Followers

Monday, March 31, 2014

বেদনা আর নিঝুম রাতের কবিতা

বেদনা আর নিঝুম রাতের কবিতা

তুমি বেদনায় হাত রাখো,
আমার বুকে হাতদুটি রাখো,
আজন্ম বেদনায় সিক্ত দেহ,
একটু উষ্ণতা পাক,
নদী মুছে দেয়নি
বৃষ্টি ধুঁয়ে নেয়নি
সাগর ভাসায়নি
তোমার ছোঁয়ায়
আমার গ্লানি সব মুছে যাক,
আমার সিক্ত দেহ একটু উষ্ণতা পাক
আমার চোখে,
হাজার বছর জেগে থাকা চোখে,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক,
পথ ক্লান্ত করেনি
রাত্রি ডাকেনি,
গান ঘুম পাড়ায়নি,
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়ায়
আমার চোখ দুটি,
শান্ত হয়ে নিঝুম রাতে
স্বস্তি পেয়ে ঘুমিয়ে গিয়ে থাক,
তোমার ঠোঁটটি তাদের ছুঁয়ে দিয়ে যাক...


কবি - ৭


প্রানের কবি প্রানের কথা বলে
হৃদের কবি  হৃদের কথা বলে

**************************

সূর্য উঠলে ধীরে কিছুক্ষণ পড়ে
স্বচ্ছ আকাশ জুড়ে কিংবা মেঘলা আকাশ ভেদ করে
সূর্যের আলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে
আমি উদয়চলে উঠছি ধীরে ধীরে
আমার বানী তেমনি করে তোমার কাছে যাবে
আমার বানী তোমার হৃদের কথা কবে
হয়তো তুমি ব্যস্ত ভীষণ
অবসাদে বিষণ্ণ মন
পৃথিবীর ওপারে
যেখানে আধারে
আলো নেই
কোন ভাল লাগা নেই
অবজ্ঞা ভরে আমার এই কবিতায়
ঝুঁকে আসো মিহি প্রদীপের আলোয়
পড়তে পড়তে ভাববে যেন
আগেই পড়া হল না কেন এই কবিতাখানি
তোমার অবষন্ন সময়ে আমি জানি
হৃদয়ের কাছে যাবে আমার বানী
তোমার হৃদয়ের সাথে কথা কবে
তোমারে ভাল লাগা দিবে
তোমার কেবলি মনে হবে জানি
তোমারি জন্য লেখা এই কবিতাখানি
হ্যাঁ, তোমারি তরে এই কবিতা খানি লেখা
তোমারি তরে এই কবিতায় বেঁচে থাকা
তোমারি অবসন্ন সময়ে আমি জানি
তোমারে সুধা দেবে আমার হৃদয়ের বানী
সময়ের কাছে সবাই ঋণী তাই
কারো কাছে সময়ের ছিটে ফোঁটা নাই
তোমারে দেবে সঙ্গ আমার এই কবিতা খানি
তোমারে সুধা দেবে আমার হৃদয়ের বানী
তোমারি তরে এই কবিতা খানি লেখা
তোমারি তরে এই কবিতায় বেঁচে থাকা











Monday, March 24, 2014

অভিমানী যোদ্ধা

অভিমানী যোদ্ধা

(কবিতা টি গত বছরের লেখা  (২৬ মার্চ ২০১৩), যখন মাতৃভূমির দেশদ্রোহীদের বিচারের কাজ চলছে। কবিতা টি আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম, আজ খুজে পেলাম। )
                                    মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন

ওঁদের আসার কথা ছিল,
ওঁরা আসবে না,
সব কথা জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা অপেক্ষা করে চলে গেছে,
তোমাকে কেউ যদি
বেয়াল্লিশ বৎসর প্রতীক্ষায় থাকতে বলে,
তুমি নিশ্চয়ই চলে যাবে সব আশা ছেড়ে,
বেয়াল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করে,
অথবা বেয়াল্লিশ ঘণ্টা,
হয়তো বেয়াল্লিশ দিন অপেক্ষা করতে পারো
না হয় ধরে নিলাম বেয়াল্লিশ মাস,
তুমি কি থাকবে বেয়াল্লিশটি বৎসর?
থাকবে না,
ওঁরা তো বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষায় ছিল,
বেয়াল্লিশ বছর হায়ানাদের বিচরন দেখেছে,
বেয়াল্লিশ বছর ধরে ভেবেছিল,
চেয়েছিল মাতৃভুমিটা চির তরে স্বাধীন হোক,
দিয়েছে প্রিয় জীবন,  প্রিয় মাতৃভূমির জন্য,
কেউ তাঁদের বলেনি যুদ্ধে যেতে,
কেউ তাঁদের বলেনি বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে আনতে,
ওঁরা পেরেছে মায়ের মুখে হাসি আনতে,
ওঁরা পেরেছে বিজয়ের নিশান উড়াতে,
এতটুকুই  চাওয়া ছিল,
এতটুকুর অপেক্ষায় ছিল,
দেশদ্রোহীদের বিচার হবে,
কোথায় হল!
বেয়াল্লিশ বৎসরেও হল না,
কবে হবে কেউ কি জানে,
তাই তাঁরা বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষা করে চলে গেছে,
ওঁরা আসবে না আর,
সবগুলো জানালা বন্ধ করে দাও,
অভিমানী যোদ্ধা
অপেক্ষা করে চলে গেছে দূরে,
চলে গেছে বহু দূরে ........

কিছু কিছু কবিতা

....কিছু কিছু কবিতা
                 ঝুপ করে 
                      শেষ হয়ে যায়.....

Sunday, March 23, 2014

২৫ মার্চ ১৯৭১

২৫ মার্চ ১৯৭১
(অসংখ্য শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, যারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল এবং তা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছিল ও করছে! ) মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন
এইদিনটায় শুরু হল, জীবনকে মুক্ত করার দেশকে জীবনের সাথে যুক্ত করার সংগ্রাম, জীবন দিয়েছে দেশ, গড়েছেও সে, এবার তুমি তার স্বাধীনতা রক্ষা করো,
একবার যদি তুমি ভাবতে এমন, পরাধীনতা কেমন, কেমন করে জীবনের শেষ হয়, জীবন কোন জীবন নয় পরাধীনতায়, তুমি স্বাধীন দেশ পেয়েছ, স্বাধীন ভাবে আকাশের নিচে নিজের দেশকে কাছে পেয়েছ, বুলেট আর গ্রেনেডের সামনে দাড়িয়ে বলতে হয়নি, 'আমি স্বাধীনতা চাই', একটাই প্রান দিয়ে দিতে হয়নি দেশের তরে, স্বাধীনতা এসেছে অনেক জীবনেকে শুন্য করে, অনেক বোবা কান্নায়, অনেক কিছু বিসর্জনে, সব শহীদেরা তোমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে, এবার তুমি তাঁদের শান্তিতে ঘুমাতে দাও স্বাধীন প্রাঙ্গনে,
তুমি যদি বলতে না পার তুমি কে তবে তোমার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও, তুমি যদি বুঝতে না পার যুদ্ধ কি তবে তোমার জীবন রেখে আস স্মৃতি সৌধে, তুমি যদি দেশের পক্ষে কিছু না বলতে পার চলে যাও অন্য কোথাও এ দেশ ছেড়ে, আমার হৃদয় লক্ষভেদি বুলেট আর গ্রেনেডের মত যেকোনো সময় বেড়িয়ে আসতে পারে, আমি হায়ানার কামড়ে ভয় করিনা, বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে শহীদেরা আমি তা কোন দিন হারাতে দিব না, এটায় আমার যুদ্ধ, শ্রদ্ধা সেটা শহীদের তরে তাঁদের এই অমূল্য ঋণ, বিজয়ের কথা, আমি ভুলে যাই কি করে...

Saturday, March 22, 2014

হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি

হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
                               

হৃদয়ের ভালবাসা খুইয়ে ফেলেছি
কোন একদিন তার,
নষ্ট হয়ে গেছে জীবনের সব স্বাদ তারপর,
পেরিয়ে গেছে ব্যদনার অনেক সময়,
ক্লান্ত হয়েছে হৃদয়,
জীবনের তরে আমি আর
ফিরে আসি নি আবার,
ভালবাসা হারিয়ে গেলে পরে,
মৃত্যু এসে সময়ের বুক থেকে জীবনেরে
নিয়ে যায়, তারপর বদলে দিয়ে যায়
জীবনের সময়,
কিছুই থাকে নাতো আর,
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর
নষ্ট হয়ে যায় জীবনের সব স্বাদ তারপর




















নারী- ৪

নারী - ৪

এ সময় এক অন্য সময়
এই সময়ে প্রেম কি আছে?
কোন ভালবাসা নেই,
সব বৈভবে হারিয়ে গেছে
ভালবাসা প্রেম,
হারিয়ে গেছে সব সুন্দর ডাকনাম, 
এই সময় যে সময়ে
ভালবাসা মূল্যহীন, 
শুধু অন্য কিছু খুব দরকারি, 
তবুও আমি ভালবাসার লেনদেনে
ভালবাসাই দিতে পারি, 
আমার কাছে অন্য কিছু মূল্যহীন
আমার কাছে প্রেম অমূল্য, অমলিন...

তুমি তো ভালবাসাই চেয়ে ছিলে
ভালবাসা ছাড়া অন্য কিছু নয়, 
ভেবে দেখ দিনগুলো তাই
অন্য রকম ছিল, সেরকম তুমিও ছিলে, 
আজ কেন তুমি অন্য কিছু চাও,
কেন বলো অন্য পৃথিবী দাও ,
ভালবাসা চেয়ে দেখো আজো,
আমার চোখে ভালবাসা খোঁজ, 
দেখবে সময়গুল আগেরি মত দ্রুত উড়ে যাচ্ছে, 
আমাকে আগেরি মত ভাল লাগছে, 
ভালবাসা ছাড়া কিছু বুঝবে না আর, 
খুজে পাবে আমার জন্য শুধু  তুমি, আমি শুধু তোমার
অন্য সব কিছু মনে হবে মূল্যহীন
প্রেম মনে হবে শুধু অমূল্য, অমলিন ...



মৃত্যুর জীবন

মৃত্যুর জীবন

...আমি সবসময় মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত,
জীবন দিয়েছে আমাকে ঢের,
আমি জানি অনেক বিস্ময় এখনো অধরা রয়ে গেছে,
অজস্র পৃথিবীর মুখ অদেখা আছে,
তবুও মৃত্যুর ভুবন আসীম অনেক,
এইসব, সব জীবনের বিস্ময়,
বহুমাত্রিকে অনেক গুনে লুকিয়ে আছে মৃত্যুর স্পর্শ,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন সময়
মৃত্যু আমাকে দিবে সীমাহীন, ক্লান্তহীন জীবন
এই পৃথিবীর জীবনের গ্লানি নেই
ক্লান্তি নেই, ঘুম নেই,
শুধু সময়ের মত বয়ে চলা নদী
যার শুরু আছে শেষ নেই,
সীমাহীন সেই মৃত্যুর জীবনে
বহুমাত্রিকে অনেকগুনে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব বিস্ময়,
আমি তাই মৃত্যুর হাত ধরতে প্রস্তুত যে কোন দিন যে কোন সময়....

Thursday, March 20, 2014

কবি - ৬

কবি - ৬

আমাকে একটি কবিতা লিখতে দাও
আমি তোমাকে মৃত্যুহীন জীবন দিব...
                                          প্রানের কবি

***************************

আমি বরাবর, বারবার কবি হতে চেয়েছি
আমাকে অন্যান্য কিছু হবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল
বেছে নিতে বলা হয়েছিল অন্য জীবন
বাছতে বলা হয়েছিল অন্য জীবনের কারন
আমি গড়িনি নতুন কোন শহর
বানাই কোন চাকচিক্যের ঘর
আমি মন দেইনি বৈভবে
কবি হবার স্বপ্ন শুরু আমার শৈশবে
কৈশোর গেল, যৌবনে এলো কত উত্থান পতন
তবুও টানেনি আমাকে অন্য জীবন
আমি কবির জীবন ভালবেসেছি
তাই বরাবর, বারবার কবির জীবনকে বেছে নিয়েছি
আমি কবি হতে পেরেছি কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না,
কবির হৃদয়ের ভালবাসায়
জীবনে মৃত্যুর রুপ আসবে যদিও, মৃত্যু আমাকে ছোঁবে না...

কলোরাডো

কলোরাডো


পৃথিবীটা অনেক বড়।

সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গেলে, অনেক বড়। ছোট্ট জীবনের তুলনায় অনেক অনেক বড়। কত টুকু আর দেখা যায়, এই জীবনে! চারপাশটা যদি ঘুরে ঘুরে দেখি, তাহলেও চলে যাবে জীবনের আধেকটা সময়। অনেক জায়গা তো আছে, বার বার যেতে ইচ্ছে করে, অনেকবার যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে, জীবনের সময়ের সাথে পৃথিবীটাকে দেখার সময় খুবই কম। আশে পাশের জায়গাটুকুর মাঝে ঘুরে ফিরে কত কিছু দেখার আছে।

অনেকে তো আকাশ দেখেই জীবন পাড় করে দিল। আকাশ দেখার মাঝে কি যে নেশা আসে। মেঘহীন স্বচ্ছ নীল আকাশের মায়া বড় অদ্ভুত। একাধারে অনেক ক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে, মনে হয় আকাশটা অনেক কাছে চলে এসেছে। বায়বীয় নয়, তরল আকাশ। মনে হয় বিশাল সমুদ্র উল্টো হয়ে আছে, ঢেউহীন নীল সমুদ্র। হয়ত বা ঢেউ আছে, দূর থেকে দেখা যায় না, কে জানে।  যদিও এখনো আকাশ বলে কিছু আবিষ্কৃত হয়নি, এই নীল আকাশ শুধুই চোখের ফাঁকি। ক্লান্ত দৃষ্টি কিছু পায় না, বলে নীলে রঙ দেখে, মনে হয় ব্যদনার রঙ নীল, তাই মেঘমুক্ত স্বচ্ছ আকাশ নীল। আর এখানকার আকাশটা অনেক কাছে। হ্যাঁ, সমুদ্র সীমার ৪৮৫৪ ফুট উপরে লংমণ্ট, আকাশ তো কাছে লাগবেই।

পৃথিবীর কথা বলতে গিয়ে চলে গেলাম আকাশে। পৃথিবীতে ফিরে আসি। পাহাড়ের কথা বলি। আমি থাকি পাহাড়ের অনেক কাছাকাছি। আমার বারান্দায় দাঁড়ালেই পাহাড় দেখা যায়। বরফে ঢাকা পাহাড়। পাহাড়ের সারি। অনেক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়। ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ আর দৃষ্টি বরফে ঢাকা পাহাড়ের দিকে, সময়ের কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি করে। আমি যখন গাড়ি চালিয়ে যায় পাহাড়ের পাশ দিয়ে, কত বার যে তাকায়, তার ইত্তায়া নেই। এই পাহাড়ের সারি থেকে চোখ ফেরন কঠিন কাজের একটি। একটা বিষয় লক্ষ করলাম কিছু দিন। পাহাড়ের উপরে জমে থাকা বরফ গুলো বাতাসে জোরে  উড়ে গেলে, অদ্ভুত এক ধরনের দৃশ্য তৈরি করে। মনে হয়, বরফ না, সাদা বালি উড়ে যাচ্ছে। কখন মনে হয়, ঠাণ্ডা ধোঁয়া উঠছে। মাঝে মাঝে মেঘগুলো পাহাড়ের খুব কাছা কাছি চলে যায়, নড়েচড়ে না, এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে, বাতাস আসলে দেই ছুট।  মনে হয় মেঘ গুলো পাহাড়ের বুক থেকে উঠে আসছে, পাহাড়ের আশে পাশে ঘুর পাক খাচ্ছে, ধমকা হাওয়া মেঘগুলোকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।  অদ্ভুত!

গরমের সময় বরফ থাকে না । তবে অন্য রকম এক ঘটনা ঘটে। দুপুরের রোদ্রে পাহাড় গুলো কে সুবিশাল লোহার স্তুপের মত লাগে। মনে হয় আদি কালে কেউ এখানে লোহার কারুকাজ করে রেখে গেছে। হয়ত সমুদ্রের ঢেউর আকৃতি করতে চেয়ে ছিল। এত বিশাল পাহাড়ের সারিকে ওরা ডাকে 'ফ্ল্যাট আইরন'। বিকেলের আলোয় একদম সমুদ্রের ঢেউর মত অসংখ্য ঢেউ এদিকে ছুটে আসে।

বেশ কিছু লেক আছে এখানে। ছোট বড়। চোখের মত এক লেক আছে কিছু দূরে। কাজল দিয়ে টানা চোখের মত।   শীতের সময় লেকগুলো বরফে ঢেকে যায় একদম। বরফ লেকের উপর খেলা হয় স্কেটিং। ছোট ছোট বাচ্চারা হেলে দুলে খেলে। কেউ কেউ বরফ ফুটো করে মাছ ধরে। হ্যাঁ, এরা মাছ ধরায় ওস্তাদ লোক আছে। বিশাল আয়োজন করে মাছ ধরে। মাছ ধরতে লাইসেন্স লাগে। তারপর ছিপি কেনা, নেট কেনা, বরফ খোদাই করার মেশিন, মাছ রাখার পাত্র কত কিছুর আয়োজন।  গ্রীষ্মের সময় তো কত কিছু করা যা, শীতের সময় ঘরে বসে থেকে কি হবে, মাছ ধরা বরঞ্চ অনেক ভাল।
কিছু কিছু লেক, ঠাণ্ডার সময়ও অনেক গরম পানিতে ভরে থাকে। এগুলোকে বলে হট স্প্রিং। কৃত্রিম উপায়ে না, প্রাকৃতিক ভাবেই এই  লেকগুলো গরম পানিতে ভরা থাকা। গরম বলতে গোসল করার মত উষ্ণ পানি। যেখানে অন্য সব লেকগুলো জমে বরফ, সেখানে এই হট স্প্রিংগুলো সহনীয় পানিতে টইটুম্বুর। দল বেঁধে লোকজন সাতার কাটতে যায়। কিছু হট স্প্রিং পাহাড়ে ঘেরা, অদ্ভুত পরিবেশ।

কিছু লেক রিজারভইর মানে পানি সংরক্ষণের জন্য বানানো হয়েছে। পুরো কলোরাডো জুড়ে অসংখ্য রিজারভইর। ভুলে গেলে চলবে না, কলোরাডো এক ধরনের মরুভুমি। লাল মাটি আর বিশাল বিশাল পাহাড়ের মরুভুমি। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড উত্তাপে যেন খরা না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে খরা দেখা দেই এদিকটায়। পানির অভাবে পাহাড়ে পাহাড়ে আগুন লাগে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। খরার সময় অপ্রয়োজনে পানি খরচ করলে, জরিমানা গুনতে হয়।

এখানকার সবচেয়ে বড় নদী কলোরাডো রিভার। অনেক অনেক বড়। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে কোথাও অনেক প্রশস্ত। কিন্তু দীর্ঘ অনেক। এছাড়াও কিছু ছোট বড় নদী আছে, যেগুলোর অনেক গুলো শীতকালে শুকিয়ে যায়, গ্রীষ্মে কিছুটা পানি আসে। কলোরাডো রিভারে স্রোত থাকায় ঠাণ্ডায় জমে না। গ্রীষ্মের সময় নৌকায় চরে এক ধরনের খেলা হয়, এগুলোকে রেফটিং বলে। আঁকা বাকা নদীর বুকে ছোট ছোট নৌকার মত কায়াক চড়ায়।

শীতের শুরুতে অসংখ্য রাজহাঁস উড়ে যায় দক্ষিণে, গরমের খোঁজে। এগুলোকে ক্যানাডিয়ান গুজ বলে। কানাডা থেকে উড়ে উড়ে, আমেরিকা পাড়ি দিয়ে আরো দক্ষিণে যায়। দল বেঁধে,  এত্ত বড় বড় রাজহাঁস। উড়ার সময় অনেক শব্দ করে করে যায়। আমাদের দেশের অতিথি পাখির মত কিছু পাখি, এখানকার মাঠ ঘাটে, লেকে যাত্রা বিরতি নেই। কখনো  মাঠ জুড়ে রাজহাঁসে ভরে যায়। বরফ পরার সময় কিছু রাজহাঁসকে চুপচাপ মাঠের উপর বসে থাকতে দেখেছি। এরা দেরি করে যাত্রা শুরু করেছে বিধায় পিছনে পরে গেছে! এদের কেউ মারে না, ধরে না, এরা কাউকে ভয়ও করে না। নিশ্চিন্তে লেকে জমা হচ্ছে, মাঠে দল বেঁধে বসে আছে। রাজহাঁসের উড়ে এসে পানিতে নামাতা খুবই সুন্দর আবার উড়ে যাওয়াটা অদ্ভুত। ডানার জাপটায় একে একে সব উড়ে যায়। গ্রীষ্মের শুরুতে আবার দল বেঁধে উত্তরে যাওয়া। অনেক কোলাহল করে উড়তে উড়তে নিজের দেশে ফিরে যাওয়া।  

Friday, March 14, 2014

পতাকা এবং অন্যান্য

পতাকা এবং অন্যান্য

১।
কিছুদিন আগে অন লাইনে একটা ভিডিও দেখেছিলাম। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিল যে, প্রশ্নকর্তা বেশ কিছু জনকে প্রশ্ন করছিলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে, এইসব দিনে কি হয়েছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগই উত্তর দিতে পারে নি, অদ্ভুত সব উত্তর দিয়েছে, কিছু কিছু উত্তর খুবই হাস্যকর এবং লজ্জাকর।
প্রশ্ন কর্তা কি ইচ্ছে করে, যারা পারেনি তাদের দেখিয়েছে,  না আসলেই ঘটনা এরকম বুঝতে পারিনি, মানতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই হয়ত, বুঝতে পারি নি। যাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা শিক্ষিতই মনে হয়েছিল, স্কুল কলেজে কি বাংলাদেশের ইতিহাস উঠিয়ে ফেলা হয়েছে, এই সব দিনে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল, সেইসব নিয়ে কি  শিক্ষা দেওয়া হয়নি!  আর দেশের এত গুরুত্ব পূর্ণ দিনগুলো জানতে খুব বেশি  কি শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় সমস্যা অন্য কোথাও, সমস্যা আমাদের বোধে, সমস্যা আমাদের মাঝে একে অন্যের প্রতি অবহেলার, নিজের ভিতরে অহমিকায়। এর অনেক প্রতিকারই আছে। আমার কাছে যেটা সহজ মনে হয়েছে যে, আমাদের ইতিহাস নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা, বেশি বেশি লেখা, দুরের হোক কাছের হোক সবাইকে জানানো। মানুষ গর্বিত বিষয় নিয়ে খুশি হয়, আহাল্বাদ করে, এর ওর কাছে বলে বেড়ায়, নানান ছেলে মানুষি করে। আমাদের যে ইতিহাস তাতো গর্বের, তা নিয়ে কি করেছি। তেমন কিছুই না। তবে আমি চেষ্টা করি বিদেশীদের সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশের সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে, ফেব্রুয়ারির, মার্চের, বৈশাখের, স্বাধীনতার আর বিজয়ের কথা বলতে আমার বরাবরই ভাল লাগে। কাছের লোক জনের জন্য কিছু লেখা লেখি করে নিজের দেশেকে নিয়ে আমার চিন্তা আর আবেগের কথা তুলে ধরি,  দেশকে নিয়ে ভালবাসা আহাল্বাদে দোষের কি আছে!

২।
আমাদের দেশাত্মবোধ শুধু কয়েকটি দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। গোটা কয়েকটা দিনের শেষে দেশেই থাকি, তবুও দেশের কথা ভুলে যাই। তা নাহলে, কেউ বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতাকা উড়াতে পারতনা। যারা গ্যালারীতে বসে অন্য দেশের পতাকা উড়িয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারিতে, বৈশাখে, বিজয় দিবস উদযাপন করেছে, শুধুই অন্যের দেখা দেখি, দিনগুলো  কি এবং কেন সে ব্যাপার কিছুই জানে না। দেশ সম্পর্কে বিন্দু মাত্র জ্ঞান আর ভালবাসা থাকলে, কেউ পাকিস্থানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করত না, অন্য দেশের পতাকা উড়াতে হীনমন্যতা বোধ করত। আমার মনে হয় এদের হীনমন্যতা বলতে কিছু নেই, থাকবেই বা কি করে, অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
 অনেকে ধর্মকে টেনে এনে বলে ওরা তো মুসলিম, তাই পাকিস্থানকে সাপোর্ট করি। প্রথমত, ধর্মেতো এই সব খেলা সবিই নিষেধ। তাহলে খেলা দেখেন কেন। আচ্ছা খেলা দেখেন আপনার বিষয়, কিন্তু একাত্তুরে বাংলাদেশের বুকে যারা হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল তারা কি মোসলমান ছিল না,  নাকি ভিন্ন ধর্মী কাউকে দিয়ে এই দেশের লোক জনকে হত্যা করেছে! এদেশের লোক জন কি ধর্মের ভাই ছিল না তখন। তবে এখন কেন আগ বাড়িয়ে ধর্মের ভাই ভাই বলে আহাল্বাদকরেন! অজ্ঞতার সীমা থাকা দরকার। আইন করে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতকা উত্তোলন বন্ধ করা উচিৎ। যারা চোখ থাকতেও নিজের ভুল দেখে না, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিখিয়ে দিতে হয়।

৩।
মার্চ মাস চলছে। স্বাধীনতার মাস চলছে। দেশের প্রতিটা মানুষের জানা উচিৎ, আমাদের স্বাধীনতার শুরু এ মাস থেকে, আমাদের যুদ্ধ হয়েছে আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার, আমাদের আপন সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য। খেলার গ্যালারিতে কিছু মূর্খ জনতার গণ্ডামি ছাড়াও, বসিবি T20 এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, নিজের দেশের তারকাদের দমিয়ে রেখে, অন্য দেশের শিল্পীদের নিয়ে যে আদিখ্যেতা করল, তা দেখে খুবই হতবাক হয়েছি। বাংলাদেশে খেলা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিল্পীরাই বেশি প্রাধান্য পাবে, এদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরবে,  এটাই স্বাভাবিক।  অন্য দেশের শিল্পীরা আমাদের অতিথি, তাদের আপ্যায়ন করা সমুচিত, কিন্তু তাদের নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা ভাল সাঁজে না। বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতি দর্শকদের অনুভুতি খুবই বেদনাদায়ক। ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় সংস্কৃতি বাংলাদেশের প্রতি রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে গেছে। কিছুদিন পরে আমাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও হিন্দি গান শোনা যাবে। এটা আমরাই হতে দিয়েছি এবং দিচ্ছি, নিজের স্বকীয়তা আর নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে, অন্য সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আসলেই স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক অনেক কঠিন।

৪।
ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সবসময় আমার  কাছে প্রেরণার আর গর্বের। আমি আমরন বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে যাব, আমি বাংলার গান গেয়ে যাব, আমি বাংলায় গান গেয়ে যাব। পতাকা নিয়ে একটি কবিতা দিয়ে শেষ করছিঃ

পতাকা

এই পতাকা তুলে ধরো মুক্ত আকাশে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা,
সবুজ অংশটুকু পুরো বাংলাদেশের কথা,
লাল জায়গাটুকু রক্তস্নাত স্বাধীনতা,
তোমার হাতে এক জাগ্রত জাতির নিশান,
তোমার হাতে অন্যায়ে আপোষহীন জাতির প্রমাণ,
উঁচিয়ে ধরো শক্ত দুহাতে,
উড়িয়ে দাও মুক্ত বাতাসে,
জানিয়ে দাও তোমার স্বাধীনতার কথা,
জানিয়ে দাও তোমার ইতিহাস গৌরবমাখা...




Thursday, March 13, 2014

হৃদয়ের ক্ষত


হৃদয়ের ক্ষত

হৃদয়ের ক্ষত ভুলে যেতে হয়,
অবসাদে হয়  ক্লান্ত হৃদয়,
বুকের ভিতরে পাহাড়ের ভার নামে,
বায়বীয় কষ্ট বারে আর কমে,
চোখের কোলে কান্না একি!
চারপাশে ভিন্ন এক ভুবন দেখি,
শেখা হয়, জানা হয় জীবনের কৌশল,
হৃদয়ের মাঝে বাড়ে মনোবল,
আঘাতে আঘাতে শানিত তরবারি,
ক্ষুদ্রসম  সবকিছু জীবনে দরকারি,
আঘাতের দিন জীবনের শেষ নয়,
হৃদয়ের ক্ষত তাই ভুলে যেতে হয়...






কবি - ৪

কবি - ৪ 

যে মুক্ত আকাশকে ভালবাসে,  
পাহাড়ের গায়ে হাত বোলায় আলতো আবেশে, 
বৃক্ষের শতদলে হারিয়ে যেতে যে আকুল, 
নদীর বহতা বেগ দেখে যার হৃদয় ব্যাকুল , 
রাতের জ্যোৎস্নায় যে আপ্লুত হয়,  
এক তারার সাথে অন্য তারা মেলায়, 
ঐ নতুন শহর, পিছে পরে থাকা চার দেয়ালের ঘর, 
তাকে বুঝে না, তাকে টানে না কাছে আর,
তাই কোলাহল ছেড়ে এইখানে এসে বসে, 
আকাশ, পাহাড় আর নদীর কোলাহল শুনতে সে বড় ভালবাসে... 

মেঘেদের বিস্ফোরণ


মেঘেদের বিস্ফোরণ

প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়েছে আকাশে,
মেঘেদের বিস্ফোরণ,
ফুলে উঠছে মেঘেদের দল,
ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের বুক জুড়ে,
আকাশটা একদম নীল ছিল,
পুরো আকাশটা পুরোপুরি নীল ছিল,
মেঘেদের বিস্ফোরণে,
ঢেকে যাচ্ছে নীলিমা,
একটু একটু করে,
আর একটু,
আর একটু খানি...

কত আকৃতি ক্ষণে ক্ষণে,
নীল ব্যাক গ্রাউন্ডে ফুটে ফুটে উঠছে,
একে একে নতুন সব ছবি,
নাম দেয়া যাক এক একটারঃ
এভারেস্ট,
ব্যাঙের ছাতি,
ধবল জবা,
হিরশিমা নাগাসাকি,
বিস্তৃত উদ্যান যে বেড়ে যাচ্ছে শুধু...

এ মেঘে বৃষ্টি হয়না,
আশ্রয় খোঁজার ভয় নেই,
সবুজ ঘাসে শুয়ে শুয়ে শুধু
জলরঙে মেঘেদের ছবি আঁকা দেখা
আর এক একটা নাম দেয়াঃ
পালতোলা নৌকা,
সাগরের ঢেউ,
বালুকা বেলা,
চেনা কত মুখ...

আমি, হাইওয়ে ৬৬ এবং এক ফালি চাঁদ

আমি, হাইওয়ে ৬৬ এবং এক ফালি চাঁদ

গাড়ি চলছে দ্রুত
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
বসন্তের মিঠে হাওয়া
এ হাওয়া পাহাড়ের গা ছুয়ে এসেছে
এ হাওয়া আমায় ছুয়ে যাচ্ছে
হাইওয়ে ৬৬ যেন উঠে গেছে পাহাড়ের উপরে
তারপর উঠে গেছে আকাশে
উঠে গেছে অসীমে
আজ যাত্রা যেন অসীমের দিকে
দ্রুত চলছে গাড়ি
নির্দিষ্ট সীমার ১০ মাইল উপরে
মুখে, চুলে, শরীরে
এসে লাগছে ফুরফুরে হাওয়া
এক ফালি চাঁদ কাচের মত হয়ে আছে
পৃথিবী আর অসীমের মাঝে
যাত্রা বিরতি ওখানে নিলে মন্দ হয়না আজ
প্রচণ্ড হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে শরীর আর মন
আর আমি হাইওয়ে ধরে উঠে যাচ্ছি
পাহাড়ে
তারপর চাঁদে
তারপর অসীমে...

Friday, March 7, 2014

নারী - ৩

নারী - ৩

....ওরা একে ভালবাসা বলে,
ভালোবাসাহীন ভালবাসা,
তুমি এত শূন্য নোও
তোমাকে এটা ওটা দিয়ে নিগৃহীত করতে হবে,
তোমার প্রয়োজন শুধু ভালবাসার,
এক মানবের ভালবাসা, 
ভালবাসার মত ভালবাসা, 
ভালবাসার হাত ধরে
অন্য সব কিছু আসবে, 
অন্য কিছুর হাত ধরে ভালবাসা আসলে 
বোকা বোনে যাবে তুমি, 
আইফোন,আইপেড, রঙিন চশমা,
হীরে আর সোনার গহনা দেয়াকে
ওরা ভালবাসা বলে, 
এই সব মুচুলেকাগুলো আবেগ ভোলায়,
দিনের সাথে বদলে গিয়ে ভালবসা মরে যায়,
ভালবাসাহীন ভালবাসা নয়,
রূপের পাগল কামার্ত আবেগ কখনো কি প্রেম হয়.... 
                                       
                                                     

Wednesday, March 5, 2014

নারী - ২

নারী - ২

.....ক্ষণে ক্ষণে তার রং বদলায়
প্রতিনিয়ত রঙিন, কখনো ফ্যাকাসে নয়,
কোন রূপের প্রেমে পড়বে বল হায়,
বহুরুপী ছাড়া নারী কি নারী হয়

হ্যা, আরো অবাক হওয়ার বাকি আছে কত,
যুগের পরে যুগ আসে যত ,
নারীর হাসি নিয়ে কথা হবে,
নারীর রূপ নিয়ে কথা রবে ,
নারীর ভালবাসায় সভ্য হবে কত
যুগের পরে যুগ আসবে যত.....

নারী

নারী

কবিতারা তোমার কথা বলে
কবিতাদের তাই তুমি নেও তুলে
ঠোঁটে,
গালে,
গ্রীবায়,
কবিতায় হৃদয় সিক্ত হয়,
তোমাকে বুঝতে হলে
যেন সবাই কবিতা পরে তাহলে,
কবিতারা আদ্যোপান্ত তোমার কথা বলে...