিতা
বেদনা আর নিঝুম রাতের কবিতা
তুমি বেদনায় হাত রাখো,
আমার বুকে হাতদুটি রাখো,
আজন্ম বেদনায় সিক্ত দেহ,
একটু উষ্ণতা পাক,
নদী মুছে দেয়নি
বৃষ্টি ধুঁয়ে নেয়নি
সাগর ভাসায়নি
তোমার ছোঁয়ায়
আমার গ্লানি সব মুছে যাক,
আমার সিক্ত দেহ একটু উষ্ণতা পাক
আমার চোখে,
হাজার বছর জেগে থাকা চোখে,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক,
পথ ক্লান্ত করেনি
রাত্রি ডাকেনি,
গান ঘুম পাড়ায়নি,
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়ায়
আমার চোখ দুটি,
শান্ত হয়ে নিঝুম রাতে
স্বস্তি পেয়ে ঘুমিয়ে গিয়ে থাক,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক...
তুমি বেদনায় হাত রাখো,
আমার বুকে হাতদুটি রাখো,
আজন্ম বেদনায় সিক্ত দেহ,
একটু উষ্ণতা পাক,
নদী মুছে দেয়নি
বৃষ্টি ধুঁয়ে নেয়নি
সাগর ভাসায়নি
তোমার ছোঁয়ায়
আমার গ্লানি সব মুছে যাক,
আমার সিক্ত দেহ একটু উষ্ণতা পাক
আমার চোখে,
হাজার বছর জেগে থাকা চোখে,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক,
পথ ক্লান্ত করেনি
রাত্রি ডাকেনি,
গান ঘুম পাড়ায়নি,
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়ায়
আমার চোখ দুটি,
শান্ত হয়ে নিঝুম রাতে
স্বস্তি পেয়ে ঘুমিয়ে গিয়ে থাক,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক...
কবি - ৭
প্রানের কবি প্রানের কথা বলে
হৃদের কবি হৃদের কথা বলে
**************************
সূর্য উঠলে ধীরে কিছুক্ষণ পড়ে
স্বচ্ছ আকাশ জুড়ে কিংবা মেঘলা আকাশ ভেদ করে
সূর্যের আলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে
আমি উদয়চলে উঠছি ধীরে ধীরে
আমার বানী তেমনি করে তোমার কাছে যাবে
আমার বানী তোমার হৃদের কথা কবে
হয়তো তুমি ব্যস্ত ভীষণ
অবসাদে বিষণ্ণ মন
পৃথিবীর ওপারে
যেখানে আধারে
আলো নেই
কোন ভাল লাগা নেই
অবজ্ঞা ভরে আমার এই কবিতায়
ঝুঁকে আসো মিহি প্রদীপের আলোয়
পড়তে পড়তে ভাববে যেন
আগেই পড়া হল না কেন এই কবিতাখানি
তোমার অবষন্ন সময়ে আমি জানি
হৃদয়ের কাছে যাবে আমার বানী
তোমার হৃদয়ের সাথে কথা কবে
তোমারে ভাল লাগা দিবে
তোমার কেবলি মনে হবে জানি
তোমারি জন্য লেখা এই কবিতাখানি
হ্যাঁ, তোমারি তরে এই কবিতা খানি লেখা
তোমারি তরে এই কবিতায় বেঁচে থাকা
তোমারি অবসন্ন সময়ে আমি জানি
তোমারে সুধা দেবে আমার হৃদয়ের বানী
সময়ের কাছে সবাই ঋণী তাই
কারো কাছে সময়ের ছিটে ফোঁটা নাই
তোমারে দেবে সঙ্গ আমার এই কবিতা খানি
তোমারে সুধা দেবে আমার হৃদয়ের বানী
তোমারি তরে এই কবিতা খানি লেখা
তোমারি তরে এই কবিতায় বেঁচে থাকা
Monday, March 24, 2014
অভিমানী যোদ্ধা
অভিমানী যোদ্ধা
(কবিতা টি গত বছরের লেখা (২৬ মার্চ ২০১৩), যখন মাতৃভূমির দেশদ্রোহীদের বিচারের কাজ চলছে। কবিতা টি আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম, আজ খুজে পেলাম। )
মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন
ওঁদের আসার কথা ছিল,
ওঁরা আসবে না,
সব কথা জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা অপেক্ষা করে চলে গেছে,
তোমাকে কেউ যদি
বেয়াল্লিশ বৎসর প্রতীক্ষায় থাকতে বলে,
তুমি নিশ্চয়ই চলে যাবে সব আশা ছেড়ে,
বেয়াল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করে,
অথবা বেয়াল্লিশ ঘণ্টা,
হয়তো বেয়াল্লিশ দিন অপেক্ষা করতে পারো
না হয় ধরে নিলাম বেয়াল্লিশ মাস,
তুমি কি থাকবে বেয়াল্লিশটি বৎসর?
থাকবে না,
ওঁরা তো বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষায় ছিল,
বেয়াল্লিশ বছর হায়ানাদের বিচরন দেখেছে,
বেয়াল্লিশ বছর ধরে ভেবেছিল,
চেয়েছিল মাতৃভুমিটা চির তরে স্বাধীন হোক,
দিয়েছে প্রিয় জীবন, প্রিয় মাতৃভূমির জন্য,
কেউ তাঁদের বলেনি যুদ্ধে যেতে,
কেউ তাঁদের বলেনি বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে আনতে,
ওঁরা পেরেছে মায়ের মুখে হাসি আনতে,
ওঁরা পেরেছে বিজয়ের নিশান উড়াতে,
এতটুকুই চাওয়া ছিল,
এতটুকুর অপেক্ষায় ছিল,
দেশদ্রোহীদের বিচার হবে,
কোথায় হল!
বেয়াল্লিশ বৎসরেও হল না,
কবে হবে কেউ কি জানে,
তাই তাঁরা বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষা করে চলে গেছে,
ওঁরা আসবে না আর,
সবগুলো জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা
অপেক্ষা করে চলে গেছে দূরে,
চলে গেছে বহু দূরে ........
(কবিতা টি গত বছরের লেখা (২৬ মার্চ ২০১৩), যখন মাতৃভূমির দেশদ্রোহীদের বিচারের কাজ চলছে। কবিতা টি আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম, আজ খুজে পেলাম। )
মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন
ওঁদের আসার কথা ছিল,
ওঁরা আসবে না,
সব কথা জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা অপেক্ষা করে চলে গেছে,
তোমাকে কেউ যদি
বেয়াল্লিশ বৎসর প্রতীক্ষায় থাকতে বলে,
তুমি নিশ্চয়ই চলে যাবে সব আশা ছেড়ে,
বেয়াল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করে,
অথবা বেয়াল্লিশ ঘণ্টা,
হয়তো বেয়াল্লিশ দিন অপেক্ষা করতে পারো
না হয় ধরে নিলাম বেয়াল্লিশ মাস,
তুমি কি থাকবে বেয়াল্লিশটি বৎসর?
থাকবে না,
ওঁরা তো বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষায় ছিল,
বেয়াল্লিশ বছর হায়ানাদের বিচরন দেখেছে,
বেয়াল্লিশ বছর ধরে ভেবেছিল,
চেয়েছিল মাতৃভুমিটা চির তরে স্বাধীন হোক,
দিয়েছে প্রিয় জীবন, প্রিয় মাতৃভূমির জন্য,
কেউ তাঁদের বলেনি যুদ্ধে যেতে,
কেউ তাঁদের বলেনি বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে আনতে,
ওঁরা পেরেছে মায়ের মুখে হাসি আনতে,
ওঁরা পেরেছে বিজয়ের নিশান উড়াতে,
এতটুকুই চাওয়া ছিল,
এতটুকুর অপেক্ষায় ছিল,
দেশদ্রোহীদের বিচার হবে,
কোথায় হল!
বেয়াল্লিশ বৎসরেও হল না,
কবে হবে কেউ কি জানে,
তাই তাঁরা বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষা করে চলে গেছে,
ওঁরা আসবে না আর,
সবগুলো জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা
অপেক্ষা করে চলে গেছে দূরে,
চলে গেছে বহু দূরে ........
Sunday, March 23, 2014
২৫ মার্চ ১৯৭১
২৫ মার্চ ১৯৭১
(অসংখ্য শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, যারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল এবং তা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছিল ও করছে! )
মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন
এইদিনটায় শুরু হল,
জীবনকে মুক্ত করার
দেশকে জীবনের সাথে যুক্ত করার সংগ্রাম,
জীবন দিয়েছে দেশ, গড়েছেও সে,
এবার তুমি তার স্বাধীনতা রক্ষা করো,
একবার যদি তুমি ভাবতে এমন,
পরাধীনতা কেমন,
কেমন করে জীবনের শেষ হয়,
জীবন কোন জীবন নয় পরাধীনতায়,
তুমি স্বাধীন দেশ পেয়েছ,
স্বাধীন ভাবে আকাশের নিচে
নিজের দেশকে কাছে পেয়েছ,
বুলেট আর গ্রেনেডের সামনে দাড়িয়ে
বলতে হয়নি, 'আমি স্বাধীনতা চাই',
একটাই প্রান দিয়ে দিতে হয়নি দেশের তরে,
স্বাধীনতা এসেছে অনেক জীবনেকে শুন্য করে,
অনেক বোবা কান্নায়, অনেক কিছু বিসর্জনে,
সব শহীদেরা তোমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে,
এবার তুমি তাঁদের শান্তিতে ঘুমাতে দাও স্বাধীন প্রাঙ্গনে,
তুমি যদি বলতে না পার তুমি কে
তবে তোমার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও,
তুমি যদি বুঝতে না পার যুদ্ধ কি
তবে তোমার জীবন রেখে আস স্মৃতি সৌধে,
তুমি যদি দেশের পক্ষে কিছু না বলতে পার
চলে যাও অন্য কোথাও এ দেশ ছেড়ে,
আমার হৃদয় লক্ষভেদি বুলেট আর গ্রেনেডের মত
যেকোনো সময় বেড়িয়ে আসতে পারে,
আমি হায়ানার কামড়ে ভয় করিনা,
বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে শহীদেরা
আমি তা কোন দিন হারাতে দিব না,
এটায় আমার যুদ্ধ, শ্রদ্ধা সেটা শহীদের তরে
তাঁদের এই অমূল্য ঋণ, বিজয়ের কথা, আমি ভুলে যাই কি করে...
Saturday, March 22, 2014
হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
কোন একদিন তার,
নষ্ট হয়ে গেছে জীবনের সব স্বাদ তারপর,
পেরিয়ে গেছে ব্যদনার অনেক সময়,
ক্লান্ত হয়েছে হৃদয়,
জীবনের তরে আমি আর
ফিরে আসি নি আবার,
ভালবাসা হারিয়ে গেলে পরে,
মৃত্যু এসে সময়ের বুক থেকে জীবনেরে
নিয়ে যায়, তারপর বদলে দিয়ে যায়
জীবনের সময়,
কিছুই থাকে নাতো আর,
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর
হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
কোন একদিন তার,
নষ্ট হয়ে গেছে জীবনের সব স্বাদ তারপর,
পেরিয়ে গেছে ব্যদনার অনেক সময়,
ক্লান্ত হয়েছে হৃদয়,
জীবনের তরে আমি আর
ফিরে আসি নি আবার,
ভালবাসা হারিয়ে গেলে পরে,
মৃত্যু এসে সময়ের বুক থেকে জীবনেরে
নিয়ে যায়, তারপর বদলে দিয়ে যায়
জীবনের সময়,
কিছুই থাকে নাতো আর,
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর
নারী- ৪
নারী - ৪
এ সময় এক অন্য সময়
এই সময়ে প্রেম কি আছে?
কোন ভালবাসা নেই,
সব বৈভবে হারিয়ে গেছে
ভালবাসা প্রেম,
হারিয়ে গেছে সব সুন্দর ডাকনাম,
এই সময় যে সময়ে
ভালবাসা মূল্যহীন,
শুধু অন্য কিছু খুব দরকারি,
তবুও আমি ভালবাসার লেনদেনে
ভালবাসাই দিতে পারি,
আমার কাছে অন্য কিছু মূল্যহীন
আমার কাছে প্রেম অমূল্য, অমলিন...
তুমি তো ভালবাসাই চেয়ে ছিলে
ভালবাসা ছাড়া অন্য কিছু নয়,
ভেবে দেখ দিনগুলো তাই
অন্য রকম ছিল, সেরকম তুমিও ছিলে,
আজ কেন তুমি অন্য কিছু চাও,
কেন বলো অন্য পৃথিবী দাও ,
ভালবাসা চেয়ে দেখো আজো,
আমার চোখে ভালবাসা খোঁজ,
দেখবে সময়গুল আগেরি মত দ্রুত উড়ে যাচ্ছে,
আমাকে আগেরি মত ভাল লাগছে,
ভালবাসা ছাড়া কিছু বুঝবে না আর,
খুজে পাবে আমার জন্য শুধু তুমি, আমি শুধু তোমার
অন্য সব কিছু মনে হবে মূল্যহীন
প্রেম মনে হবে শুধু অমূল্য, অমলিন ...
মৃত্যুর জীবন
মৃত্যুর জীবন
...আমি সবসময় মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত,
জীবন দিয়েছে আমাকে ঢের,
আমি জানি অনেক বিস্ময় এখনো অধরা রয়ে গেছে,
অজস্র পৃথিবীর মুখ অদেখা আছে,
তবুও মৃত্যুর ভুবন আসীম অনেক,
এইসব, সব জীবনের বিস্ময়,
বহুমাত্রিকে অনেক গুনে লুকিয়ে আছে মৃত্যুর স্পর্শ,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন সময়
মৃত্যু আমাকে দিবে সীমাহীন, ক্লান্তহীন জীবন
এই পৃথিবীর জীবনের গ্লানি নেই
ক্লান্তি নেই, ঘুম নেই,
শুধু সময়ের মত বয়ে চলা নদী
যার শুরু আছে শেষ নেই,
সীমাহীন সেই মৃত্যুর জীবনে
বহুমাত্রিকে অনেকগুনে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব বিস্ময়,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন দিন যে কোন সময়....
...আমি সবসময় মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত,
জীবন দিয়েছে আমাকে ঢের,
আমি জানি অনেক বিস্ময় এখনো অধরা রয়ে গেছে,
অজস্র পৃথিবীর মুখ অদেখা আছে,
তবুও মৃত্যুর ভুবন আসীম অনেক,
এইসব, সব জীবনের বিস্ময়,
বহুমাত্রিকে অনেক গুনে লুকিয়ে আছে মৃত্যুর স্পর্শ,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন সময়
মৃত্যু আমাকে দিবে সীমাহীন, ক্লান্তহীন জীবন
এই পৃথিবীর জীবনের গ্লানি নেই
ক্লান্তি নেই, ঘুম নেই,
শুধু সময়ের মত বয়ে চলা নদী
যার শুরু আছে শেষ নেই,
সীমাহীন সেই মৃত্যুর জীবনে
বহুমাত্রিকে অনেকগুনে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব বিস্ময়,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন দিন যে কোন সময়....
Thursday, March 20, 2014
কবি - ৬
কবি - ৬
আমাকে একটি কবিতা লিখতে দাও
আমি তোমাকে মৃত্যুহীন জীবন দিব...
প্রানের কবি
***************************
আমি বরাবর, বারবার কবি হতে চেয়েছি
আমাকে অন্যান্য কিছু হবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল
বেছে নিতে বলা হয়েছিল অন্য জীবন
বাছতে বলা হয়েছিল অন্য জীবনের কারন
আমি গড়িনি নতুন কোন শহর
বানাই কোন চাকচিক্যের ঘর
আমি মন দেইনি বৈভবে
কবি হবার স্বপ্ন শুরু আমার শৈশবে
কৈশোর গেল, যৌবনে এলো কত উত্থান পতন
তবুও টানেনি আমাকে অন্য জীবন
আমি কবির জীবন ভালবেসেছি
তাই বরাবর, বারবার কবির জীবনকে বেছে নিয়েছি
আমি কবি হতে পেরেছি কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না,
কবির হৃদয়ের ভালবাসায়
জীবনে মৃত্যুর রুপ আসবে যদিও, মৃত্যু আমাকে ছোঁবে না...
আমাকে একটি কবিতা লিখতে দাও
আমি তোমাকে মৃত্যুহীন জীবন দিব...
প্রানের কবি
***************************
আমি বরাবর, বারবার কবি হতে চেয়েছি
আমাকে অন্যান্য কিছু হবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল
বেছে নিতে বলা হয়েছিল অন্য জীবন
বাছতে বলা হয়েছিল অন্য জীবনের কারন
আমি গড়িনি নতুন কোন শহর
বানাই কোন চাকচিক্যের ঘর
আমি মন দেইনি বৈভবে
কবি হবার স্বপ্ন শুরু আমার শৈশবে
কৈশোর গেল, যৌবনে এলো কত উত্থান পতন
তবুও টানেনি আমাকে অন্য জীবন
আমি কবির জীবন ভালবেসেছি
তাই বরাবর, বারবার কবির জীবনকে বেছে নিয়েছি
আমি কবি হতে পেরেছি কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না,
কবির হৃদয়ের ভালবাসায়
জীবনে মৃত্যুর রুপ আসবে যদিও, মৃত্যু আমাকে ছোঁবে না...
কলোরাডো
কলোরাডো
পৃথিবীটা অনেক বড়।
সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গেলে, অনেক বড়। ছোট্ট জীবনের তুলনায় অনেক অনেক বড়। কত টুকু আর দেখা যায়, এই জীবনে! চারপাশটা যদি ঘুরে ঘুরে দেখি, তাহলেও চলে যাবে জীবনের আধেকটা সময়। অনেক জায়গা তো আছে, বার বার যেতে ইচ্ছে করে, অনেকবার যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে, জীবনের সময়ের সাথে পৃথিবীটাকে দেখার সময় খুবই কম। আশে পাশের জায়গাটুকুর মাঝে ঘুরে ফিরে কত কিছু দেখার আছে।
অনেকে তো আকাশ দেখেই জীবন পাড় করে দিল। আকাশ দেখার মাঝে কি যে নেশা আসে। মেঘহীন স্বচ্ছ নীল আকাশের মায়া বড় অদ্ভুত। একাধারে অনেক ক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে, মনে হয় আকাশটা অনেক কাছে চলে এসেছে। বায়বীয় নয়, তরল আকাশ। মনে হয় বিশাল সমুদ্র উল্টো হয়ে আছে, ঢেউহীন নীল সমুদ্র। হয়ত বা ঢেউ আছে, দূর থেকে দেখা যায় না, কে জানে। যদিও এখনো আকাশ বলে কিছু আবিষ্কৃত হয়নি, এই নীল আকাশ শুধুই চোখের ফাঁকি। ক্লান্ত দৃষ্টি কিছু পায় না, বলে নীলে রঙ দেখে, মনে হয় ব্যদনার রঙ নীল, তাই মেঘমুক্ত স্বচ্ছ আকাশ নীল। আর এখানকার আকাশটা অনেক কাছে। হ্যাঁ, সমুদ্র সীমার ৪৮৫৪ ফুট উপরে লংমণ্ট, আকাশ তো কাছে লাগবেই।
পৃথিবীর কথা বলতে গিয়ে চলে গেলাম আকাশে। পৃথিবীতে ফিরে আসি। পাহাড়ের কথা বলি। আমি থাকি পাহাড়ের অনেক কাছাকাছি। আমার বারান্দায় দাঁড়ালেই পাহাড় দেখা যায়। বরফে ঢাকা পাহাড়। পাহাড়ের সারি। অনেক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়। ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ আর দৃষ্টি বরফে ঢাকা পাহাড়ের দিকে, সময়ের কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি করে। আমি যখন গাড়ি চালিয়ে যায় পাহাড়ের পাশ দিয়ে, কত বার যে তাকায়, তার ইত্তায়া নেই। এই পাহাড়ের সারি থেকে চোখ ফেরন কঠিন কাজের একটি। একটা বিষয় লক্ষ করলাম কিছু দিন। পাহাড়ের উপরে জমে থাকা বরফ গুলো বাতাসে জোরে উড়ে গেলে, অদ্ভুত এক ধরনের দৃশ্য তৈরি করে। মনে হয়, বরফ না, সাদা বালি উড়ে যাচ্ছে। কখন মনে হয়, ঠাণ্ডা ধোঁয়া উঠছে। মাঝে মাঝে মেঘগুলো পাহাড়ের খুব কাছা কাছি চলে যায়, নড়েচড়ে না, এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে, বাতাস আসলে দেই ছুট। মনে হয় মেঘ গুলো পাহাড়ের বুক থেকে উঠে আসছে, পাহাড়ের আশে পাশে ঘুর পাক খাচ্ছে, ধমকা হাওয়া মেঘগুলোকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। অদ্ভুত!
গরমের সময় বরফ থাকে না । তবে অন্য রকম এক ঘটনা ঘটে। দুপুরের রোদ্রে পাহাড় গুলো কে সুবিশাল লোহার স্তুপের মত লাগে। মনে হয় আদি কালে কেউ এখানে লোহার কারুকাজ করে রেখে গেছে। হয়ত সমুদ্রের ঢেউর আকৃতি করতে চেয়ে ছিল। এত বিশাল পাহাড়ের সারিকে ওরা ডাকে 'ফ্ল্যাট আইরন'। বিকেলের আলোয় একদম সমুদ্রের ঢেউর মত অসংখ্য ঢেউ এদিকে ছুটে আসে।
বেশ কিছু লেক আছে এখানে। ছোট বড়। চোখের মত এক লেক আছে কিছু দূরে। কাজল দিয়ে টানা চোখের মত। শীতের সময় লেকগুলো বরফে ঢেকে যায় একদম। বরফ লেকের উপর খেলা হয় স্কেটিং। ছোট ছোট বাচ্চারা হেলে দুলে খেলে। কেউ কেউ বরফ ফুটো করে মাছ ধরে। হ্যাঁ, এরা মাছ ধরায় ওস্তাদ লোক আছে। বিশাল আয়োজন করে মাছ ধরে। মাছ ধরতে লাইসেন্স লাগে। তারপর ছিপি কেনা, নেট কেনা, বরফ খোদাই করার মেশিন, মাছ রাখার পাত্র কত কিছুর আয়োজন। গ্রীষ্মের সময় তো কত কিছু করা যা, শীতের সময় ঘরে বসে থেকে কি হবে, মাছ ধরা বরঞ্চ অনেক ভাল।
কিছু কিছু লেক, ঠাণ্ডার সময়ও অনেক গরম পানিতে ভরে থাকে। এগুলোকে বলে হট স্প্রিং। কৃত্রিম উপায়ে না, প্রাকৃতিক ভাবেই এই লেকগুলো গরম পানিতে ভরা থাকা। গরম বলতে গোসল করার মত উষ্ণ পানি। যেখানে অন্য সব লেকগুলো জমে বরফ, সেখানে এই হট স্প্রিংগুলো সহনীয় পানিতে টইটুম্বুর। দল বেঁধে লোকজন সাতার কাটতে যায়। কিছু হট স্প্রিং পাহাড়ে ঘেরা, অদ্ভুত পরিবেশ।
কিছু লেক রিজারভইর মানে পানি সংরক্ষণের জন্য বানানো হয়েছে। পুরো কলোরাডো জুড়ে অসংখ্য রিজারভইর। ভুলে গেলে চলবে না, কলোরাডো এক ধরনের মরুভুমি। লাল মাটি আর বিশাল বিশাল পাহাড়ের মরুভুমি। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড উত্তাপে যেন খরা না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে খরা দেখা দেই এদিকটায়। পানির অভাবে পাহাড়ে পাহাড়ে আগুন লাগে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। খরার সময় অপ্রয়োজনে পানি খরচ করলে, জরিমানা গুনতে হয়।
এখানকার সবচেয়ে বড় নদী কলোরাডো রিভার। অনেক অনেক বড়। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে কোথাও অনেক প্রশস্ত। কিন্তু দীর্ঘ অনেক। এছাড়াও কিছু ছোট বড় নদী আছে, যেগুলোর অনেক গুলো শীতকালে শুকিয়ে যায়, গ্রীষ্মে কিছুটা পানি আসে। কলোরাডো রিভারে স্রোত থাকায় ঠাণ্ডায় জমে না। গ্রীষ্মের সময় নৌকায় চরে এক ধরনের খেলা হয়, এগুলোকে রেফটিং বলে। আঁকা বাকা নদীর বুকে ছোট ছোট নৌকার মত কায়াক চড়ায়।
শীতের শুরুতে অসংখ্য রাজহাঁস উড়ে যায় দক্ষিণে, গরমের খোঁজে। এগুলোকে ক্যানাডিয়ান গুজ বলে। কানাডা থেকে উড়ে উড়ে, আমেরিকা পাড়ি দিয়ে আরো দক্ষিণে যায়। দল বেঁধে, এত্ত বড় বড় রাজহাঁস। উড়ার সময় অনেক শব্দ করে করে যায়। আমাদের দেশের অতিথি পাখির মত কিছু পাখি, এখানকার মাঠ ঘাটে, লেকে যাত্রা বিরতি নেই। কখনো মাঠ জুড়ে রাজহাঁসে ভরে যায়। বরফ পরার সময় কিছু রাজহাঁসকে চুপচাপ মাঠের উপর বসে থাকতে দেখেছি। এরা দেরি করে যাত্রা শুরু করেছে বিধায় পিছনে পরে গেছে! এদের কেউ মারে না, ধরে না, এরা কাউকে ভয়ও করে না। নিশ্চিন্তে লেকে জমা হচ্ছে, মাঠে দল বেঁধে বসে আছে। রাজহাঁসের উড়ে এসে পানিতে নামাতা খুবই সুন্দর আবার উড়ে যাওয়াটা অদ্ভুত। ডানার জাপটায় একে একে সব উড়ে যায়। গ্রীষ্মের শুরুতে আবার দল বেঁধে উত্তরে যাওয়া। অনেক কোলাহল করে উড়তে উড়তে নিজের দেশে ফিরে যাওয়া।
পৃথিবীটা অনেক বড়।
সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গেলে, অনেক বড়। ছোট্ট জীবনের তুলনায় অনেক অনেক বড়। কত টুকু আর দেখা যায়, এই জীবনে! চারপাশটা যদি ঘুরে ঘুরে দেখি, তাহলেও চলে যাবে জীবনের আধেকটা সময়। অনেক জায়গা তো আছে, বার বার যেতে ইচ্ছে করে, অনেকবার যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে, জীবনের সময়ের সাথে পৃথিবীটাকে দেখার সময় খুবই কম। আশে পাশের জায়গাটুকুর মাঝে ঘুরে ফিরে কত কিছু দেখার আছে।
অনেকে তো আকাশ দেখেই জীবন পাড় করে দিল। আকাশ দেখার মাঝে কি যে নেশা আসে। মেঘহীন স্বচ্ছ নীল আকাশের মায়া বড় অদ্ভুত। একাধারে অনেক ক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে, মনে হয় আকাশটা অনেক কাছে চলে এসেছে। বায়বীয় নয়, তরল আকাশ। মনে হয় বিশাল সমুদ্র উল্টো হয়ে আছে, ঢেউহীন নীল সমুদ্র। হয়ত বা ঢেউ আছে, দূর থেকে দেখা যায় না, কে জানে। যদিও এখনো আকাশ বলে কিছু আবিষ্কৃত হয়নি, এই নীল আকাশ শুধুই চোখের ফাঁকি। ক্লান্ত দৃষ্টি কিছু পায় না, বলে নীলে রঙ দেখে, মনে হয় ব্যদনার রঙ নীল, তাই মেঘমুক্ত স্বচ্ছ আকাশ নীল। আর এখানকার আকাশটা অনেক কাছে। হ্যাঁ, সমুদ্র সীমার ৪৮৫৪ ফুট উপরে লংমণ্ট, আকাশ তো কাছে লাগবেই।
পৃথিবীর কথা বলতে গিয়ে চলে গেলাম আকাশে। পৃথিবীতে ফিরে আসি। পাহাড়ের কথা বলি। আমি থাকি পাহাড়ের অনেক কাছাকাছি। আমার বারান্দায় দাঁড়ালেই পাহাড় দেখা যায়। বরফে ঢাকা পাহাড়। পাহাড়ের সারি। অনেক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়। ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ আর দৃষ্টি বরফে ঢাকা পাহাড়ের দিকে, সময়ের কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি করে। আমি যখন গাড়ি চালিয়ে যায় পাহাড়ের পাশ দিয়ে, কত বার যে তাকায়, তার ইত্তায়া নেই। এই পাহাড়ের সারি থেকে চোখ ফেরন কঠিন কাজের একটি। একটা বিষয় লক্ষ করলাম কিছু দিন। পাহাড়ের উপরে জমে থাকা বরফ গুলো বাতাসে জোরে উড়ে গেলে, অদ্ভুত এক ধরনের দৃশ্য তৈরি করে। মনে হয়, বরফ না, সাদা বালি উড়ে যাচ্ছে। কখন মনে হয়, ঠাণ্ডা ধোঁয়া উঠছে। মাঝে মাঝে মেঘগুলো পাহাড়ের খুব কাছা কাছি চলে যায়, নড়েচড়ে না, এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে, বাতাস আসলে দেই ছুট। মনে হয় মেঘ গুলো পাহাড়ের বুক থেকে উঠে আসছে, পাহাড়ের আশে পাশে ঘুর পাক খাচ্ছে, ধমকা হাওয়া মেঘগুলোকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। অদ্ভুত!
গরমের সময় বরফ থাকে না । তবে অন্য রকম এক ঘটনা ঘটে। দুপুরের রোদ্রে পাহাড় গুলো কে সুবিশাল লোহার স্তুপের মত লাগে। মনে হয় আদি কালে কেউ এখানে লোহার কারুকাজ করে রেখে গেছে। হয়ত সমুদ্রের ঢেউর আকৃতি করতে চেয়ে ছিল। এত বিশাল পাহাড়ের সারিকে ওরা ডাকে 'ফ্ল্যাট আইরন'। বিকেলের আলোয় একদম সমুদ্রের ঢেউর মত অসংখ্য ঢেউ এদিকে ছুটে আসে।
বেশ কিছু লেক আছে এখানে। ছোট বড়। চোখের মত এক লেক আছে কিছু দূরে। কাজল দিয়ে টানা চোখের মত। শীতের সময় লেকগুলো বরফে ঢেকে যায় একদম। বরফ লেকের উপর খেলা হয় স্কেটিং। ছোট ছোট বাচ্চারা হেলে দুলে খেলে। কেউ কেউ বরফ ফুটো করে মাছ ধরে। হ্যাঁ, এরা মাছ ধরায় ওস্তাদ লোক আছে। বিশাল আয়োজন করে মাছ ধরে। মাছ ধরতে লাইসেন্স লাগে। তারপর ছিপি কেনা, নেট কেনা, বরফ খোদাই করার মেশিন, মাছ রাখার পাত্র কত কিছুর আয়োজন। গ্রীষ্মের সময় তো কত কিছু করা যা, শীতের সময় ঘরে বসে থেকে কি হবে, মাছ ধরা বরঞ্চ অনেক ভাল।
কিছু কিছু লেক, ঠাণ্ডার সময়ও অনেক গরম পানিতে ভরে থাকে। এগুলোকে বলে হট স্প্রিং। কৃত্রিম উপায়ে না, প্রাকৃতিক ভাবেই এই লেকগুলো গরম পানিতে ভরা থাকা। গরম বলতে গোসল করার মত উষ্ণ পানি। যেখানে অন্য সব লেকগুলো জমে বরফ, সেখানে এই হট স্প্রিংগুলো সহনীয় পানিতে টইটুম্বুর। দল বেঁধে লোকজন সাতার কাটতে যায়। কিছু হট স্প্রিং পাহাড়ে ঘেরা, অদ্ভুত পরিবেশ।
কিছু লেক রিজারভইর মানে পানি সংরক্ষণের জন্য বানানো হয়েছে। পুরো কলোরাডো জুড়ে অসংখ্য রিজারভইর। ভুলে গেলে চলবে না, কলোরাডো এক ধরনের মরুভুমি। লাল মাটি আর বিশাল বিশাল পাহাড়ের মরুভুমি। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড উত্তাপে যেন খরা না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে খরা দেখা দেই এদিকটায়। পানির অভাবে পাহাড়ে পাহাড়ে আগুন লাগে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। খরার সময় অপ্রয়োজনে পানি খরচ করলে, জরিমানা গুনতে হয়।
এখানকার সবচেয়ে বড় নদী কলোরাডো রিভার। অনেক অনেক বড়। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে কোথাও অনেক প্রশস্ত। কিন্তু দীর্ঘ অনেক। এছাড়াও কিছু ছোট বড় নদী আছে, যেগুলোর অনেক গুলো শীতকালে শুকিয়ে যায়, গ্রীষ্মে কিছুটা পানি আসে। কলোরাডো রিভারে স্রোত থাকায় ঠাণ্ডায় জমে না। গ্রীষ্মের সময় নৌকায় চরে এক ধরনের খেলা হয়, এগুলোকে রেফটিং বলে। আঁকা বাকা নদীর বুকে ছোট ছোট নৌকার মত কায়াক চড়ায়।
শীতের শুরুতে অসংখ্য রাজহাঁস উড়ে যায় দক্ষিণে, গরমের খোঁজে। এগুলোকে ক্যানাডিয়ান গুজ বলে। কানাডা থেকে উড়ে উড়ে, আমেরিকা পাড়ি দিয়ে আরো দক্ষিণে যায়। দল বেঁধে, এত্ত বড় বড় রাজহাঁস। উড়ার সময় অনেক শব্দ করে করে যায়। আমাদের দেশের অতিথি পাখির মত কিছু পাখি, এখানকার মাঠ ঘাটে, লেকে যাত্রা বিরতি নেই। কখনো মাঠ জুড়ে রাজহাঁসে ভরে যায়। বরফ পরার সময় কিছু রাজহাঁসকে চুপচাপ মাঠের উপর বসে থাকতে দেখেছি। এরা দেরি করে যাত্রা শুরু করেছে বিধায় পিছনে পরে গেছে! এদের কেউ মারে না, ধরে না, এরা কাউকে ভয়ও করে না। নিশ্চিন্তে লেকে জমা হচ্ছে, মাঠে দল বেঁধে বসে আছে। রাজহাঁসের উড়ে এসে পানিতে নামাতা খুবই সুন্দর আবার উড়ে যাওয়াটা অদ্ভুত। ডানার জাপটায় একে একে সব উড়ে যায়। গ্রীষ্মের শুরুতে আবার দল বেঁধে উত্তরে যাওয়া। অনেক কোলাহল করে উড়তে উড়তে নিজের দেশে ফিরে যাওয়া।
Friday, March 14, 2014
পতাকা এবং অন্যান্য
পতাকা এবং অন্যান্য
১।
কিছুদিন আগে অন লাইনে একটা ভিডিও দেখেছিলাম। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিল যে, প্রশ্নকর্তা বেশ কিছু জনকে প্রশ্ন করছিলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে, এইসব দিনে কি হয়েছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগই উত্তর দিতে পারে নি, অদ্ভুত সব উত্তর দিয়েছে, কিছু কিছু উত্তর খুবই হাস্যকর এবং লজ্জাকর।
প্রশ্ন কর্তা কি ইচ্ছে করে, যারা পারেনি তাদের দেখিয়েছে, না আসলেই ঘটনা এরকম বুঝতে পারিনি, মানতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই হয়ত, বুঝতে পারি নি। যাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা শিক্ষিতই মনে হয়েছিল, স্কুল কলেজে কি বাংলাদেশের ইতিহাস উঠিয়ে ফেলা হয়েছে, এই সব দিনে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল, সেইসব নিয়ে কি শিক্ষা দেওয়া হয়নি! আর দেশের এত গুরুত্ব পূর্ণ দিনগুলো জানতে খুব বেশি কি শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় সমস্যা অন্য কোথাও, সমস্যা আমাদের বোধে, সমস্যা আমাদের মাঝে একে অন্যের প্রতি অবহেলার, নিজের ভিতরে অহমিকায়। এর অনেক প্রতিকারই আছে। আমার কাছে যেটা সহজ মনে হয়েছে যে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা, বেশি বেশি লেখা, দুরের হোক কাছের হোক সবাইকে জানানো। মানুষ গর্বিত বিষয় নিয়ে খুশি হয়, আহাল্বাদ করে, এর ওর কাছে বলে বেড়ায়, নানান ছেলে মানুষি করে। আমাদের যে ইতিহাস তাতো গর্বের, তা নিয়ে কি করেছি। তেমন কিছুই না। তবে আমি চেষ্টা করি বিদেশীদের সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশের সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে, ফেব্রুয়ারির, মার্চের, বৈশাখের, স্বাধীনতার আর বিজয়ের কথা বলতে আমার বরাবরই ভাল লাগে। কাছের লোক জনের জন্য কিছু লেখা লেখি করে নিজের দেশেকে নিয়ে আমার চিন্তা আর আবেগের কথা তুলে ধরি, দেশকে নিয়ে ভালবাসা আহাল্বাদে দোষের কি আছে!
২।
আমাদের দেশাত্মবোধ শুধু কয়েকটি দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। গোটা কয়েকটা দিনের শেষে দেশেই থাকি, তবুও দেশের কথা ভুলে যাই। তা নাহলে, কেউ বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতাকা উড়াতে পারতনা। যারা গ্যালারীতে বসে অন্য দেশের পতাকা উড়িয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতে, বৈশাখে, বিজয় দিবস উদযাপন করেছে, শুধুই অন্যের দেখা দেখি, দিনগুলো কি এবং কেন সে ব্যাপার কিছুই জানে না। দেশ সম্পর্কে বিন্দু মাত্র জ্ঞান আর ভালবাসা থাকলে, কেউ পাকিস্থানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করত না, অন্য দেশের পতাকা উড়াতে হীনমন্যতা বোধ করত। আমার মনে হয় এদের হীনমন্যতা বলতে কিছু নেই, থাকবেই বা কি করে, অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
অনেকে ধর্মকে টেনে এনে বলে ওরা তো মুসলিম, তাই পাকিস্থানকে সাপোর্ট করি। প্রথমত, ধর্মেতো এই সব খেলা সবিই নিষেধ। তাহলে খেলা দেখেন কেন। আচ্ছা খেলা দেখেন আপনার বিষয়, কিন্তু একাত্তুরে বাংলাদেশের বুকে যারা হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল তারা কি মোসলমান ছিল না, নাকি ভিন্ন ধর্মী কাউকে দিয়ে এই দেশের লোক জনকে হত্যা করেছে! এদেশের লোক জন কি ধর্মের ভাই ছিল না তখন। তবে এখন কেন আগ বাড়িয়ে ধর্মের ভাই ভাই বলে আহাল্বাদকরেন! অজ্ঞতার সীমা থাকা দরকার। আইন করে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতকা উত্তোলন বন্ধ করা উচিৎ। যারা চোখ থাকতেও নিজের ভুল দেখে না, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিখিয়ে দিতে হয়।
৩।
মার্চ মাস চলছে। স্বাধীনতার মাস চলছে। দেশের প্রতিটা মানুষের জানা উচিৎ, আমাদের স্বাধীনতার শুরু এ মাস থেকে, আমাদের যুদ্ধ হয়েছে আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার, আমাদের আপন সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য। খেলার গ্যালারিতে কিছু মূর্খ জনতার গণ্ডামি ছাড়াও, বসিবি T20 এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, নিজের দেশের তারকাদের দমিয়ে রেখে, অন্য দেশের শিল্পীদের নিয়ে যে আদিখ্যেতা করল, তা দেখে খুবই হতবাক হয়েছি। বাংলাদেশে খেলা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিল্পীরাই বেশি প্রাধান্য পাবে, এদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্য দেশের শিল্পীরা আমাদের অতিথি, তাদের আপ্যায়ন করা সমুচিত, কিন্তু তাদের নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা ভাল সাঁজে না। বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতি দর্শকদের অনুভুতি খুবই বেদনাদায়ক। ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় সংস্কৃতি বাংলাদেশের প্রতি রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে গেছে। কিছুদিন পরে আমাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও হিন্দি গান শোনা যাবে। এটা আমরাই হতে দিয়েছি এবং দিচ্ছি, নিজের স্বকীয়তা আর নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে, অন্য সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আসলেই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক অনেক কঠিন।
৪।
ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সবসময় আমার কাছে প্রেরণার আর গর্বের। আমি আমরন বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে যাব, আমি বাংলার গান গেয়ে যাব, আমি বাংলায় গান গেয়ে যাব। পতাকা নিয়ে একটি কবিতা দিয়ে শেষ করছিঃ
পতাকা
এই পতাকা তুলে ধরো মুক্ত আকাশে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা,
সবুজ অংশটুকু পুরো বাংলাদেশের কথা,
লাল জায়গাটুকু রক্তস্নাত স্বাধীনতা,
তোমার হাতে এক জাগ্রত জাতির নিশান,
তোমার হাতে অন্যায়ে আপোষহীন জাতির প্রমাণ,
উঁচিয়ে ধরো শক্ত দুহাতে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা...
১।
কিছুদিন আগে অন লাইনে একটা ভিডিও দেখেছিলাম। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিল যে, প্রশ্নকর্তা বেশ কিছু জনকে প্রশ্ন করছিলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে, এইসব দিনে কি হয়েছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগই উত্তর দিতে পারে নি, অদ্ভুত সব উত্তর দিয়েছে, কিছু কিছু উত্তর খুবই হাস্যকর এবং লজ্জাকর।
প্রশ্ন কর্তা কি ইচ্ছে করে, যারা পারেনি তাদের দেখিয়েছে, না আসলেই ঘটনা এরকম বুঝতে পারিনি, মানতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই হয়ত, বুঝতে পারি নি। যাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা শিক্ষিতই মনে হয়েছিল, স্কুল কলেজে কি বাংলাদেশের ইতিহাস উঠিয়ে ফেলা হয়েছে, এই সব দিনে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল, সেইসব নিয়ে কি শিক্ষা দেওয়া হয়নি! আর দেশের এত গুরুত্ব পূর্ণ দিনগুলো জানতে খুব বেশি কি শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় সমস্যা অন্য কোথাও, সমস্যা আমাদের বোধে, সমস্যা আমাদের মাঝে একে অন্যের প্রতি অবহেলার, নিজের ভিতরে অহমিকায়। এর অনেক প্রতিকারই আছে। আমার কাছে যেটা সহজ মনে হয়েছে যে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা, বেশি বেশি লেখা, দুরের হোক কাছের হোক সবাইকে জানানো। মানুষ গর্বিত বিষয় নিয়ে খুশি হয়, আহাল্বাদ করে, এর ওর কাছে বলে বেড়ায়, নানান ছেলে মানুষি করে। আমাদের যে ইতিহাস তাতো গর্বের, তা নিয়ে কি করেছি। তেমন কিছুই না। তবে আমি চেষ্টা করি বিদেশীদের সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশের সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে, ফেব্রুয়ারির, মার্চের, বৈশাখের, স্বাধীনতার আর বিজয়ের কথা বলতে আমার বরাবরই ভাল লাগে। কাছের লোক জনের জন্য কিছু লেখা লেখি করে নিজের দেশেকে নিয়ে আমার চিন্তা আর আবেগের কথা তুলে ধরি, দেশকে নিয়ে ভালবাসা আহাল্বাদে দোষের কি আছে!
২।
আমাদের দেশাত্মবোধ শুধু কয়েকটি দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। গোটা কয়েকটা দিনের শেষে দেশেই থাকি, তবুও দেশের কথা ভুলে যাই। তা নাহলে, কেউ বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতাকা উড়াতে পারতনা। যারা গ্যালারীতে বসে অন্য দেশের পতাকা উড়িয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতে, বৈশাখে, বিজয় দিবস উদযাপন করেছে, শুধুই অন্যের দেখা দেখি, দিনগুলো কি এবং কেন সে ব্যাপার কিছুই জানে না। দেশ সম্পর্কে বিন্দু মাত্র জ্ঞান আর ভালবাসা থাকলে, কেউ পাকিস্থানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করত না, অন্য দেশের পতাকা উড়াতে হীনমন্যতা বোধ করত। আমার মনে হয় এদের হীনমন্যতা বলতে কিছু নেই, থাকবেই বা কি করে, অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
অনেকে ধর্মকে টেনে এনে বলে ওরা তো মুসলিম, তাই পাকিস্থানকে সাপোর্ট করি। প্রথমত, ধর্মেতো এই সব খেলা সবিই নিষেধ। তাহলে খেলা দেখেন কেন। আচ্ছা খেলা দেখেন আপনার বিষয়, কিন্তু একাত্তুরে বাংলাদেশের বুকে যারা হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল তারা কি মোসলমান ছিল না, নাকি ভিন্ন ধর্মী কাউকে দিয়ে এই দেশের লোক জনকে হত্যা করেছে! এদেশের লোক জন কি ধর্মের ভাই ছিল না তখন। তবে এখন কেন আগ বাড়িয়ে ধর্মের ভাই ভাই বলে আহাল্বাদকরেন! অজ্ঞতার সীমা থাকা দরকার। আইন করে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতকা উত্তোলন বন্ধ করা উচিৎ। যারা চোখ থাকতেও নিজের ভুল দেখে না, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিখিয়ে দিতে হয়।
৩।
মার্চ মাস চলছে। স্বাধীনতার মাস চলছে। দেশের প্রতিটা মানুষের জানা উচিৎ, আমাদের স্বাধীনতার শুরু এ মাস থেকে, আমাদের যুদ্ধ হয়েছে আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার, আমাদের আপন সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য। খেলার গ্যালারিতে কিছু মূর্খ জনতার গণ্ডামি ছাড়াও, বসিবি T20 এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, নিজের দেশের তারকাদের দমিয়ে রেখে, অন্য দেশের শিল্পীদের নিয়ে যে আদিখ্যেতা করল, তা দেখে খুবই হতবাক হয়েছি। বাংলাদেশে খেলা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিল্পীরাই বেশি প্রাধান্য পাবে, এদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্য দেশের শিল্পীরা আমাদের অতিথি, তাদের আপ্যায়ন করা সমুচিত, কিন্তু তাদের নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা ভাল সাঁজে না। বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতি দর্শকদের অনুভুতি খুবই বেদনাদায়ক। ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় সংস্কৃতি বাংলাদেশের প্রতি রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে গেছে। কিছুদিন পরে আমাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও হিন্দি গান শোনা যাবে। এটা আমরাই হতে দিয়েছি এবং দিচ্ছি, নিজের স্বকীয়তা আর নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে, অন্য সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আসলেই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক অনেক কঠিন।
৪।
ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সবসময় আমার কাছে প্রেরণার আর গর্বের। আমি আমরন বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে যাব, আমি বাংলার গান গেয়ে যাব, আমি বাংলায় গান গেয়ে যাব। পতাকা নিয়ে একটি কবিতা দিয়ে শেষ করছিঃ
পতাকা
এই পতাকা তুলে ধরো মুক্ত আকাশে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা,
সবুজ অংশটুকু পুরো বাংলাদেশের কথা,
লাল জায়গাটুকু রক্তস্নাত স্বাধীনতা,
তোমার হাতে এক জাগ্রত জাতির নিশান,
তোমার হাতে অন্যায়ে আপোষহীন জাতির প্রমাণ,
উঁচিয়ে ধরো শক্ত দুহাতে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা...
Thursday, March 13, 2014
হৃদয়ের ক্ষত
হৃদয়ের ক্ষত
হৃদয়ের ক্ষত ভুলে যেতে হয়,
অবসাদে হয় ক্লান্ত হৃদয়,
বুকের ভিতরে পাহাড়ের ভার নামে,
বায়বীয় কষ্ট বারে আর কমে,
চোখের কোলে কান্না একি!
চারপাশে ভিন্ন এক ভুবন দেখি,
শেখা হয়, জানা হয় জীবনের কৌশল,
হৃদয়ের মাঝে বাড়ে মনোবল,
আঘাতে আঘাতে শানিত তরবারি,
ক্ষুদ্রসম সবকিছু জীবনে দরকারি,
আঘাতের দিন জীবনের শেষ নয়,
হৃদয়ের ক্ষত তাই ভুলে যেতে হয়...
কবি - ৪
কবি - ৪
যে মুক্ত আকাশকে ভালবাসে,
পাহাড়ের গায়ে হাত বোলায় আলতো আবেশে,
বৃক্ষের শতদলে হারিয়ে যেতে যে আকুল,
নদীর বহতা বেগ দেখে যার হৃদয় ব্যাকুল ,
রাতের জ্যোৎস্নায় যে আপ্লুত হয়,
এক তারার সাথে অন্য তারা মেলায়,
ঐ নতুন শহর, পিছে পরে থাকা চার দেয়ালের ঘর,
তাকে বুঝে না, তাকে টানে না কাছে আর,
তাই কোলাহল ছেড়ে এইখানে এসে বসে,
আকাশ, পাহাড় আর নদীর কোলাহল শুনতে সে বড় ভালবাসে...
মেঘেদের বিস্ফোরণ
মেঘেদের বিস্ফোরণ
প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়েছে আকাশে,
মেঘেদের বিস্ফোরণ,
ফুলে উঠছে মেঘেদের দল,
ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের বুক জুড়ে,
আকাশটা একদম নীল ছিল,
পুরো আকাশটা পুরোপুরি নীল ছিল,
মেঘেদের বিস্ফোরণে,
ঢেকে যাচ্ছে নীলিমা,
একটু একটু করে,
আর একটু,
আর একটু খানি...
কত আকৃতি ক্ষণে ক্ষণে,
নীল ব্যাক গ্রাউন্ডে ফুটে ফুটে উঠছে,
একে একে নতুন সব ছবি,
নাম দেয়া যাক এক একটারঃ
এভারেস্ট,
ব্যাঙের ছাতি,
ধবল জবা,
হিরশিমা নাগাসাকি,
বিস্তৃত উদ্যান যে বেড়ে যাচ্ছে শুধু...
এ মেঘে বৃষ্টি হয়না,
আশ্রয় খোঁজার ভয় নেই,
সবুজ ঘাসে শুয়ে শুয়ে শুধু
জলরঙে মেঘেদের ছবি আঁকা দেখা
আর এক একটা নাম দেয়াঃ
পালতোলা নৌকা,
সাগরের ঢেউ,
বালুকা বেলা,
চেনা কত মুখ...
আমি, হাইওয়ে ৬৬ এবং এক ফালি চাঁদ
আমি, হাইওয়ে ৬৬ এবং এক ফালি চাঁদ
গাড়ি চলছে দ্রুত
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
বসন্তের মিঠে হাওয়া
এ হাওয়া পাহাড়ের গা ছুয়ে এসেছে
এ হাওয়া আমায় ছুয়ে যাচ্ছে
হাইওয়ে ৬৬ যেন উঠে গেছে পাহাড়ের উপরে
তারপর উঠে গেছে আকাশে
উঠে গেছে অসীমে
আজ যাত্রা যেন অসীমের দিকে
দ্রুত চলছে গাড়ি
নির্দিষ্ট সীমার ১০ মাইল উপরে
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
এক ফালি চাঁদ কাচের মত হয়ে আছে
পৃথিবী আর অসীমের মাঝে
যাত্রা বিরতি ওখানে নিলে মন্দ হয়না আজ
প্রচণ্ড হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে শরীর আর মন
আর আমি হাইওয়ে ধরে উঠে যাচ্ছি
পাহাড়ে
তারপর চাঁদে
তারপর অসীমে...
গাড়ি চলছে দ্রুত
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
বসন্তের মিঠে হাওয়া
এ হাওয়া পাহাড়ের গা ছুয়ে এসেছে
এ হাওয়া আমায় ছুয়ে যাচ্ছে
হাইওয়ে ৬৬ যেন উঠে গেছে পাহাড়ের উপরে
তারপর উঠে গেছে আকাশে
উঠে গেছে অসীমে
আজ যাত্রা যেন অসীমের দিকে
দ্রুত চলছে গাড়ি
নির্দিষ্ট সীমার ১০ মাইল উপরে
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
এক ফালি চাঁদ কাচের মত হয়ে আছে
পৃথিবী আর অসীমের মাঝে
যাত্রা বিরতি ওখানে নিলে মন্দ হয়না আজ
প্রচণ্ড হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে শরীর আর মন
আর আমি হাইওয়ে ধরে উঠে যাচ্ছি
পাহাড়ে
তারপর চাঁদে
তারপর অসীমে...
Friday, March 7, 2014
নারী - ৩
নারী - ৩
....ওরা একে ভালবাসা বলে,
ভালোবাসাহীন ভালবাসা,
তুমি এত শূন্য নোও
তোমাকে এটা ওটা দিয়ে নিগৃহীত করতে হবে,
তোমার প্রয়োজন শুধু ভালবাসার,
এক মানবের ভালবাসা,
ভালবাসার মত ভালবাসা,
ভালবাসার হাত ধরে
অন্য সব কিছু আসবে,
অন্য কিছুর হাত ধরে ভালবাসা আসলে
বোকা বোনে যাবে তুমি,
আইফোন,আইপেড, রঙিন চশমা,
হীরে আর সোনার গহনা দেয়াকে
ওরা ভালবাসা বলে,
এই সব মুচুলেকাগুলো আবেগ ভোলায়,
দিনের সাথে বদলে গিয়ে ভালবসা মরে যায়,
ভালবাসাহীন ভালবাসা নয়,
রূপের পাগল কামার্ত আবেগ কখনো কি প্রেম হয়....
....ওরা একে ভালবাসা বলে,
ভালোবাসাহীন ভালবাসা,
তুমি এত শূন্য নোও
তোমাকে এটা ওটা দিয়ে নিগৃহীত করতে হবে,
তোমার প্রয়োজন শুধু ভালবাসার,
এক মানবের ভালবাসা,
ভালবাসার মত ভালবাসা,
ভালবাসার হাত ধরে
অন্য সব কিছু আসবে,
অন্য কিছুর হাত ধরে ভালবাসা আসলে
বোকা বোনে যাবে তুমি,
আইফোন,আইপেড, রঙিন চশমা,
হীরে আর সোনার গহনা দেয়াকে
ওরা ভালবাসা বলে,
এই সব মুচুলেকাগুলো আবেগ ভোলায়,
দিনের সাথে বদলে গিয়ে ভালবসা মরে যায়,
ভালবাসাহীন ভালবাসা নয়,
রূপের পাগল কামার্ত আবেগ কখনো কি প্রেম হয়....
Wednesday, March 5, 2014
নারী - ২
নারী - ২
.....ক্ষণে ক্ষণে তার রং বদলায়
প্রতিনিয়ত রঙিন, কখনো ফ্যাকাসে নয়,
কোন রূপের প্রেমে পড়বে বল হায়,
বহুরুপী ছাড়া নারী কি নারী হয়
হ্যা, আরো অবাক হওয়ার বাকি আছে কত,
যুগের পরে যুগ আসে যত ,
নারীর হাসি নিয়ে কথা হবে,
নারীর রূপ নিয়ে কথা রবে ,
নারীর ভালবাসায় সভ্য হবে কত
যুগের পরে যুগ আসবে যত.....
.....ক্ষণে ক্ষণে তার রং বদলায়
প্রতিনিয়ত রঙিন, কখনো ফ্যাকাসে নয়,
কোন রূপের প্রেমে পড়বে বল হায়,
বহুরুপী ছাড়া নারী কি নারী হয়
হ্যা, আরো অবাক হওয়ার বাকি আছে কত,
যুগের পরে যুগ আসে যত ,
নারীর হাসি নিয়ে কথা হবে,
নারীর রূপ নিয়ে কথা রবে ,
নারীর ভালবাসায় সভ্য হবে কত
যুগের পরে যুগ আসবে যত.....
নারী
নারী
কবিতারা তোমার কথা বলে
কবিতাদের তাই তুমি নেও তুলে
ঠোঁটে,
গালে,
গ্রীবায়,
কবিতায় হৃদয় সিক্ত হয়,
তোমাকে বুঝতে হলে
যেন সবাই কবিতা পরে তাহলে,
কবিতারা আদ্যোপান্ত তোমার কথা বলে...
কবিতারা তোমার কথা বলে
কবিতাদের তাই তুমি নেও তুলে
ঠোঁটে,
গালে,
গ্রীবায়,
কবিতায় হৃদয় সিক্ত হয়,
তোমাকে বুঝতে হলে
যেন সবাই কবিতা পরে তাহলে,
কবিতারা আদ্যোপান্ত তোমার কথা বলে...
Saturday, February 22, 2014
এত সুন্দর আকাশ, বাতাস
...এত সুন্দর আকাশ, বাতাস,
নক্ষত্র, পৃথিবী, আর মানুষ
যিনি বানিয়ে রেখেছেন,
দেখলেই শুধু তুমি, বাহবা দিলে না,
তোমার কাজের প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া না হলে
কি করতে তুমি ভেবে দেখেছ কি???
নক্ষত্র, পৃথিবী, আর মানুষ
যিনি বানিয়ে রেখেছেন,
দেখলেই শুধু তুমি, বাহবা দিলে না,
তোমার কাজের প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া না হলে
কি করতে তুমি ভেবে দেখেছ কি???
মৃত্যু এবং একটি কবিতা
মৃত্যু এবং একটি কবিতা
মৃত্যুকে ভেবে এত হাহাকার লাগে কেন !
মৃত্যুর মত একটা রহস্যময় ব্যাপারে, এত ভয় কেন !
মানুষ রহস্য পছন্দ করে,
তাই আসেপাশে রহস্যময় ভুবন ছড়ানো,
কেউ রহস্য নিয়ে খেলছে,
নতুন পৃথিবী মেলে দিচ্ছে,
জীবনে তাই বেঁচে থাকার অগাদ ইচ্ছে হয় ,
রহস্যময় মৃত্যুকে তবে এত কেন ভয়?
পৃথিবীতে যেসব রহস্য এখন সমাধান হয়নি
মৃত্যু তার একটি,
মৃত্যুর ভুবন থেকে কেউ ফিরে আসেনি,
কেউ ফিরে এসে বলেনি ,
তার স্বাদ এমন !
সেই অদেখা ভুবন যেমন !
মানুষ অদেখাকে পূজো করে,
নতুন শহরে আনন্দ করে,
কিন্তু মৃত্যুকে ভয় করে থাকে ,
মৃত্যুর স্মৃতিকে কিছু, হ্যাঁ কিছু একটা ভুলিয়ে রাখে।
হ্যাঁ! জীবনও এক রহস্যের আধার,
ধীরে ধীরে রহস্যময় অধ্যায় খুলতে থাকে,
পরতে পরতে রহস্যে ঘেরা,
আগামীকে জানে না বলেই
জীবন রহস্যময় এত,
রহস্যময় জীবনকে দু হাত জড়িয়ে মানুষ
গড়েছে তিলোত্তমা শহর,
গড়েছে স্থায়ী (!) ঘর,
পৃথিবীর এই সব মোহ ভুলিয়ে রেখেছে মৃত্যুকে,
মৃত্যুর মত রহস্যময় কিছু তাই দূরে থাকে।
আমার কাছে মনে হয়,
মানুষ মৃত্যুর জন্য কখনো তৈরি নয়,
সে ধরে নিয়েছে
মৃত্যু আসবে বহুদিনে পরে,
তত টুকু সময়
পৃথিবীতে আয়েশে কাটানো যায়,
আয়েশে আমেশে কেটে যায় দিন,
জীবনের কাছে থেকে যায় পাহাড়সম ঋণ,
ভুলে যায় মৃত্যুর দুয়ার,
মৃত্যু এসে যায় কোনদিন তারপর,
কারো কোন নির্দিষ্ট সময় নেই,
কেউ পরে আসলেও সে আগে যায়,
মৃত্যুর মত রহস্যময় ভুবনকে স্বাগত জানাতে,
প্রয়োজন প্রতি মুহূর্তে তৈরি হতে ,
ওপারে দীর্ঘতম যাত্রা যেন সবার আনন্দিত হয়
এই কবিতাখানি সেই আশায়, সেই প্রত্যাশায়...
মৃত্যুকে ভেবে এত হাহাকার লাগে কেন !
মৃত্যুর মত একটা রহস্যময় ব্যাপারে, এত ভয় কেন !
মানুষ রহস্য পছন্দ করে,
তাই আসেপাশে রহস্যময় ভুবন ছড়ানো,
কেউ রহস্য নিয়ে খেলছে,
নতুন পৃথিবী মেলে দিচ্ছে,
জীবনে তাই বেঁচে থাকার অগাদ ইচ্ছে হয় ,
রহস্যময় মৃত্যুকে তবে এত কেন ভয়?
পৃথিবীতে যেসব রহস্য এখন সমাধান হয়নি
মৃত্যু তার একটি,
মৃত্যুর ভুবন থেকে কেউ ফিরে আসেনি,
কেউ ফিরে এসে বলেনি ,
তার স্বাদ এমন !
সেই অদেখা ভুবন যেমন !
মানুষ অদেখাকে পূজো করে,
নতুন শহরে আনন্দ করে,
কিন্তু মৃত্যুকে ভয় করে থাকে ,
মৃত্যুর স্মৃতিকে কিছু, হ্যাঁ কিছু একটা ভুলিয়ে রাখে।
হ্যাঁ! জীবনও এক রহস্যের আধার,
ধীরে ধীরে রহস্যময় অধ্যায় খুলতে থাকে,
পরতে পরতে রহস্যে ঘেরা,
আগামীকে জানে না বলেই
জীবন রহস্যময় এত,
রহস্যময় জীবনকে দু হাত জড়িয়ে মানুষ
গড়েছে তিলোত্তমা শহর,
গড়েছে স্থায়ী (!) ঘর,
পৃথিবীর এই সব মোহ ভুলিয়ে রেখেছে মৃত্যুকে,
মৃত্যুর মত রহস্যময় কিছু তাই দূরে থাকে।
আমার কাছে মনে হয়,
মানুষ মৃত্যুর জন্য কখনো তৈরি নয়,
সে ধরে নিয়েছে
মৃত্যু আসবে বহুদিনে পরে,
তত টুকু সময়
পৃথিবীতে আয়েশে কাটানো যায়,
আয়েশে আমেশে কেটে যায় দিন,
জীবনের কাছে থেকে যায় পাহাড়সম ঋণ,
ভুলে যায় মৃত্যুর দুয়ার,
মৃত্যু এসে যায় কোনদিন তারপর,
কারো কোন নির্দিষ্ট সময় নেই,
কেউ পরে আসলেও সে আগে যায়,
মৃত্যুর মত রহস্যময় ভুবনকে স্বাগত জানাতে,
প্রয়োজন প্রতি মুহূর্তে তৈরি হতে ,
ওপারে দীর্ঘতম যাত্রা যেন সবার আনন্দিত হয়
এই কবিতাখানি সেই আশায়, সেই প্রত্যাশায়...
Friday, February 21, 2014
অন্য পৃথিবী
এখানেও
আছে বিস্ময়,
পৃথিবীর
মত হয়ত নয়,
তবুও অন্য কোনো বিস্ময়ে,
এই পৃথিবীর আকাশ গিয়েছে ছেয়ে,
হয়ত জলের নদী নেই,
কিন্তু
বায়বীয় নদীটাই
এঁকে বেঁকে গেছে রঙ্গন
পৃথিবীতে,
সূর্যটা
হয়ত কিছুটা দুরত্বে
আলো দিয়ে যায়,
লাল, নীল পৃথিবী আলোকিত
হয়
সেখানেও
আছে কিছু বিস্ময়!
সেখানে
হয়ত মানব মানবী নেই,
হয়ত অন্য কোনো প্রাণ তাই
বিচরণ করে,
বেঁচে থাকে
সেই ভুবনের তরে,
ভালোবেসে ভালবাসা
অন্য প্রানের
কাছে আসা,
চেয়ে থেকে নক্ষত্রের ভিরে,
খুঁজে পেতে অন্য
পৃথিবীরে,
হয়ত চাঁদ আছে !
চাঁদ কি আছে ?
জোনাকির
মত নয়তো,
অন্য কোনো পোঁকা হয়ত,
জ্যোত্স্নার
বনে বনে,
আলো জ্বালায়, সবাইকে ডেকে আনে
,
জ্যোত্স্নার
উত্সবে মাতে,
কখনবা
জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে,
আকাশের
পানে তাকায়,
আর ভাবে, ‘আর কি
কেউ নাই!
কত দুরে কোন নক্ষত্রকে
ঘিরে,
ভেসে যায় আলোর সাগরে,
ভেবে ভেবে হৃদয় ক্লান্ত
হয়,
সেখানেও
আছে বিস্ময়কর বিস্ময়...
ফেব্রুয়ারী ২১ ২০১৪
লংমন্ট, কলোরাড
Thursday, February 20, 2014
অমর একুশে
অমর একুশে
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর....
মনটা হুহু করে উঠে গানটা শুনলে।
আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। মহান এই জন্যে যে, নিজের ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য অসীম ভালবাসায়, নিজের প্রাণকে উত্সর্গ করেছিলেন ভাষা শহীদেরা। একবার চুপচাপ ভেবে দেখুন, নিজের ভাষার জন্য ভালবাসা কত প্রকান্ড হলে এটা সম্ভব।
আজ বাংলাদেশে ছুটির দিন। ছুটির দিন মানে ঘুমের দিন। দেশের সবাইকে এত খাটতে হয় যে, ছুটির দিনে হাফ ছেড়ে বাঁচে। কাউকে বলছিনা, ঘুম বাদ দিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে আসুন। যারা যাবে তারা এমনিতেই যাবে, সাদা পাঞ্জাবি পড়ে, হাতে কিছু ফুল, ঠোঁটে গান,
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।....
আর যারা যাবে না তারা, তারা হয়তো কোনো কারণে যেতে পারবে না। আর ছুটির দিন আল্যিসির সময়, আল্যিস করা স্বাভাবিক। ছুটির দিনেও কিন্তু কিছু কাজ করা যায়, যেমন দেশকে নিয়ে একটু ভাবা যায়, দেশকে আর একটু ভালোবাসা যায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা ভুলে গিয়ে, জীবনে কি পেলাম না পেলাম তা বাদ দিয়ে, পরিবারে সাথে, বন্ধদের সাথে দেশকে নিয়ে কথা বলা যায়, যাদের বাচ্চা কাচ্চা আছে, তাদের সাথে সাথে থেকে একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে গল্প করা যায়, আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস সেটা অনেক কে জানানো যায় (দুক্ষজনক হলেও সত্যি অনেকে জানেন না ! ) .
আমরা যারা বিদেশে থাকি, অনেকেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। দিনটা সপ্তাহের মাঝখানে পড়ায় অনেকে যেতে পারবেন না। কিন্তু কাজের জায়গায় আমরা অনেক কে জানাতে পারি। বিদেশের অনেক অনেক লোকই জানে যা, যে একুশে ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা(সবারইত মাতৃভাষা আছে) দিবস এবং কেন এই দিবস উদযাপন হয়। আমি আজ পর্যন্ত যাদের যাদের বলেছি, তারা সবাই এই দিনটির কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছে এবং আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষার পাশাপাশি তার নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে।
আমি জানি অনেকেই মহানভাবে, মহান একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটি কাটাবেন। অমর একুশে এভাবেই আমাদের প্রাণ থেকে প্রাণে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌছে যাবে। অমর একুশে শহীদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা আর সবার প্রতি রইলো ভালবাসা।
গানটার প্রতিটা শব্দ আমার ভালো লাগে, তাই তুলে দিলাম
আমি বাংলায় গান গাই
প্রতুল মুখোপাধ্যায়
কন্ঠঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রানের সুর
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় কথা কই
আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই ।।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার
বাংলাই আমার দৃপ্ত স্লোগান
ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় ভালবাসি
আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি ।।
আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি
বিনম্র শ্রদ্ধায়
মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায় ।।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল
তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর ।।
বাংলা আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রানের সুর
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
লংমন্ট, কলোরাড
২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর....
মনটা হুহু করে উঠে গানটা শুনলে।
আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। মহান এই জন্যে যে, নিজের ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য অসীম ভালবাসায়, নিজের প্রাণকে উত্সর্গ করেছিলেন ভাষা শহীদেরা। একবার চুপচাপ ভেবে দেখুন, নিজের ভাষার জন্য ভালবাসা কত প্রকান্ড হলে এটা সম্ভব।
আজ বাংলাদেশে ছুটির দিন। ছুটির দিন মানে ঘুমের দিন। দেশের সবাইকে এত খাটতে হয় যে, ছুটির দিনে হাফ ছেড়ে বাঁচে। কাউকে বলছিনা, ঘুম বাদ দিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে আসুন। যারা যাবে তারা এমনিতেই যাবে, সাদা পাঞ্জাবি পড়ে, হাতে কিছু ফুল, ঠোঁটে গান,
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।....
আর যারা যাবে না তারা, তারা হয়তো কোনো কারণে যেতে পারবে না। আর ছুটির দিন আল্যিসির সময়, আল্যিস করা স্বাভাবিক। ছুটির দিনেও কিন্তু কিছু কাজ করা যায়, যেমন দেশকে নিয়ে একটু ভাবা যায়, দেশকে আর একটু ভালোবাসা যায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা ভুলে গিয়ে, জীবনে কি পেলাম না পেলাম তা বাদ দিয়ে, পরিবারে সাথে, বন্ধদের সাথে দেশকে নিয়ে কথা বলা যায়, যাদের বাচ্চা কাচ্চা আছে, তাদের সাথে সাথে থেকে একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে গল্প করা যায়, আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস সেটা অনেক কে জানানো যায় (দুক্ষজনক হলেও সত্যি অনেকে জানেন না ! ) .
আমরা যারা বিদেশে থাকি, অনেকেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। দিনটা সপ্তাহের মাঝখানে পড়ায় অনেকে যেতে পারবেন না। কিন্তু কাজের জায়গায় আমরা অনেক কে জানাতে পারি। বিদেশের অনেক অনেক লোকই জানে যা, যে একুশে ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা(সবারইত মাতৃভাষা আছে) দিবস এবং কেন এই দিবস উদযাপন হয়। আমি আজ পর্যন্ত যাদের যাদের বলেছি, তারা সবাই এই দিনটির কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছে এবং আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশ আর বাংলা ভাষার পাশাপাশি তার নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে।
আমি জানি অনেকেই মহানভাবে, মহান একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটি কাটাবেন। অমর একুশে এভাবেই আমাদের প্রাণ থেকে প্রাণে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌছে যাবে। অমর একুশে শহীদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা আর সবার প্রতি রইলো ভালবাসা।
গানটার প্রতিটা শব্দ আমার ভালো লাগে, তাই তুলে দিলাম
আমি বাংলায় গান গাই
প্রতুল মুখোপাধ্যায়
কন্ঠঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রানের সুর
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় কথা কই
আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই ।।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার
বাংলাই আমার দৃপ্ত স্লোগান
ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় ভালবাসি
আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি ।।
আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি
বিনম্র শ্রদ্ধায়
মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায় ।।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল
তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর ।।
বাংলা আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রানের সুর
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।
লংমন্ট, কলোরাড
২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
আকাশ
আকাশ
আকাশের
বুকে
মেঘ জমেছে অনেক,
আমি
ঠিক
জানি, কেন আকাশের
মন
খারাপ হয় ,
কেন আকাশেরা আমার
হৃদয়ে
মুখ লুকায় ,
কেন
এত বর্ষা হয় ,
আমি ভিঁজে যাই জলে,
বৃষ্টিস্নাত
বিকেলে,
আমি দু'হাত মেলে
,
আকাশের
দিকে
মুখ তুলে থাকি ,
আকাশকে
কাছে ডাকি ,
আকাশের
বুকে অনেক হাত বুলাই,
আমি ঠিক জানি
Wednesday, February 19, 2014
আকাশসমূহের কবিতা
আকাশসমূহের কবিতা
...আকাশেরা অনেক দুরে, তাই,
আকাশের রং নীল হয়,
ব্যদনার রং যে নীল,
ব্যদনামুখুর আকাশেরা অনন্ত অনাবিল...
********************************
...দুরের আকাশে জলের মেঘ নেই,
পৃথিবীর কাছাকাছি, জলের মেঘ হয়,
রং বেরঙের মেঘেদের দল,
সাদা, কালো, আর লাল
আকাশেরা মানুষদের কাঁদতে শেখায়,
অনাবিল সুখের মাঝে কখনো সখনো কাঁদতে হয়...
*************************************
...সব পৃথিবী ঘিরে মহাকাশ থাকে,
অনুরিত মেঘ আকাশের বুকে,
এইসব মেঘেদের দল গড়ে
অন্য নক্ষত্র অন্য পৃথিবীর তরে,
সেই মহাকাশ ভেঙ্গে ভেঙ্গে
কোনো এক পৃথিবীর কাছে আসে না,
সে এক পৃথিবীর খুব কাছে আসতে পারে না,
সব নক্ষত্রের তরে তাকে বাঁচতে হয় ,
মহাকাশ তাই দুরে থাকে,
কোনো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি নয়....
February 19, 2014
...আকাশেরা অনেক দুরে, তাই,
আকাশের রং নীল হয়,
ব্যদনার রং যে নীল,
ব্যদনামুখুর আকাশেরা অনন্ত অনাবিল...
********************************
...দুরের আকাশে জলের মেঘ নেই,
পৃথিবীর কাছাকাছি, জলের মেঘ হয়,
রং বেরঙের মেঘেদের দল,
সাদা, কালো, আর লাল
আকাশেরা মানুষদের কাঁদতে শেখায়,
অনাবিল সুখের মাঝে কখনো সখনো কাঁদতে হয়...
*************************************
...সব পৃথিবী ঘিরে মহাকাশ থাকে,
অনুরিত মেঘ আকাশের বুকে,
এইসব মেঘেদের দল গড়ে
অন্য নক্ষত্র অন্য পৃথিবীর তরে,
সেই মহাকাশ ভেঙ্গে ভেঙ্গে
কোনো এক পৃথিবীর কাছে আসে না,
সে এক পৃথিবীর খুব কাছে আসতে পারে না,
সব নক্ষত্রের তরে তাকে বাঁচতে হয় ,
মহাকাশ তাই দুরে থাকে,
কোনো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি নয়....
February 19, 2014
Monday, February 17, 2014
মাতৃভাষা
মাতৃভাষা
ভাষার যে একটা আলাদা রূপ আছে, তা টের পেলাম গতকাল।
প্রত্যেকটি ভাষার একটা নিজস্ব সৌন্দর্য্য আছে । একটি ভাষার সেই সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করতে গেলে বা বুঝতে গেলে, সেই ভাষাকে অনেক ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে হবে । সবারই কোনো না কোনো ভাষা ভালো করে জানা আছে । অন্তত তার নিজের মাতৃভাষাটা ভালো করে জানার কথা । অনেকে বেশ কয়েকটি ভাষাও আয়ত্ত করতে পারে । তবে মাতৃ ভাষার স্বর, টান বা আবেগ যেভাবে প্রকাশ পায়, সেভাবে অন্য ভাষায় কথা বলা যায় না । তাই মাতৃ ভাষার সৌন্দর্যটা সব চেয়ে বেশি বোঝা যায় ।
এই সৌন্দর্যটা আরো বেশি বোঝা যায়, বাংলা ভাষাভাষী এলাকা থেকে ভিন্ন এলাকায় থাকাকালীন সময় ।
ছোটো বেলা থেকে বাংলা বলে আসছি, আসে পাশের সবাই বাংলা বলছে । মাতৃভাষাকে নিয়ে চিন্তা করার কথা মাথায় আসে নি । ফেব্রয়ারী আসলে, শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গান গেয়েছি, ফুল দিয়েছি। কিন্তু মাতৃভাষা বলার স্বাদ বা শোনার স্বাদ উপলব্দি করেতে পারিনি, ভাষা এত সুন্দর হতে পারে ভেবে দেখেনি । মাতৃভাষা ছেড়ে ভিন্ন ভাষাভাষী এলাকায় আসতেই উপলব্ধি করলাম, ভাষা কত মধুর হতে পারে, ভাষা কত সুন্দর হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন না :
"মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো"
বলতেও সুধার মতই লাগে, ভাবতেও অনেক ভালো লাগে।
আমি তেমন ভালো ইংলিশ বলতে পারি না । তবে আমি ভালো গ্রামার পারি, ইংরেজি গ্রামার । পরীক্ষায় পাশ করার জন্য গ্রামারের মত কঠিন জিনিস গিলে ফেলেছিলাম । কিন্তু কথা বলা ঠিক মত শেখা হয়নি। ইংরেজি গ্রামার এখনো শক্ত করে মনে গেঁথে আছে । কথা বলার আগে ইংরেজি গ্রামার মিলিয়ে, মনে মনে ট্রান্সলেসন করে তারপর ইংরেজি বলি । প্রায় এমন হয় যে, একটা ইংরেজি বাক্য বলে ফেলেছি, কিন্তু গ্রামারে ভুল হয়েছে, গ্রামার ঠিক আবার সেই বাক্য বলেছি । কিন্তু এখানে কেউ গ্রামার নিয়ে কেউ ভাবে না । কি বলতে চাইছি, সেটা বোঝাতে পারলেই হলো । তাই কেউ যদি, 'আমি যাচ্ছি' বলতে গিয়ে, 'আই অ্যাম গোইং' না বলে 'আই গো' বলে, তাহলেই হয়। 'আই অ্যাম কামিং' না বলে, 'আই আম কামিং' বলেই হয়। আমেরিকায় স্প্যানিশ দের আনাগোনা বেশি, ওরা এভাবেই কথা বলে। ওদের বিপুল জন সংখ্যার জন্য, স্প্যানিশ ভাষা এখানকার দ্বিতীয় ভাষা (সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ ).ওদের তাই ইংলিশ শেখার গরজ নেই । অনেক বাংলাদেশীও অভাবেই কথা বলে। আমি নিজেই এমন একজন । তবে আমি 'আই অ্যাম গোইং' কে 'আই গো' বলি না , এই যা ।
যা বলছিলাম, ইংরেজি কথা বলার আগে গ্রামার ঠিক করে, তারপর ঠিক করি ট্রান্সলেসন, তার পর বলা । অনেক সময় লেগে যায় । ভাব ভঙ্গি তো পরের কথা । কিন্তু আমার কলিগরা সবাই সাদা, ইংলিশ তাদের মাতৃ ভাষা । ফর ফর করে ওরা ইংলিশ বলে যায় । ভাব আবেগও থাকে । কিন্তু তাদের মত করে সতস্ফুর্ত ভাবে ইংরেজিতে বলতে পারি না । কেননা আমার ভাষা তো বাংলা, ওদের ভাষা তো ইংরেজি। ওদের দেশে এসেছি, ওরা তো বাংলা বলবে না, ইংরেজি বলেই আমাকে মনের কথা বলতে হবে। আমি গ্রামার আর ট্রান্সলেসন ঠিক করে ইংরেজি বলে যাচ্ছি, আর ওরা সতস্ফুর্ত ভাবে ইংলিশ বলছে, সুন্দর করে বলছে, আবেগ মিশিয়ে বলে যাচ্ছে, যারা শুনচ্ছে তাদেরও হয়ত ভালো লাগছে।
বাংলাভাষার সৌন্দর্যটা আমি টের পেলাম বিদেশে এসে, বিদেশীদের মাঝখানে বসে । বাংলায় কথা বলার সময় আমাকে ট্রান্সলেসন করে কিছু বলতে হয় না । কত দ্রুত, কত সুন্দর সুন্দর কথা বলতে পারি। এক শ্বাসে অনেকক্ষণ কথা বলতে পারি। মনের আবেগ অনুভুতি মিশিয়ে কথা বলতে পারি । আমার কাছে মনে হল, এইটাই মাতৃভাষার সবচেয়ে সুন্দর দিক । বাংলা বলার সৌন্দর্যটা চোখে পড়ল এখানে এসে। বাংলা বলার জন্য বিদেশ বিভুইয়ে বাংলা বলার লোক খুঁজি। কাছে থেকে অনেক কিছুই সুন্দর লাগে না, দূরে গেলে তা চোখে পড়ে, মনে পড়ে। এতদিন পরে মাতৃভাষার সুন্দর দিকটা চোখে পরার, নিজের ভাষা বলতে পারার মত সুধা অনুভব করার পর, নিজের ভিতর একদিকে যেমন কুণ্ঠা বোধ করি, অনেক দেরি হয়েছে বলে; তেমনি অন্য দিকে আনন্দিত হই, দেরিতে হলেও মাতৃভাষার সুন্দর দিকটা ধরতে পারার কারনে, নিজের ভাষা বলতে পারার কারনে । মাতৃভাষা বাংলার এই সৌন্দর্য, এই অনুভুতির জন্যই হয়ত রফিক, শফিক, বরকতের মত অনেক তাজা তরুণ বাংলার ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে । এখন প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় । মাতৃভাষা রক্ষার জন্য, মাতৃভাষার বলার অধিকারের জন্য তাদের এই ত্যাগ, শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করি। মাতৃভাষা বলা, শোনা আর অনুভুব করার মত অন্য কোনো ভাষাই হয় না। বাংলা ভাষা আর বাংলাদেশের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালবাসা।
ভাষার যে একটা আলাদা রূপ আছে, তা টের পেলাম গতকাল।
প্রত্যেকটি ভাষার একটা নিজস্ব সৌন্দর্য্য আছে । একটি ভাষার সেই সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করতে গেলে বা বুঝতে গেলে, সেই ভাষাকে অনেক ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে হবে । সবারই কোনো না কোনো ভাষা ভালো করে জানা আছে । অন্তত তার নিজের মাতৃভাষাটা ভালো করে জানার কথা । অনেকে বেশ কয়েকটি ভাষাও আয়ত্ত করতে পারে । তবে মাতৃ ভাষার স্বর, টান বা আবেগ যেভাবে প্রকাশ পায়, সেভাবে অন্য ভাষায় কথা বলা যায় না । তাই মাতৃ ভাষার সৌন্দর্যটা সব চেয়ে বেশি বোঝা যায় ।
এই সৌন্দর্যটা আরো বেশি বোঝা যায়, বাংলা ভাষাভাষী এলাকা থেকে ভিন্ন এলাকায় থাকাকালীন সময় ।
ছোটো বেলা থেকে বাংলা বলে আসছি, আসে পাশের সবাই বাংলা বলছে । মাতৃভাষাকে নিয়ে চিন্তা করার কথা মাথায় আসে নি । ফেব্রয়ারী আসলে, শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গান গেয়েছি, ফুল দিয়েছি। কিন্তু মাতৃভাষা বলার স্বাদ বা শোনার স্বাদ উপলব্দি করেতে পারিনি, ভাষা এত সুন্দর হতে পারে ভেবে দেখেনি । মাতৃভাষা ছেড়ে ভিন্ন ভাষাভাষী এলাকায় আসতেই উপলব্ধি করলাম, ভাষা কত মধুর হতে পারে, ভাষা কত সুন্দর হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন না :
"মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো"
বলতেও সুধার মতই লাগে, ভাবতেও অনেক ভালো লাগে।
আমি তেমন ভালো ইংলিশ বলতে পারি না । তবে আমি ভালো গ্রামার পারি, ইংরেজি গ্রামার । পরীক্ষায় পাশ করার জন্য গ্রামারের মত কঠিন জিনিস গিলে ফেলেছিলাম । কিন্তু কথা বলা ঠিক মত শেখা হয়নি। ইংরেজি গ্রামার এখনো শক্ত করে মনে গেঁথে আছে । কথা বলার আগে ইংরেজি গ্রামার মিলিয়ে, মনে মনে ট্রান্সলেসন করে তারপর ইংরেজি বলি । প্রায় এমন হয় যে, একটা ইংরেজি বাক্য বলে ফেলেছি, কিন্তু গ্রামারে ভুল হয়েছে, গ্রামার ঠিক আবার সেই বাক্য বলেছি । কিন্তু এখানে কেউ গ্রামার নিয়ে কেউ ভাবে না । কি বলতে চাইছি, সেটা বোঝাতে পারলেই হলো । তাই কেউ যদি, 'আমি যাচ্ছি' বলতে গিয়ে, 'আই অ্যাম গোইং' না বলে 'আই গো' বলে, তাহলেই হয়। 'আই অ্যাম কামিং' না বলে, 'আই আম কামিং' বলেই হয়। আমেরিকায় স্প্যানিশ দের আনাগোনা বেশি, ওরা এভাবেই কথা বলে। ওদের বিপুল জন সংখ্যার জন্য, স্প্যানিশ ভাষা এখানকার দ্বিতীয় ভাষা (সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ ).ওদের তাই ইংলিশ শেখার গরজ নেই । অনেক বাংলাদেশীও অভাবেই কথা বলে। আমি নিজেই এমন একজন । তবে আমি 'আই অ্যাম গোইং' কে 'আই গো' বলি না , এই যা ।
যা বলছিলাম, ইংরেজি কথা বলার আগে গ্রামার ঠিক করে, তারপর ঠিক করি ট্রান্সলেসন, তার পর বলা । অনেক সময় লেগে যায় । ভাব ভঙ্গি তো পরের কথা । কিন্তু আমার কলিগরা সবাই সাদা, ইংলিশ তাদের মাতৃ ভাষা । ফর ফর করে ওরা ইংলিশ বলে যায় । ভাব আবেগও থাকে । কিন্তু তাদের মত করে সতস্ফুর্ত ভাবে ইংরেজিতে বলতে পারি না । কেননা আমার ভাষা তো বাংলা, ওদের ভাষা তো ইংরেজি। ওদের দেশে এসেছি, ওরা তো বাংলা বলবে না, ইংরেজি বলেই আমাকে মনের কথা বলতে হবে। আমি গ্রামার আর ট্রান্সলেসন ঠিক করে ইংরেজি বলে যাচ্ছি, আর ওরা সতস্ফুর্ত ভাবে ইংলিশ বলছে, সুন্দর করে বলছে, আবেগ মিশিয়ে বলে যাচ্ছে, যারা শুনচ্ছে তাদেরও হয়ত ভালো লাগছে।
বাংলাভাষার সৌন্দর্যটা আমি টের পেলাম বিদেশে এসে, বিদেশীদের মাঝখানে বসে । বাংলায় কথা বলার সময় আমাকে ট্রান্সলেসন করে কিছু বলতে হয় না । কত দ্রুত, কত সুন্দর সুন্দর কথা বলতে পারি। এক শ্বাসে অনেকক্ষণ কথা বলতে পারি। মনের আবেগ অনুভুতি মিশিয়ে কথা বলতে পারি । আমার কাছে মনে হল, এইটাই মাতৃভাষার সবচেয়ে সুন্দর দিক । বাংলা বলার সৌন্দর্যটা চোখে পড়ল এখানে এসে। বাংলা বলার জন্য বিদেশ বিভুইয়ে বাংলা বলার লোক খুঁজি। কাছে থেকে অনেক কিছুই সুন্দর লাগে না, দূরে গেলে তা চোখে পড়ে, মনে পড়ে। এতদিন পরে মাতৃভাষার সুন্দর দিকটা চোখে পরার, নিজের ভাষা বলতে পারার মত সুধা অনুভব করার পর, নিজের ভিতর একদিকে যেমন কুণ্ঠা বোধ করি, অনেক দেরি হয়েছে বলে; তেমনি অন্য দিকে আনন্দিত হই, দেরিতে হলেও মাতৃভাষার সুন্দর দিকটা ধরতে পারার কারনে, নিজের ভাষা বলতে পারার কারনে । মাতৃভাষা বাংলার এই সৌন্দর্য, এই অনুভুতির জন্যই হয়ত রফিক, শফিক, বরকতের মত অনেক তাজা তরুণ বাংলার ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে । এখন প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় । মাতৃভাষা রক্ষার জন্য, মাতৃভাষার বলার অধিকারের জন্য তাদের এই ত্যাগ, শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করি। মাতৃভাষা বলা, শোনা আর অনুভুব করার মত অন্য কোনো ভাষাই হয় না। বাংলা ভাষা আর বাংলাদেশের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালবাসা।
জীবন- ৩
জীবন- ৩
মৃত্যু এসে নিয়ে যায় জীবনকে তারপর,
স্মৃতিগুলো পড়ে থাকে আর
পরে থাকে ঘর,
মাটির কবর,
স্মৃতিগুলো নিয়ে আসে কাছে,
যেখানে সে শুয়ে আসে,
ফুলের মালায়
ভরে যায় নির্জন শহর,
পরে রয় কত উপহার,
চোখে কোনে অশ্রু আসে তখন,
দেখা যায় মুক্তর মতন,
এইভাবে এই সব স্মৃতির ছবি,
জীবনে আসে, করে যায় দাবি,
পরে থাকে শুধুই স্মৃতি, কিছু নয় আর,
মৃত্যু এসে নিয়ে গেলে জীবনকে তারপর...
মৃত্যু এসে নিয়ে যায় জীবনকে তারপর,
স্মৃতিগুলো পড়ে থাকে আর
পরে থাকে ঘর,
মাটির কবর,
স্মৃতিগুলো নিয়ে আসে কাছে,
যেখানে সে শুয়ে আসে,
ফুলের মালায়
ভরে যায় নির্জন শহর,
পরে রয় কত উপহার,
চোখে কোনে অশ্রু আসে তখন,
দেখা যায় মুক্তর মতন,
এইভাবে এই সব স্মৃতির ছবি,
জীবনে আসে, করে যায় দাবি,
পরে থাকে শুধুই স্মৃতি, কিছু নয় আর,
মৃত্যু এসে নিয়ে গেলে জীবনকে তারপর...
Thursday, February 13, 2014
তুমি
তুমি
...সব কিছুর মাঝে
তোমাকে খোঁজা আমার কাছে অন্তহীন,
এটা হয়তো সবার কাছে অর্থহীন,
হয়তো কারো কাছে দ্বের্থ্যহীন,
কিন্তু সবাইতো তোমার প্রেমে পড়েনি,
সবাইতো তোমাকে আমার মত জানেনি,
জানলে হয়ত,
বুঝতো
আমি আকাশের কথা বলতে গিয়ে কার কথা বলি,
আমায় নদীর কথা বলতে গিয়ে কার কথা বলে চলি,
কবিতার মাঝে কার কথা লিখে যাই প্রতিদিন ,
তবুও সব কিছুর মাঝে
তোমাকে খোঁজা আমার কাছে অন্তহীন...
ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৪
...সব কিছুর মাঝে
তোমাকে খোঁজা আমার কাছে অন্তহীন,
এটা হয়তো সবার কাছে অর্থহীন,
হয়তো কারো কাছে দ্বের্থ্যহীন,
কিন্তু সবাইতো তোমার প্রেমে পড়েনি,
সবাইতো তোমাকে আমার মত জানেনি,
জানলে হয়ত,
বুঝতো
আমি আকাশের কথা বলতে গিয়ে কার কথা বলি,
আমায় নদীর কথা বলতে গিয়ে কার কথা বলে চলি,
কবিতার মাঝে কার কথা লিখে যাই প্রতিদিন ,
তবুও সব কিছুর মাঝে
তোমাকে খোঁজা আমার কাছে অন্তহীন...
ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৪
আজ বসন্তের সময়
আজ বসন্তের সময়
...আহা! আজ বসন্তের সময়,
পৃথিবীর বুকে থেকে হিলেম আমেজ
মুছে গেছে ধীরে ধীরে,
স্বপ্নগুলো ছেয়ে যাচ্ছে বৃক্ষ জুড়ে,
রঙিন স্বপ্ন
অনেক রঙের স্বপ্ন আর,
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর,
সুরেলা কোকিলেরা গান গায়,
ঝলমলে আকাশে ডানা মেলে দেয়,
বসন্তের হওয়া লাগে পাখনায়,
আহা! আজ বসন্তের সময়,
পৃথিবীর 'পরে বেঁচে থাকতে বড় ইচ্ছে হয়...
১ ফাল্গুন ১৪২০
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
...আহা! আজ বসন্তের সময়,
পৃথিবীর বুকে থেকে হিলেম আমেজ
মুছে গেছে ধীরে ধীরে,
স্বপ্নগুলো ছেয়ে যাচ্ছে বৃক্ষ জুড়ে,
রঙিন স্বপ্ন
অনেক রঙের স্বপ্ন আর,
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর,
সুরেলা কোকিলেরা গান গায়,
ঝলমলে আকাশে ডানা মেলে দেয়,
বসন্তের হওয়া লাগে পাখনায়,
আহা! আজ বসন্তের সময়,
পৃথিবীর 'পরে বেঁচে থাকতে বড় ইচ্ছে হয়...
১ ফাল্গুন ১৪২০
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
Wednesday, February 12, 2014
আশা বা এক্সপেকটেশন
আশা বা এক্সপেকটেশন
পরিবারের কেউ আমেরিকায় আসলে হুলুস্থুল পরে যায়।
হুলুস্থুল পরার যথেষ্ট কারন আছে। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে যাত্রা। বলা যায়, বাংলাদেশের পুরো উল্টা দিকে। বাংলাদেশের সাথে অনেক কিছুই উল্টা পাল্টা। উল্টা পাল্টা পরিবেশে একা একা জীবন যাপন করা একটা হুলুস্থলের বেপার বৈকি। অনেকে বলে নদী থেকে সাগরে আসার উপক্রম, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, জীবনটাই একটা অনন্ত সাগর, সেটা আমেরিকায় হোক অথবা বাংলাদেশে। সাগর বলে আমেরিকাকে বড় করে, বাংলাদেশ কে কেন ছোটো করা হয়, কে জানে। এটা হতে পারে, যে আসছে আমেরিকায়, সে বড় জায়গায় যাচ্ছে, ভালো জায়গায় আসছে ইত্যাদি বুঝানোর জন্য হয়ত বলে। এখানে আসলেই অনেক ধারণা পাল্টে যায়। তাই বলে আমি বলছি না, আমেরিকা খুব খারাপ জায়গা। আপত্তি শুধু বাংলাদেশকে ছোটো না করে,বাংলাদেশকে প্রাপ্য মর্যাদাটা দেওয়া। হুলুস্থুলে কেন জানি ভুলে যায়, বাংলাদেশটা আমাদের মাতৃভূমি। দেশকে ছোটো করলে কি নিজে ছোটো হয়ে যাই না?
হুলুস্থলে করে এই দেশে এসে দৃশ্য পুরো পুরি পাল্টে যায়। যেই উল্লাসে আমেরিকায় আশা হয়, কাজ করতে করতে সেটা একটা অন্য কিছুতে পরিনত হয়, এই অন্য কিছুটা এক জনের জন্য এক এক রকম। আমি এখানে বিদেশে আশা নিয়ে নেতি বাচক লেখা লেখতে বসি নি। যারা এদেশে এসেছেন, কষ্ট করছেন তাদের অনুভুতিগুলো তাদের থাক। এদেশে আসার পরে নিজের এক্সপেকটেশন যাইহোক, দেশের সবার আশা বা এক্সপেকটেশনটা যে কোথায় যায় আর তার বিপত্তি নিয়ে লেখতে বসেছি।
বিপত্তির গভীরে যাওয়ার আগে, তাদের কথা একটু বলে নেই, যারা শুধুই নিজের আশা বা এক্সপেকটেশনটা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কিছু ভাবে না। তাদের সংখ্যা কম। কেননা বিদেশে যারা আসে তারা সবাই চায়, দেশের সবাইকে সাহায্য করতে। কিন্তু যারা সেটা করে না, তাদের সাথে চললে মনে হয় তারা, ধরাকে সরা জ্ঞান করে। পুরো আমেরিকান হয়ে যায়, কোথায় কোথায় বিভি ন্ন স্লাং ব্যবহার করে। যাচ্ছে তাই অবস্থা। তারা হইতো ভালই আসে। ইয়ো ইয়ো জীবন। খারাপ হবার কথা না। ইয়োর ইয়োর বলয়ে অন্য কিছু চান্স পাবার কথাও না। কেউ তাদের থেকে কোন কিছু আশাও করেও না, তারা কারো থেকে কোন কিছু আশা করে না । মামলা খতম।
এবার আসি তাদের আশা বা এক্সপেকটেশন নিয়ে, যারা নিজের আর দেশের আশা ভরসা নিয়ে দোদুল্যমান। দেশের মানুষের আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন। সেই এক্সপেকটেশনের কাছে নিজের এক্সপেকটেশনটা মিলেয়ে যায় । বিদেশ নিয়ে দেশের মানুষ কি না চিন্তা করে। মনে করে, ওবামা বুশ বসিয়ে বসিয়ে টাকা দেই। দেশের মানুষের এক্সপেকটেশনই হোক অথবা অন্য কোনো কোনো প্রেসারে, কাজের জীবন শুরু হয়, ওভার টাইম, ডাবল ওভার টাইম করে। করে ভালো কথা, যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার। যদিও অনেকের যৌবন থাকে না। তবুও যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ। সবাই প্রচন্ড পরিশ্রম করে। ডলার কামায়, টাকা জমায়। এ গুলো সবই ঠিকই আছে, কিন্তু ওই যে বললাম দেশের আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন, ওটাই জীবন দুর্বিসহ করে তুলে।
এই আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন এর দায়ী কিন্তু আমরাই, যারা বিদেশে থাকি। কেউ এখানে কিভাবে কাজ করি, কিভাবে বেঁচে থাকি, সেটার আসল দৃশ্য দেশের কাউকে বলি না, সবায় মনে করে, দেশে বললে হইতো কষ্ট পাবে, তাদের খারাপ লাগবে। এভাবে ভালো আছি, কোনো সমস্যা নেই বলে অমানবিক কষ্ট চেপে যেতে যেতে, দেশের মানুষ মনে করে, ও তো ভালই আছে, কোনো সমস্যা নেই। কাজ করছে ডলার পাঠাচ্ছে। মন্দ কি !
সবচেয়ে বেশি বিপত্তি হয় বিয়ে করতে গেলে। আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে। কেননা আমেরিকার ছেলের বাজার দর অনেক ভালো। কাজ যাই করুক, ছেলে আমেরিকায় থাকে তা হলেই হলো। পরিবারের নাক আকাশ সমান উঁচু হয়ে যায়। কয়েকটা ঘটনা বলি।
এক ছেলে আমেরিকায় থাকে বেশ কিছু দিন। খাবার বিক্রি করে ফুড ভেন্দিং স্টোরে । সে এখানে আসার পরে থেকেই, এই কাজে আছে, সপ্তায় ছয় দিন কাজ করে, বার ঘন্টা করে। কাজে যাওয়া আর আসা। কাজের যাওয়ার সময় একবার দেশে ফোন দেয়, আসার সময় একবার। কাজে যাওয়ার সময়ের কথোপকথন, "তোমরা আছ কেমন, আমি আছি ভালই। কাজে যাই". কাজ থেকে ফিরার সময়ের কথোপকথন: "তোমরা আছ কেমন, আমি আছি ভালই। কাজ থেকে বাসায় যাই". এর মধ্যেই তার জীবন। কয়েক বছরের পর, দেশে যাবে বিয়ে করতে। মেয়ে এক আমলার মেয়ে। বেশ কিছু কেনা কাটা করে দেশে গেল। ধুম ধাম করে বিয়ে করলো। কেউ প্রশ্ন করলে, ছেলে কি করে: ছেলে আমেরিকায় থাকে। করে অনেক কিছু। অনেক কিছু করা ছেলে আমলার মেয়ে বিয়ে করে, খাবি খাওয়ার মনে অবস্থা হয়। আগে ছিল পরিবারের এক্সপেকটেশন, এখন বাড়ছে আমলার, আমলার স্ত্রীর আর আমলার মেয়ের। ছেলের পরিবারের নাক অন্য সবার কাছে অনেক উঁচু থাকলেও, ছেলের শশুর বাড়ির কাছে ভোঁতা হয়ে থাকে, থাকে তারা কাঁচুমাচু হয়ে। ছেলেকেও কাঁচুমাচু হয়ে থাকতে বলে। হাজার হলেও আমলার মেয়ে। আর আমলার মেয়ে এই সুযোগে, যাসচ্ছেতাই ব্যবহার করে। অনেক কিছু দিয়েও মান রাখা দায়। নাক উঁচু রাখতে গিয়ে, একি বেহাল অবস্থা! শেষে কি অবস্থা হয়েছিল কে জানে, পরিবারের স্ট্যাটাস না মিলিয়ে বিয়ে দিলে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে।
আর একটা ঘটনা অনেকটা আগেরই মত। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে বয়সের। পাত্রের বয়স পৈত্রিশ কি চল্লিশ, মেয়ের বয়স ষোল কি সতের। বিশাস করছেন না। হা, এমনি হয়, ছেলের কাজ করতে করতে বয়স চলে গেছে, কি আর করা! তার উপর ছেলে থাকে আমেরিকায়। মেয়ে ভালই থাকবে। কেমন করে যেন, যেসব ছেলেরা দেশে গিয়ে বিয়ে করে, মোটামুটি সবাই, কম বয়সের মেয়ে খুঁজে। দেশের যে অবস্থা, হয়তো বেশি বয়সের মেয়েদের উপর ভরসা পাই না কেউ। বয়সের পার্থক্য কেউ আর ভেবে দেখে না। চপল মতি এক মেয়েকে বিয়ে করে ধুমধাম করে (আমেরিকান সব পাত্রর বিয়ে ধুমধাম করেই হয়, টাকা পয়সা ধার করে হলেও, (সিস্টেম আছে এখানে) বিয়ে ধুমধাম হবেই). তারপর কঁচি মেয়ের মতের সাথে ছেলের খাপ খায় না। খাপ খায়ই বা কি করে, যার বয়স পয়ত্রিশ বা চল্লিশ, তার জীবনের সব রং দেখা শেষ, আর যার এখন ১৬/১৭ বয়স, তার পৃথিবী সবে রঙিন হতে শুরু করছে। তারউপর পাত্রী অবশ্যই কোটি পতির মেয়ে অথবা শিল্প পতির মেয়ে, তাকে কিছু বলা ভীষন বারন। কিন্তু তার সব কথা শুনতে হবে অক্ষরে অক্ষর। বুঝো ঠেলা ! আবার।কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করচ্ছে, কাকে ফোন দিচ্ছে, কাদের সাথে চলচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদির খবরদারি মেয়ে ঠিকই করে । সারাদিন ছেলেকে ধমকের উপর রাখে, ছেলে কিছু বলারি সাহস পায় না। এগুলো হয় শুধু দেশে থাকতে, এদেশে আসার পরে তো বাংলাদেশি পাড়ায় তো থাকেই না। কেননা আমেরিকায় এসে 'বাংলাদেশি দেখতে
মন চায় না', 'এরা বড় নোংরা', ' এরা বড় আড্ডা বাজ' এই সব বলে নাক শিটকায়। কে জানে বেচারার কি অবস্থা হয়, তার অবস্থা জানা যায় না, কেননা এখন তারা থাকে বিদেশী পাড়ায় ।
এই আর একটা ব্যাপার যে, এ দেশে এসে, বাংলাদেশীদের দেখলে, নাক শিটকানো অথবা তাচ্ছিল্য করে । কেন রে বাবা, আপনি তো বাংলাদেশেই জন্মিয়েছেন, বাংলাদেশীদের সাথেই বড় হয়ে উঠা, এখানে আসলে ওবামার খালতো ভায়ের নাতি হয়ে যান নাকি। অথবা সপ্তাহে আশি ঘন্টা কাজ করে কিম্ভুতকিমাকার হয়ে গেছে চেহারা কিন্তু অনেক ডলার বাংকে জমেছে। তাই চোখ উঠে গেছে আকাশে। বাংলাদেশী দেখলেই চোখ আকাশে উঠে যায়।
যাইহোক, ইতি টানি এখন। এদেশে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে বলেই সবাই কাজ করে অনেক। বাংলাদেশে সেই সুযোগটা নেই, থাকলে হইতো ভিন্ন চিত্র দেখা যেত। আমি তো মনে করি এশিয়ার অন্য দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ অনেক অনেক ভালো করছে। শুধু যদি মন্ত্রীগুলো একটু ভালো হত, বাংলাদেশ আরো অনেক ভালো করত, বাংলাদেশকে আর বাংলাদেশীদের নিয়ে নাক শিটকানো কমত। দেশ ছাড়তে তখন আর আনন্দিত লাগত না। যারা এ দেশে কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন, দেশের মানুষকে জানতে দিন, বিদেশ থাকাটা খুব বেশি উপভোগ্য না পরিবার ছেড়ে, এখানে খেঁটে খুটে উপার্জন করতে হয় , সেই উপার্জনের সাথে এক্সপেকটেশনের যেন সামঞ্জস্য থাকে, আপনার জীবনের সাথে অন্য যার জীবন সামাঞ্জস্য হয় তাকেই বিয়ে করা উচিত, আকাশ পাতাল তফাতে না যাওয়াই ভালো। সর্বপরি বাংলাদেশীদের দেখে নাক শিটকানো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। মনে রাখা উচিৎ, দেশকে ছোট করলে, নিজেই অনেক ছোট হবেন।
আমার লেখা কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করে থাকলে, ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। সুন্দর কিছু না হয়, এই ক্ষমা দিয়ে শুরু হোক। পহেলা ফাল্গুনের অনেক শুভেচ্ছা রইল।
লংমণ্ট, কলোরাডো
ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৪
পরিবারের কেউ আমেরিকায় আসলে হুলুস্থুল পরে যায়।
হুলুস্থুল পরার যথেষ্ট কারন আছে। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে যাত্রা। বলা যায়, বাংলাদেশের পুরো উল্টা দিকে। বাংলাদেশের সাথে অনেক কিছুই উল্টা পাল্টা। উল্টা পাল্টা পরিবেশে একা একা জীবন যাপন করা একটা হুলুস্থলের বেপার বৈকি। অনেকে বলে নদী থেকে সাগরে আসার উপক্রম, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, জীবনটাই একটা অনন্ত সাগর, সেটা আমেরিকায় হোক অথবা বাংলাদেশে। সাগর বলে আমেরিকাকে বড় করে, বাংলাদেশ কে কেন ছোটো করা হয়, কে জানে। এটা হতে পারে, যে আসছে আমেরিকায়, সে বড় জায়গায় যাচ্ছে, ভালো জায়গায় আসছে ইত্যাদি বুঝানোর জন্য হয়ত বলে। এখানে আসলেই অনেক ধারণা পাল্টে যায়। তাই বলে আমি বলছি না, আমেরিকা খুব খারাপ জায়গা। আপত্তি শুধু বাংলাদেশকে ছোটো না করে,বাংলাদেশকে প্রাপ্য মর্যাদাটা দেওয়া। হুলুস্থুলে কেন জানি ভুলে যায়, বাংলাদেশটা আমাদের মাতৃভূমি। দেশকে ছোটো করলে কি নিজে ছোটো হয়ে যাই না?
হুলুস্থলে করে এই দেশে এসে দৃশ্য পুরো পুরি পাল্টে যায়। যেই উল্লাসে আমেরিকায় আশা হয়, কাজ করতে করতে সেটা একটা অন্য কিছুতে পরিনত হয়, এই অন্য কিছুটা এক জনের জন্য এক এক রকম। আমি এখানে বিদেশে আশা নিয়ে নেতি বাচক লেখা লেখতে বসি নি। যারা এদেশে এসেছেন, কষ্ট করছেন তাদের অনুভুতিগুলো তাদের থাক। এদেশে আসার পরে নিজের এক্সপেকটেশন যাইহোক, দেশের সবার আশা বা এক্সপেকটেশনটা যে কোথায় যায় আর তার বিপত্তি নিয়ে লেখতে বসেছি।
বিপত্তির গভীরে যাওয়ার আগে, তাদের কথা একটু বলে নেই, যারা শুধুই নিজের আশা বা এক্সপেকটেশনটা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কিছু ভাবে না। তাদের সংখ্যা কম। কেননা বিদেশে যারা আসে তারা সবাই চায়, দেশের সবাইকে সাহায্য করতে। কিন্তু যারা সেটা করে না, তাদের সাথে চললে মনে হয় তারা, ধরাকে সরা জ্ঞান করে। পুরো আমেরিকান হয়ে যায়, কোথায় কোথায় বিভি ন্ন স্লাং ব্যবহার করে। যাচ্ছে তাই অবস্থা। তারা হইতো ভালই আসে। ইয়ো ইয়ো জীবন। খারাপ হবার কথা না। ইয়োর ইয়োর বলয়ে অন্য কিছু চান্স পাবার কথাও না। কেউ তাদের থেকে কোন কিছু আশাও করেও না, তারা কারো থেকে কোন কিছু আশা করে না । মামলা খতম।
এবার আসি তাদের আশা বা এক্সপেকটেশন নিয়ে, যারা নিজের আর দেশের আশা ভরসা নিয়ে দোদুল্যমান। দেশের মানুষের আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন। সেই এক্সপেকটেশনের কাছে নিজের এক্সপেকটেশনটা মিলেয়ে যায় । বিদেশ নিয়ে দেশের মানুষ কি না চিন্তা করে। মনে করে, ওবামা বুশ বসিয়ে বসিয়ে টাকা দেই। দেশের মানুষের এক্সপেকটেশনই হোক অথবা অন্য কোনো কোনো প্রেসারে, কাজের জীবন শুরু হয়, ওভার টাইম, ডাবল ওভার টাইম করে। করে ভালো কথা, যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার। যদিও অনেকের যৌবন থাকে না। তবুও যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ। সবাই প্রচন্ড পরিশ্রম করে। ডলার কামায়, টাকা জমায়। এ গুলো সবই ঠিকই আছে, কিন্তু ওই যে বললাম দেশের আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন, ওটাই জীবন দুর্বিসহ করে তুলে।
এই আকাশ চুম্বি এক্সপেকটেশন এর দায়ী কিন্তু আমরাই, যারা বিদেশে থাকি। কেউ এখানে কিভাবে কাজ করি, কিভাবে বেঁচে থাকি, সেটার আসল দৃশ্য দেশের কাউকে বলি না, সবায় মনে করে, দেশে বললে হইতো কষ্ট পাবে, তাদের খারাপ লাগবে। এভাবে ভালো আছি, কোনো সমস্যা নেই বলে অমানবিক কষ্ট চেপে যেতে যেতে, দেশের মানুষ মনে করে, ও তো ভালই আছে, কোনো সমস্যা নেই। কাজ করছে ডলার পাঠাচ্ছে। মন্দ কি !
সবচেয়ে বেশি বিপত্তি হয় বিয়ে করতে গেলে। আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে। কেননা আমেরিকার ছেলের বাজার দর অনেক ভালো। কাজ যাই করুক, ছেলে আমেরিকায় থাকে তা হলেই হলো। পরিবারের নাক আকাশ সমান উঁচু হয়ে যায়। কয়েকটা ঘটনা বলি।
এক ছেলে আমেরিকায় থাকে বেশ কিছু দিন। খাবার বিক্রি করে ফুড ভেন্দিং স্টোরে । সে এখানে আসার পরে থেকেই, এই কাজে আছে, সপ্তায় ছয় দিন কাজ করে, বার ঘন্টা করে। কাজে যাওয়া আর আসা। কাজের যাওয়ার সময় একবার দেশে ফোন দেয়, আসার সময় একবার। কাজে যাওয়ার সময়ের কথোপকথন, "তোমরা আছ কেমন, আমি আছি ভালই। কাজে যাই". কাজ থেকে ফিরার সময়ের কথোপকথন: "তোমরা আছ কেমন, আমি আছি ভালই। কাজ থেকে বাসায় যাই". এর মধ্যেই তার জীবন। কয়েক বছরের পর, দেশে যাবে বিয়ে করতে। মেয়ে এক আমলার মেয়ে। বেশ কিছু কেনা কাটা করে দেশে গেল। ধুম ধাম করে বিয়ে করলো। কেউ প্রশ্ন করলে, ছেলে কি করে: ছেলে আমেরিকায় থাকে। করে অনেক কিছু। অনেক কিছু করা ছেলে আমলার মেয়ে বিয়ে করে, খাবি খাওয়ার মনে অবস্থা হয়। আগে ছিল পরিবারের এক্সপেকটেশন, এখন বাড়ছে আমলার, আমলার স্ত্রীর আর আমলার মেয়ের। ছেলের পরিবারের নাক অন্য সবার কাছে অনেক উঁচু থাকলেও, ছেলের শশুর বাড়ির কাছে ভোঁতা হয়ে থাকে, থাকে তারা কাঁচুমাচু হয়ে। ছেলেকেও কাঁচুমাচু হয়ে থাকতে বলে। হাজার হলেও আমলার মেয়ে। আর আমলার মেয়ে এই সুযোগে, যাসচ্ছেতাই ব্যবহার করে। অনেক কিছু দিয়েও মান রাখা দায়। নাক উঁচু রাখতে গিয়ে, একি বেহাল অবস্থা! শেষে কি অবস্থা হয়েছিল কে জানে, পরিবারের স্ট্যাটাস না মিলিয়ে বিয়ে দিলে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে।
আর একটা ঘটনা অনেকটা আগেরই মত। তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে বয়সের। পাত্রের বয়স পৈত্রিশ কি চল্লিশ, মেয়ের বয়স ষোল কি সতের। বিশাস করছেন না। হা, এমনি হয়, ছেলের কাজ করতে করতে বয়স চলে গেছে, কি আর করা! তার উপর ছেলে থাকে আমেরিকায়। মেয়ে ভালই থাকবে। কেমন করে যেন, যেসব ছেলেরা দেশে গিয়ে বিয়ে করে, মোটামুটি সবাই, কম বয়সের মেয়ে খুঁজে। দেশের যে অবস্থা, হয়তো বেশি বয়সের মেয়েদের উপর ভরসা পাই না কেউ। বয়সের পার্থক্য কেউ আর ভেবে দেখে না। চপল মতি এক মেয়েকে বিয়ে করে ধুমধাম করে (আমেরিকান সব পাত্রর বিয়ে ধুমধাম করেই হয়, টাকা পয়সা ধার করে হলেও, (সিস্টেম আছে এখানে) বিয়ে ধুমধাম হবেই). তারপর কঁচি মেয়ের মতের সাথে ছেলের খাপ খায় না। খাপ খায়ই বা কি করে, যার বয়স পয়ত্রিশ বা চল্লিশ, তার জীবনের সব রং দেখা শেষ, আর যার এখন ১৬/১৭ বয়স, তার পৃথিবী সবে রঙিন হতে শুরু করছে। তারউপর পাত্রী অবশ্যই কোটি পতির মেয়ে অথবা শিল্প পতির মেয়ে, তাকে কিছু বলা ভীষন বারন। কিন্তু তার সব কথা শুনতে হবে অক্ষরে অক্ষর। বুঝো ঠেলা ! আবার।কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করচ্ছে, কাকে ফোন দিচ্ছে, কাদের সাথে চলচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদির খবরদারি মেয়ে ঠিকই করে । সারাদিন ছেলেকে ধমকের উপর রাখে, ছেলে কিছু বলারি সাহস পায় না। এগুলো হয় শুধু দেশে থাকতে, এদেশে আসার পরে তো বাংলাদেশি পাড়ায় তো থাকেই না। কেননা আমেরিকায় এসে 'বাংলাদেশি দেখতে
মন চায় না', 'এরা বড় নোংরা', ' এরা বড় আড্ডা বাজ' এই সব বলে নাক শিটকায়। কে জানে বেচারার কি অবস্থা হয়, তার অবস্থা জানা যায় না, কেননা এখন তারা থাকে বিদেশী পাড়ায় ।
এই আর একটা ব্যাপার যে, এ দেশে এসে, বাংলাদেশীদের দেখলে, নাক শিটকানো অথবা তাচ্ছিল্য করে । কেন রে বাবা, আপনি তো বাংলাদেশেই জন্মিয়েছেন, বাংলাদেশীদের সাথেই বড় হয়ে উঠা, এখানে আসলে ওবামার খালতো ভায়ের নাতি হয়ে যান নাকি। অথবা সপ্তাহে আশি ঘন্টা কাজ করে কিম্ভুতকিমাকার হয়ে গেছে চেহারা কিন্তু অনেক ডলার বাংকে জমেছে। তাই চোখ উঠে গেছে আকাশে। বাংলাদেশী দেখলেই চোখ আকাশে উঠে যায়।
যাইহোক, ইতি টানি এখন। এদেশে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে বলেই সবাই কাজ করে অনেক। বাংলাদেশে সেই সুযোগটা নেই, থাকলে হইতো ভিন্ন চিত্র দেখা যেত। আমি তো মনে করি এশিয়ার অন্য দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ অনেক অনেক ভালো করছে। শুধু যদি মন্ত্রীগুলো একটু ভালো হত, বাংলাদেশ আরো অনেক ভালো করত, বাংলাদেশকে আর বাংলাদেশীদের নিয়ে নাক শিটকানো কমত। দেশ ছাড়তে তখন আর আনন্দিত লাগত না। যারা এ দেশে কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন, দেশের মানুষকে জানতে দিন, বিদেশ থাকাটা খুব বেশি উপভোগ্য না পরিবার ছেড়ে, এখানে খেঁটে খুটে উপার্জন করতে হয় , সেই উপার্জনের সাথে এক্সপেকটেশনের যেন সামঞ্জস্য থাকে, আপনার জীবনের সাথে অন্য যার জীবন সামাঞ্জস্য হয় তাকেই বিয়ে করা উচিত, আকাশ পাতাল তফাতে না যাওয়াই ভালো। সর্বপরি বাংলাদেশীদের দেখে নাক শিটকানো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। মনে রাখা উচিৎ, দেশকে ছোট করলে, নিজেই অনেক ছোট হবেন।
আমার লেখা কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করে থাকলে, ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। সুন্দর কিছু না হয়, এই ক্ষমা দিয়ে শুরু হোক। পহেলা ফাল্গুনের অনেক শুভেচ্ছা রইল।
লংমণ্ট, কলোরাডো
ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৪
Tuesday, February 11, 2014
জীবন-২
...আজ পৃথিবীর মানব মানবীরা,
বেঁচে কি আছে তারা?
মৃত্যু চায় যারা,
কেন মৃত্যু চায়?
কেন জীবনকে করে ভয়?
এত কেন ঘৃণায় অবগাহ,
এত কেন হয় হৃদয় দাহ,
এতটুকু কি প্রেম নাই,
যতটুকু ভালবাসায়,
এই পৃথিবীর 'পরে
মানব মানবীরা তুলেছিল গড়ে
প্রেমের বেদী,
নতুন পৃথিবী,
সেই প্রেম নাই,
তাই শুধু মৃত্যু চায়,
জীবনকে করে ভয়,
জীবনের কাছে আসে নাই,
যদি ভালবাসত
তারপর জীবনেরে,
বাঁচতে চাইত
সুন্দর পৃথিবীর 'পরে,
সযতনে রাখত প্রেমের বেদী,
রঙ্গিন করত ধুসর পৃথিবী,
মৃত্যু চাইত না আর,
জীবনের তরে ফিরে আসত বার বার...
...আজ পৃথিবীর মানব মানবীরা,
বেঁচে কি আছে তারা?
মৃত্যু চায় যারা,
কেন মৃত্যু চায়?
কেন জীবনকে করে ভয়?
এত কেন ঘৃণায় অবগাহ,
এত কেন হয় হৃদয় দাহ,
এতটুকু কি প্রেম নাই,
যতটুকু ভালবাসায়,
এই পৃথিবীর 'পরে
মানব মানবীরা তুলেছিল গড়ে
প্রেমের বেদী,
নতুন পৃথিবী,
সেই প্রেম নাই,
তাই শুধু মৃত্যু চায়,
জীবনকে করে ভয়,
জীবনের কাছে আসে নাই,
যদি ভালবাসত
তারপর জীবনেরে,
বাঁচতে চাইত
সুন্দর পৃথিবীর 'পরে,
সযতনে রাখত প্রেমের বেদী,
রঙ্গিন করত ধুসর পৃথিবী,
মৃত্যু চাইত না আর,
জীবনের তরে ফিরে আসত বার বার...
কবি
... আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি,
চেনা অচেনার,
অবাক করা যত ছবি,
যত রূপ
পৃথিবীর অপরূপ,
আমার ভাবনায়
স্থান পেতে চায়,
আমাকে বলা হয়,
সব কিছু নিয়ে যেন
কবিতা লেখা হয়,
অগনিত নক্ষত্রের
প্রকৃত অবয়ব,
অজানার পারে
আকাশের দল সব,
চেনা দৃষ্টির বাইরের ছবি যত,
আমার দৃষ্টির আলোকে উন্মোচিত,
ভুবনের যত সুর,
ভাল লাগা সুমধুর,
আমার হৃদয়ে
পুরে দিয়ে,
বলা হল
গাও! গান গাও,
সুরে সুরে ভুবনটা ভরে দাও,
সুমধুর সব ভাবনায়,
সময়ের আসা যাওয়ায়,
কবিতায় আঁকি কত ছবি,
আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি,
আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি।
... আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি,
চেনা অচেনার,
অবাক করা যত ছবি,
যত রূপ
পৃথিবীর অপরূপ,
আমার ভাবনায়
স্থান পেতে চায়,
আমাকে বলা হয়,
সব কিছু নিয়ে যেন
কবিতা লেখা হয়,
অগনিত নক্ষত্রের
প্রকৃত অবয়ব,
অজানার পারে
আকাশের দল সব,
চেনা দৃষ্টির বাইরের ছবি যত,
আমার দৃষ্টির আলোকে উন্মোচিত,
ভুবনের যত সুর,
ভাল লাগা সুমধুর,
আমার হৃদয়ে
পুরে দিয়ে,
বলা হল
গাও! গান গাও,
সুরে সুরে ভুবনটা ভরে দাও,
সুমধুর সব ভাবনায়,
সময়ের আসা যাওয়ায়,
কবিতায় আঁকি কত ছবি,
আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি,
আমি আগা গোঁড়া
পুরদস্তর এক কবি।
লেখক
সবাই লেখালেখি করতে পারে না, যারা লেখালেখি করেন, তারা সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী। আমি বাড়িয়ে বলছি না, যারা নিয়মিতি লেখেন তারা আসে পাশের জগতটাকে যেভাবে দেখেন, সাধারণ মানুষ সেভাবে দেখেনা। সেই অদেখা ভুবন অনেক সুন্দর আর আনন্দময়, সেই ভুবন অনেক সুখের, দুঃখও আছে সেই দুঃখটাও সুখের। যারা লেখেন তারা বিষয়টা জানেন। আবার লেখার কাজটা যে অনেক কঠিন, যারা লেখেন তারা সেই বিষয়টাও জানেন, কখনো কখনো যন্ত্রণারও।
লেখতে চাইছেন লেখতে পারছেন, এই ব্যাপারটা অনেক কষ্টের, অনেক যন্ত্রণার। অনেকেই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে লেখালেখি ছেড়ে দেন। আমার এই লেখার প্রথম প্রাপক তারা।
কোন কাজই রাতারাতি সম্ভব না। লেখক হয়ে উঠাও তার ব্যতিক্রম না। অনেকের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন। লেখক হয়ে উঠার জন্য অনেক শ্রম আর ত্যাগের প্রয়োজন আছে। যে যতটুকু শ্রম দেবে, তার কাজ তত শানিত হবে, যে যতটুকু তাগ করবে, সে ততটুকু এগিয়ে যাবে। যারা বড় বড় লেখক হয়েছেন এবং আছেন, ভাববেন না, শুধু প্রতিভা দিয়ে উঁনারা এত বড় হয়েছেন, প্রতিভার সাথে শ্রম আর ত্যাগও আছে। আপনি যেহেতু লেখেন, ধরে নেয়া যায়, আপনার প্রতিভা আছে। তাই আপনার আর সাফল্যের মাঝে শুধু আছে শ্রম আর ত্যাগ। শ্রম আর ত্যাগের সাথে লেখে যান, আপনিও বড় লেখক হতে পারবেন। শ্রম আর ত্যাগ এক এক জনের জন্য
এক এক রকম হবে, আমার জন্য শ্রম হচ্ছে সময় খুঁজে লেখে যাওয়া আর ত্যাগ হচ্ছে আমার প্রিয় জিনিস (যেমন অতিরিক্ত ঘুম অথবা অতিরিক্ত রেস্ট) ত্যাগ করা।
আপনি নিয়মিত লেখক হয়ে উঠলেন, আপনার প্রাপ্তি কি? এই প্রাপ্তির কারনেও অনেকেই লেখালেখি থেকে দূরে সরে যায়। আপনি অনেকদিন লিখে যাচ্ছেন, কেউ আপনার লেখা পড়ছেন না, অথবা কেউ আপনার লেখা নিয়ে কটূক্তি করছে অথবা কেউ আপানকে পাত্তা দিচ্ছে না ইত্যাদি এগুলো নিয়ে যদি বেশি ভাবেন, তাহলে আপনি বেশিদিন লেখতে পারবেন না। আপনার মনে রাখতে হবে আপানর লেখা দিয়ে প্রথমত আপনি উপক্রিত হচ্ছেন, আপনি বিচক্ষণ হচ্ছেন, তারপর পাঠক আপানর লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখছে, জানছে।তাই আপনি লিখে যাবেন। কে কি বলছে, কি ভাবছে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, কিভাবে ভাল লেখা যায় সেটা নিয়ে ভাবুন, সমালোচনা
কাজে লাগান। তবুও লেখা বন্ধ করবেন না। লেখে যাবেন, জেনে রাখুন লিখতে লিখতে লেখক হতে হয়। কেউ আপানর লেখা না শুনুক, নিজের লেখা নিজেকে পড়ে শুনান, নিজের লেখাকে ভালবাসুন, নিজের দেয়ালে, নিজের ব্লগে অথবা লেখালেখির পেজে লেখেন। আপনার লেখাকে
প্রথমত আপনার ভালবাসতে হবে, সেটাই সব চেয়ে বেশি জরুরী। কোন 'লাইক' হইত নাও পরতে পারে, তাতে ক্ষতি নেই, অন্য লেখা লেখবেন, পোস্ট করবেন। কেউ না কেউ আপনার লেখা পড়ে উপক্রিত হবে, তবে সবচেয়ে উপক্রিত হবেন আপনি, আপনি ধীরে ধীরে লেখক হবে উঠবেন।
দ্বিতীয় প্রাপক, যারা আগে লেখতে, এখন আর লেখেন না। আপনি ভেবে দেখেছেন কি, আপনি কত সুন্দর ভাবনা, জানা অজানা বিষয়গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারতেন। হয়তো সময়ের অভাবে, কাজের চাপে লেখা কাজ হারিয়ে গেছে, কিন্তু আপনার ভাবনাগুলো কেউ আপনার মত
করে ভাবতে পারবেনা্, তাই আপনার না লেখার কারনে অনেকেই উপক্রিত হচ্ছে না, সব চেয়ে বড় ব্যাপার আপনার মনে ভাবনাগুলো জমে আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, আবার লেখা শুরু করুন, ভাল লাগবে, অনেকেই অনেক অদেখা ভুবন দেখতে পারবে না।
তৃতীয় প্রাপক, যারা ভাল লেখেন। যারা ভাল লেখেন তারা জানেন তারা ভাল লেখেন, অন্তত আঁচ করতে পারেন। তাদের প্রতি অনুরোধ, অন্য লেখার পাশাপাশি কিভাবে ভাল লেখা যায়, ভাল লেখক হয়ে উঠা যায় তা আমাদের জানান। মনে রাখবেন নতুন লেখকদের মাঝেই আপনার যোগ্য উত্তূরসরি আছে, তাকে একটু সাহায্য করুন, একটি লেখা অনেকের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে পারে। যারা লেখতে পারে তাদের অনেক অনুপ্রানিত করতে পারে।
আশা করছি যারা লেখতে পারেন তারা লেখে যাবেন। আমাদের অনেক অনেক লেখা উপহার দিবেন আর অনেক জানা অজানার বিষয় আমাদের শেয়ার করেবেন। সবশেষে সবার জন্য ছোট্ট একটা কবিতা উপহার রইল।
এক কবির মৃত্যুতে,
অদেখা স্বপ্নগুলো হারায় পথে,
আকাশগুলো ঠিকানা হারায়,
দুরের ভুবন দূরে থেকে যায়,
পাহাড়গুলো বিষণ্ণ ভীষণ,
সমুদ্রদের আকাশ ভ্রমন,
জ্যোৎস্নার সব দৃশ্যগুলো,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল,
দুরের বনের গল্পরা সব,
বনে হারায়, ভীষণ নীরব,
গানের মাঝে নেই কোন সূর,
কবিতাগুলো ব্যদনা বিধুর,
গানের মাঝে নেই কোন সূর,
কবিতাগুলো ব্যদনা বিধুর...
* ভুল বানানগুলো ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
Longmont, Colorado
January 26, 2014
সবাই লেখালেখি করতে পারে না, যারা লেখালেখি করেন, তারা সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী। আমি বাড়িয়ে বলছি না, যারা নিয়মিতি লেখেন তারা আসে পাশের জগতটাকে যেভাবে দেখেন, সাধারণ মানুষ সেভাবে দেখেনা। সেই অদেখা ভুবন অনেক সুন্দর আর আনন্দময়, সেই ভুবন অনেক সুখের, দুঃখও আছে সেই দুঃখটাও সুখের। যারা লেখেন তারা বিষয়টা জানেন। আবার লেখার কাজটা যে অনেক কঠিন, যারা লেখেন তারা সেই বিষয়টাও জানেন, কখনো কখনো যন্ত্রণারও।
লেখতে চাইছেন লেখতে পারছেন, এই ব্যাপারটা অনেক কষ্টের, অনেক যন্ত্রণার। অনেকেই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে লেখালেখি ছেড়ে দেন। আমার এই লেখার প্রথম প্রাপক তারা।
কোন কাজই রাতারাতি সম্ভব না। লেখক হয়ে উঠাও তার ব্যতিক্রম না। অনেকের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন। লেখক হয়ে উঠার জন্য অনেক শ্রম আর ত্যাগের প্রয়োজন আছে। যে যতটুকু শ্রম দেবে, তার কাজ তত শানিত হবে, যে যতটুকু তাগ করবে, সে ততটুকু এগিয়ে যাবে। যারা বড় বড় লেখক হয়েছেন এবং আছেন, ভাববেন না, শুধু প্রতিভা দিয়ে উঁনারা এত বড় হয়েছেন, প্রতিভার সাথে শ্রম আর ত্যাগও আছে। আপনি যেহেতু লেখেন, ধরে নেয়া যায়, আপনার প্রতিভা আছে। তাই আপনার আর সাফল্যের মাঝে শুধু আছে শ্রম আর ত্যাগ। শ্রম আর ত্যাগের সাথে লেখে যান, আপনিও বড় লেখক হতে পারবেন। শ্রম আর ত্যাগ এক এক জনের জন্য
এক এক রকম হবে, আমার জন্য শ্রম হচ্ছে সময় খুঁজে লেখে যাওয়া আর ত্যাগ হচ্ছে আমার প্রিয় জিনিস (যেমন অতিরিক্ত ঘুম অথবা অতিরিক্ত রেস্ট) ত্যাগ করা।
আপনি নিয়মিত লেখক হয়ে উঠলেন, আপনার প্রাপ্তি কি? এই প্রাপ্তির কারনেও অনেকেই লেখালেখি থেকে দূরে সরে যায়। আপনি অনেকদিন লিখে যাচ্ছেন, কেউ আপনার লেখা পড়ছেন না, অথবা কেউ আপনার লেখা নিয়ে কটূক্তি করছে অথবা কেউ আপানকে পাত্তা দিচ্ছে না ইত্যাদি এগুলো নিয়ে যদি বেশি ভাবেন, তাহলে আপনি বেশিদিন লেখতে পারবেন না। আপনার মনে রাখতে হবে আপানর লেখা দিয়ে প্রথমত আপনি উপক্রিত হচ্ছেন, আপনি বিচক্ষণ হচ্ছেন, তারপর পাঠক আপানর লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখছে, জানছে।তাই আপনি লিখে যাবেন। কে কি বলছে, কি ভাবছে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, কিভাবে ভাল লেখা যায় সেটা নিয়ে ভাবুন, সমালোচনা
কাজে লাগান। তবুও লেখা বন্ধ করবেন না। লেখে যাবেন, জেনে রাখুন লিখতে লিখতে লেখক হতে হয়। কেউ আপানর লেখা না শুনুক, নিজের লেখা নিজেকে পড়ে শুনান, নিজের লেখাকে ভালবাসুন, নিজের দেয়ালে, নিজের ব্লগে অথবা লেখালেখির পেজে লেখেন। আপনার লেখাকে
প্রথমত আপনার ভালবাসতে হবে, সেটাই সব চেয়ে বেশি জরুরী। কোন 'লাইক' হইত নাও পরতে পারে, তাতে ক্ষতি নেই, অন্য লেখা লেখবেন, পোস্ট করবেন। কেউ না কেউ আপনার লেখা পড়ে উপক্রিত হবে, তবে সবচেয়ে উপক্রিত হবেন আপনি, আপনি ধীরে ধীরে লেখক হবে উঠবেন।
দ্বিতীয় প্রাপক, যারা আগে লেখতে, এখন আর লেখেন না। আপনি ভেবে দেখেছেন কি, আপনি কত সুন্দর ভাবনা, জানা অজানা বিষয়গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারতেন। হয়তো সময়ের অভাবে, কাজের চাপে লেখা কাজ হারিয়ে গেছে, কিন্তু আপনার ভাবনাগুলো কেউ আপনার মত
করে ভাবতে পারবেনা্, তাই আপনার না লেখার কারনে অনেকেই উপক্রিত হচ্ছে না, সব চেয়ে বড় ব্যাপার আপনার মনে ভাবনাগুলো জমে আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, আবার লেখা শুরু করুন, ভাল লাগবে, অনেকেই অনেক অদেখা ভুবন দেখতে পারবে না।
তৃতীয় প্রাপক, যারা ভাল লেখেন। যারা ভাল লেখেন তারা জানেন তারা ভাল লেখেন, অন্তত আঁচ করতে পারেন। তাদের প্রতি অনুরোধ, অন্য লেখার পাশাপাশি কিভাবে ভাল লেখা যায়, ভাল লেখক হয়ে উঠা যায় তা আমাদের জানান। মনে রাখবেন নতুন লেখকদের মাঝেই আপনার যোগ্য উত্তূরসরি আছে, তাকে একটু সাহায্য করুন, একটি লেখা অনেকের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে পারে। যারা লেখতে পারে তাদের অনেক অনুপ্রানিত করতে পারে।
আশা করছি যারা লেখতে পারেন তারা লেখে যাবেন। আমাদের অনেক অনেক লেখা উপহার দিবেন আর অনেক জানা অজানার বিষয় আমাদের শেয়ার করেবেন। সবশেষে সবার জন্য ছোট্ট একটা কবিতা উপহার রইল।
এক কবির মৃত্যুতে,
অদেখা স্বপ্নগুলো হারায় পথে,
আকাশগুলো ঠিকানা হারায়,
দুরের ভুবন দূরে থেকে যায়,
পাহাড়গুলো বিষণ্ণ ভীষণ,
সমুদ্রদের আকাশ ভ্রমন,
জ্যোৎস্নার সব দৃশ্যগুলো,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল,
দুরের বনের গল্পরা সব,
বনে হারায়, ভীষণ নীরব,
গানের মাঝে নেই কোন সূর,
কবিতাগুলো ব্যদনা বিধুর,
গানের মাঝে নেই কোন সূর,
কবিতাগুলো ব্যদনা বিধুর...
* ভুল বানানগুলো ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
Longmont, Colorado
January 26, 2014
Subscribe to:
Posts (Atom)