Followers

Thursday, February 28, 2019

আরেকবার আমি এই তারার মেলার দিকে তাকাই,

আরেকবার আমি এই
তারার মেলার দিকে তাকাই,
তাদের এই বিস্ময় রূপে
কাউকে না বলে আমি চুপেচুপে
কত রাত্রি পার করে দেই
যেখানে থাকার, সেখানে আমি নেই,
কোলাহল ছেড়ে তাদের অপরূপে
বিস্মিত হই প্রতিবার অনুরূপে,

কতবার মনে হয়েছে আরে!
এইসব নক্ষত্রেরা কাছ থেকে
আরো কাছে এসে পরে,
আর বিস্মিত করে আমাকে,
বিস্ময়ে যায় আমার হৃদয় ভরে
এই নক্ষত্রের ভীড়ে বারেবারে

Wednesday, February 27, 2019

এই ভ্রান্তির জীবন ছেড়ে আমি চলে আছি সমুদ্রের কাছে

এই ভ্রান্তির জীবন ছেড়ে,
আমি চলে আছি সমুদ্রের কাছে,
এই অতলান্ত সমুদ্র দিয়েছে
ক্লান্তি মুছে, দিয়েছে হৃদয় ভরে,
যতটুকু প্রাণ আছে আমার শরীরে,
তার থেকে বেশি দৃঢ়তা সে পেয়েছে,
তার কাছে এসে, সে অবলীলায় নিয়েছে
কাছে টেনে, শীতলতা দিয়েছে তারপরে,

তাই আমি ছুটে আসি বারেবারে,
কাছাকাছি এই সমুদ্রের তীরে,
অনেকটুকু বিস্ময় সমুদ্র দিয়েছে
তার থেকে ঢের বিস্ময় হৃদয় পেয়েছে
সেইসব ঢেউয়ে, যারা আছড়ে পরে
হৃদয়েকে জুড়িয়ে সুমুদ্রের তীরে









Tuesday, February 26, 2019

কবিতা

......হৃদয়ের মতো প্রাঞ্জল,
প্রতিনিয়ত ছন্দময়
অনুভূতিগুলোর বোধ
আমি ঠিক ঠিক টের পাই,
এ যেন এক সত্তার মাঝে
আরেক সত্তা ঠিকানা খুঁজে.....

Sunday, February 24, 2019

তুমিই শুধু একমাত্র রব


112:3  لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

112:4  وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

যখন কিছুই ছিল না,
তখনো তুমি ছিলে,
আমাদের বর্তমানে
তুমি ওতপ্রোত ভাবে আছো,
যখন কিছুই থাকবে না,
তখন তুমি শুধু তুমিই সব,
তুমি সর্বজ্ঞ, সবচেয়ে জ্ঞানী,
তুমিই শুধু একমাত্র রব

সীমাহীন সময় ধরে তারারা

সীমাহীন সময় ধরে তারারা
কোনো এক সম্মোহনে
ঘুরপাক খাচ্ছে দল বেঁধে,
অতলান্ত স্থান জুড়ে
এইসব তারাদের দল
যখন উঁকি দেয়
রাতের গভীরে,
তাদের অবয়ব
আঁধারের শরীর ভেদ করে,
এক মায়াময় সর্পিল ছবি
সযতনে অঙ্কন করে,
একে একে অগণিত
তারাদের দল
তাদের নিজেদের
কক্ষপথে দুধের সাগরে,
ভেসে চলে কোনো এক সুরে,
ভেসে চলে তারা
আরো লক্ষ কোটি বছর ধরে


সেই অদ্ভত মুহূর্তে মৃত্যু ছুঁয়েছে তাকে

সেই অদ্ভত মুহূর্তে মৃত্যু ছুঁয়েছে তাকে
                                          প্রয়াত কবি আল মাহমুদের স্মরনে
*****************************

সেই অদ্ভত মুহূর্তে
মৃত্যু ছুঁয়েছে তাকে,
নিয়ে গেছে জীবনের বোধ,
রেখে গেছে নদী
রেখে গেছে নদ,
পরে থাকে করবী
পরে থেকে বিকেলের রোদ,
এই সময়ের তীরে
কল্পনাতীত মানুষের ভীড়ে
আমরা মুহূর্তে মুহূর্তে বাঁচি,
জীবনের এই পারে
মুহূর্তে মুহূর্তে সবস্মৃতি,
আহা কত প্রীতি!
কবির তরে,
কবি মিলে যাবে
অসংখ্য আত্মার ভিড়ে,
কেন জানি মনে হয়,
আপনি যেভাবে জীবনকে চেয়ে ছিলেন,
জীবন ঠিক সেভাবে হয় নাই, 
দুঃখ কষ্টের ভিড়ে কেটেছে
জীবন মনে হয়,
এইতো এপারের যত ক্লান্তির রেশ,
এখানেই শুরু ছিল,
               এখানেই শেষ,
কবি, ওপারে যাত্রা যেন ভালো হয়,
এই শুভ কামনায়
              বিদায় কবি বিদায়!


Saturday, February 23, 2019

এক কবির জীবন চেয়ে ছিল হৃদয়

......এক কবির জীবন
চেয়ে ছিল হৃদয়,
ভালোবাসা ছড়াতে
ঘৃণার কোনো বোধ নয়,
ভালোবাসা পেতে,
কবিরাই সবচেয়ে
ভালোবাসা পায়,
কবিরাই তুলে আনে রূপ,
কবিরাই সাজায় অপরূপ
সব রূপ কবিতার ভাঁজে,
কাছের আর দূরের মাঝে
পৃথিবীর কত দেখা অদেখা বিষয়,
দৃষ্টির আড়ালের সব বিস্ময়,
কবি কাছে উন্মোচিত হয়,
কবিরা দেখে,
কবিরা লেখে,
এই সব কবিতা মায়াময়,
এক কবির জীবন
চেয়ে ছিল হৃদয়,
দুঃখ ক্লান্তি ভুলে
কবির চোখ মেলে
চারদিকে তাকালে,
কতকিছু দেখা মিলে,
কত ছন্দ পরে ধরা
কবি আর কবিতা ছাড়া
কোনো কি জীবন হয়
এক কবির জীবন
চেয়ে ছিল হৃদয়.....

Saturday, February 16, 2019

কবি হবার অপেক্ষা

কতগুলো বসন্ত গেছে,
কতগুলো গ্রীষ্ম,
কতগুলো বছর দিয়েছি,
তবে এবার
আমাকে কবি
হয়ে বাঁচতে দাও,
মাকে দিয়েছি মাতৃত্ব,
বন্ধুদের দিয়েছি বন্ধুত্ব,
প্রেমকে দিয়েছি কতগুলো বছর,
এক মুহূর্তও আমার কথা ভাবি নি,
রাস্তার গলিতে
পাড়ার ছন্নছাড়া গুলো থাকে,
তাদেরকে দিয়েছি অনেক সময়,
সাতচাড়া আর মাংস চোর খেলতে
সময় লাগে ঢের,
আমি কাউকে না বলি নি,
আমি না বলি নি
তাদের সাথে দূরে যেতে,
শীতলক্ষায় যেতে আসতে
দিনের সময় চলে যেত অনেক,
পুরোটা ছেলে বেলা দিয়েছে তাদের,
যখন আমাকে জোর করে
স্কুলে ভর্তি করে দিলো
আমি ভেবেছি কয়েকটা বছরই তো,
দেখতে দেখতে চলে যাবে,
কবি হওয়ার
অনেক অনেক সময় পাওয়া যাবে,
প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া শুরু,
দিন দিন করে অনেক দিন,
তারপর মাস,
মাসের পর বছর চলে গেল,
বেমালুম ভুলে গেলাম কবি হবার কথা,
এতো এতো সূত্র,
কত শত ভোকাবুলারী,
অনেক সমীকরনে
সময় দিয়েছি অনেক,
যদিও অনেক সমীকরণ মিলে নি,
তবুও সমীকরণ নিয়ে গেছে
যৌবনের তীব্র সময়,
কখন যে শিমুল
সমীকরণে যুক্ত হয়ে গেছে
লুকোচুরি খেলায়,
শিমুল তোমাকে কি দেয় নি
এতগুলো সময়!
কয়েকশো গোলাপ !
কদম ও দিয়েছে তন্ন তন্ন করে খুঁজে,
জীবনান্দর কবিতা শুনিয়ে
কত রাত পার করে দিয়েছি,
শিমুল কে বলেছি
দেখো আমিও তোমার জন্য
জীবনান্দের মতো কবিতা লেখবো,
তবুও মনে হয়,
মেয়েরা প্রেমিক হিসেবে
জীবনান্দকে ভালোবাসলেও
স্বামী হিসেবে নয়,
তাই শিমুল থাকিনি চেয়ে
এতগুলো সময় নিয়ে
মাতাল প্রেম হারিয়ে গেছে
মাতালদের অনেক বন্ধু থাকে,
মাতালেরা এমনি এমনি হাঁসে,
কখনোই কাঁদে না,
আমি বলছিনা মদ খেয়েই
মাতাল হতে হবে,
অনেক দূরে কারো সাথে
হাঁটতে হাঁটতে,
কথা বলতে বলতে নিজেকে
মাতাল মনে হতে পারে,
সূর্যাস্ত অথবা জোৎস্নার আলো
সম্মোহনকারী,
এইসব সম্মোহনকারী আলোয়
মাতাল হওয়া যায়
কতগুলো সময় চলে গেছে
মত্তদের সাথে থেকে থেকে,
বড় কবি হওয়ার কথা
তখনো ঢাকা পরে আছে,
তারপর কোত্থেকে বড় ভ্রাতা
মার সাথে চুক্তি করে,
করবীর সাথে
বিয়ে করিয়ে দিল
কোনো এক শরতে,
আমি করবীকে বলেছি
আমার কবির হবার কথা,
সে শুধু অট্ট হেঁসেছে,
তারপর বলেছে,
আমি কবি হয়ে গেলে,
জগৎ সংসার কিভাবে চলে,
তাই তার সাথে চুক্তিতে গেলাম,
তাই মানলাম
কয়েক বছর কাজে
মনোযোগ দিয়ে
আমি ঠিক ঠিক কবি হবো,
তারপর অসংখ্য কবিতা লিখবো,
কিন্তু কাজে কাজে
সময় চলে গেছে কয়েক দশকে,
আমি করবী কে
কতবার মনে করিয়ে দিয়েছে,
আমার কবি হবার কথা,
ততবার করবী দিয়েছে গেছে ব্যথা,
শুধু  সে বলেছে
হবে, হবে,
আসছে বসন্তে
অনেক সময় পাবে,
তাই আমি আগামী বসন্ত পর্যন্ত সময়,
আমার কবিত্বকে রেখেছি অপেক্ষায়
(চলবে)













অনুজ

এই দেব শিশুর নাম পরী,
যতই তাকে আদর করি
তুলতুলে আদুরে গালে,
অথবা চুম দেই কপালে,
কিংবা সুড়সুড়ি দিলে গলায়
বা অন্য কোথাও তার গায়,
সে হেঁসে পরে লুটেপুটে,
হেঁসে উঠে দেব শিশু ফুটফুটে,

সময় কত দ্রুত চলে যায়,
এতটুকু শিশু বড় হয়
চোখের পলকে, পলকে,
তাই নিয়ে থাকি তাকে,
কোলে করে অথবা বুকে,
দেব শিশু লাল টুকটুকে |

অগ্রজ - ২

.....আমাদের জরী,
যখন ঘুম থেকে উঠে,
তুলতুলে গালের ওম পেতে,
আমি আর তার জননী,
প্রতিযোগিতায় থাকি,
তাকে কোলে নিয়ে
কে কার আগে,
নিয়ে নেবে অজস্র আদর
নিয়ে নেবে আগে ভাগে......

সময়েরে কেউ কি রাখিতে পেরেছে ধরে

.....সময়েরে
কেউ কি রাখিতে
পেরেছে ধরে ,
শুধু কবি ছাড়া,
জীবন, মৃত্যু ছাপিয়ে,
ছুঁয়ে যায়
মানব মানবীর অন্তরা,
যুগের পর যুগ অনুভূতিরা
কবিতার মাঝে
থেকে যায় আনকোরা,
থেকে যায় প্রেমময়
ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সময়,
ভালবাসা দিয়ে তাই
একটি কবিতা লিখলাম,
কবিতার মাঝে,
জীবন, মৃত্যু, সময়কে
ধরে রাখলাম.........

মুক্তোর মতো গলায় জড়ালে

.......শতাব্দীর পর শতাব্দী
এমনিই ছিল পৃথিবী,
শীতল থেকে শীতলতর
হতে হতে জল স্থল
উর্বর মৃত্তিকার আবির্ভাব,
তখনো তো ছিল
সাগরের তলদেশে
ঝিনুকের বুকে শুয়ে
ঝিনুকের ভালোবাসা লয়ে,
তারপর মানুষ তাকে
ঝিনুকের মুক্তকে
খুঁজে পেয়ে,
ভালবাসায় গলায়
জড়াল,
তার আগে শুধু
এই মুক্তর জীবন
অজানা যেমন,
আমিওতো ছিলাম অদৃশ্যলয়ে
হৃদয়ের ব্যথা হৃদয়ে
বয়ে বয়ে,
শতাব্দীর পর শতাব্দী
শান্ত নদী, নিরবধি,
তারপর তুমি
তারপর আমি
সময়ের কোনো এক তীরে
সময়ের কাছে এসে ভিড়ে
হলো যেন মনে,
সাগরের গহীনে,
জীবনের অনেক স্মৃতি নিয়ে
পরে থাকা থেকে,
তুমি আমাকে,
নিয়ে আসলে জীবনে যেন,
সুন্দরতম মুহূর্তে কোনো,
মরীচিকা থেকে তুলে,
মুক্তোর মতো গলায় জড়ালে.............

কেমন করে তোমার চুলগুলো এমন করে থাকে

কেমন করে
তোমার চুলগুলো
এমন করে থাকে,
এমন করে না থাকলে
আমি তোমায় নিয়ে ভাবতাম না,
ভাবতাম কি?
ভাবতাম হয়তো,
অন্য কিছুতে,
অধরায় অথবা গ্রীবায়,
ভাবতাম ততক্ষন
যতক্ষণ আমার হৃদয় জুড়াতো না...........

আমি মুগ্ধ হয়ে ভাবি

আমি মুগ্ধ হয়ে ভাবি
কেমন করে
তোমার তরে
হৃদয়ে গেছে ডুবি,
কেমন করে তোমার ছবি,
ভেসে  উঠে
হৃদয় পটে
ভালো লাগে সবই,
ভালো লাগে খুবই
তোমার কপোল
অনেক কোমল
শান্ত স্নিগ্ধ সবই,
তোমার ঠোটেঁ যদি,
হাসি ঝরে
মুক্ত পরে
মুগ্ধ করে সবই,
মুগ্ধ করা সবই,
কালো চুলে,
আঁখি মেলে
তাকিয়ে থাকে কবি,
তাকিয়ে থেকে ভাবি,
তোমার চোখে
থাকিয়ে থেকে
আঁকলো হৃদয় ছবি,
কত শত ছবি
আঁকলো হৃদয়,
ভালোবাসায়
সিক্ত করা সবই,
তোমার তরে
কেমন করে
হৃদয়ে গেছে ডুবি

Tuesday, February 12, 2019

Let's try to touch the sky

She was so little the other days,
Now she makes me so amazed,
She is now bigger than three,
Today she came over and say Daddy,
Let's go outside and let us try,
Try to touch the blue, blue sky,
so I cuddled her, my sweetie pie
Let's try, Let's try to touch the sky

Monday, February 11, 2019

আশ্চর্যময় এই জোৎস্নার রূপ

...আশ্চর্যময় এই জোৎস্নার রূপ
বলে কি বোঝানো যায়!
তাই জোৎস্নার আলো পোহানোর
নিমন্ত্রণ রইলো আমার আঙিনায়,
এখানে শহুরে আলো নেই,
মিটি মিটি কুপি জ্বলে,
জোৎস্না ছড়ালে
কুপি নিভিয়ে দেই,
তারপর শুধু
জোৎস্নার মাখামাখি,
আমি শুধু
চাঁদের দিকে চেয়ে থাকি,
আর আমার আঙিনায়,
জোৎস্নার আলোয় ভেসে যায়,
এই আলোর খেলা
বলে কি বোঝানো যায়!
তাই জোৎস্নার আলো মাখানোর
নিমন্ত্রণ রইলো আমার আঙিনায়,
সবচেয়ে অদ্ভত লাগে,
কিছুক্ষন এই চাঁদের দিকে
চেয়ে থাকলে,
নিজেকে আশ্চর্য কিছু মনে হয়,
কখনো মিহি মেঘ,
কখনো মেঘের শরীরে হারাই,
কখনো জোনাকি,
কখনো পেঁচা
অথবা ঘুঘু পাখি,
কখনো বাতাসে,
চোখে খুব ঘুম চলে আসে,
এমন আবেগময় বোধ,
বলে কি বোঝানো যায়,
তাই জোৎস্নার আলোর উৎসবে,
নিমন্ত্রণ রইলো আমার আঙিনায়.....

তোমার রূপে আমার দৃষ্টি ঝলসে যায়

........তোমার রূপে
আমার দৃষ্টি ঝলসে যায়,
তাই, আবার তাই
অন্য দিকে তাকাই,
কখনো আকাশে
কখনো সবুজ ঘাসে
দৃষ্টি নামাই,
আমি ঠিক জানি,
তুমি হাসছো,
তোমার হাসি
অধরায় নেমে গিয়ে
ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে,
সময়ও থেমে গিয়ে
এই সুন্দর হাসির দিকে চেয়ে আছে,
সবগুলো মেঘ সরিয়ে
অতলান্ত আকাশ উঁকি দিয়েছে,
আমি জানি অসংখ্য চোখ
বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে,
ভাবছে, শুধু ভাবছে
এমনও হয় পরী কোনো!
ঠিক রূপকথার মতো যেন,
এইসব সবকিছু উপেক্ষা করে,
শুধু সে বলে, "আরেকটি বার
আমার দিকে তাকান,
আমি চোখ নামাবো,
আপনি হৃদয় ভরে দেখেন"
তাই আমি দেখি,
দু চোখ ভোরে দেখি,
তোমার উপহার
হৃদয়ে তুলে রাখি....








Monday, February 4, 2019

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি তার অবয়ব

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি তার অবয়ব,

.
.
.
এ এক অদ্ভত বিস্ময়,
আমি চেয়ে থাকি,
চুপচাপ,
টুপ
করে
আমার ভাবনার
পুকুরে, তোমার কথার
প্রতিধ্বনি ঢেউয়ের তরঙ্গ তুলে,
আমি সম্বিত ফিরে পেলে,
নিজেকে অপ্রস্তুত
করে
ফেলি,
নিজে নিজে ভাবি
আজ না হয় থাক এইসব
অন্য কোনো দিন বলি, সেইসব
সব কথা, এই অসম্ভব
রূপরে অবয়ব
দেখে,
বিস্ময়ে
হতবাক
হয়ে থাকে,
বলা হয় না তারপর
হৃদয়ের গভীর কথা আর,
শুধু তাকে আমি বলি
"আমি এ পথেই
যাতায়াত করি
দেখা হবে
ফের
আর
দেখবেন
আপনি ভালো
থাকবেন",
শুধু হাসি
তারপর,
শুধু
হাসি
.
.
.
.








তোমার প্রতিচ্ছবি

.......তোমার মত
হাসে না কেউ,
তোমার মত করে,

তোমার মত
হাসে না কেউ,
এতো যতন করে,

তোমার চোঁখে
তাকিয়ে থাকা,
তোমার চোখের 'পরে,

তোমার চোঁখে
তাকিয়ে থাকা
অনন্তকাল ধরে,

তোমার ঠোঁটে
আলতো ছোঁয়া,
অন্য ঠোঁটের 'পরে,

তোমার ঠোঁটের
আলতো হাসি,
আলতো করে ঝরে,

তোমার কপোল,
তোমার চিবুক,
তোমার আমি কবি,

আমার মাঝে,
সকাল সাঝে,
তোমার প্রতিচ্ছবি......

Saturday, February 2, 2019

সল্ট লেক সিটি

...........স্বপ্ন দেখতে পারি বলেই,
তুমি আমি মানুষ,
আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন
আমাদের দিন রাত্রি,
তবে আমি কোনো স্বপ্নের কথা বলছি না,
তবুও স্বপ্নের মতো এই হ্রদ
দুইপাশে শান্ত স্নিগ্ধ মায়াময় বোধ,
পাহাড়ের বুকের নিগড়ানো
অল্প অল্প জলধারা থেমে আছে এখানে,
ঠিক শুধু বেদনা নয়,
আবার শুধু আনন্দেরও নয়
এখানে আসার অনুভূতি,
আনন্দ বেদনার মাঝামাঝি কি
অন্য কোনো অনুভূতি হতে পারে?
এমন অনুভূতি শুধু
রক্ত মাংসের মানুষই পেতে পারে,
বাতাসের আঙ্গুলি
হাতে মুখে বুলাতেই মনে হলো,
এই সুরু পথে হাঠতে হাঠতে
আমার যেন হলো
এই বোধ,
এই পাহাড়, উপত্যকা আর হ্রদ,
পাখিদের পিছু পিছু এখানে আসেনিতো!
পৃথিবীর মায়ায় থেকে গেছে,
অন্য ভুবন ভুলে গেছে,
তারপর এই স্বপ্নের মত ভূমি,
স্বপ্নের মতো অন্যরকমই,
আরো কত স্বপ্নের জন্ম দিলো
মানুষকে মানুষের মতো করে ভাবতে শিখালো............